স্বামীকে ছেড়ে প্রেমের টানে জার্মান নারী খুলনায়
অনলাইন ডেক্স । কাগজটোয়েন্টিফোরবিডিডটকম
জার্মানি থেকে প্রেমের টানে খুলনায় ছুটে এলেন অ্যাসটিট ক্রিস্টিয়াল কাসুমী সিউর নামের এক নারী। গত ১০ জুন জার্মানি থেকে বাংলাদেশে আসেন তিনি। গত ১৩ জুন নগরীর খানজাহান আলী থানার যোগিপোলের যুবক আসাদ মোড়লের সঙ্গে ঘর বাঁধেন তিনি। এখন খুলনার বাড়িতেই বসবাস করছেন তারা।
অ্যাসটিট ক্রিস্টিয়াল কাসুমী সিউর জানান, বাংলাদেশে আসার আগে তিনি তার জার্মান স্বামীকে ডিভোর্স দিয়েছেন। খুলনায় এসে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে আসাদ মোড়লকে বিয়ে করেছেন তিনি।
আসাদের সঙ্গে জার্মান নাগরিকের বিয়ের খবরে এলাকাবাসীর মধ্যে কৌতূহল ছড়িয়ে পড়ে। নগরীর খানজাহান আলী থানার যোগিপোল ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের ইব্রাহিম মোড়লের ছেলে এমডি আসাদ মোড়ল। জার্মান নারীকে দেখতে আসাদের বাড়িতে ভিড় করছে গ্রামবাসী।
আসাদের পরিবার জানায়, আসাদ মোড়ল তেমন পড়াশুনা করেননি। মাঝে মাঝে তিনি শ্রমিকের কাজ করেন। ফেসবুকে তার সঙ্গে জার্মান নারীর পরিচয়। প্রায় দুই বছর ধরে কথা বলতে বলতে প্রেম। ক্রিস্টিয়াল প্রেমের সম্পর্ককে বাস্তবে রূপ দিতে জার্মান স্বামীকে ডির্ভোস দিয়ে ১০ জুন ঢাকায় আসেন। ১১ জুন তিনি আসাদের খোঁজে খুলনায় আসেন এবং একটি হোটেলে ওঠেন। ওই হোটেলেই দু’জনের প্রথমবারের মতো দেখা হয়। ১২ জুন ক্রিস্টিয়াল খুলনা নোটারি পাবলিকের মাধ্যমে খ্রিস্টান ধর্ম ত্যাগ করেন এবং ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন। ১৩ জুন কোর্টের মাধ্যমে তাদের বিয়ে হয়।
আসাদের বাবা ইব্রাহিম মোড়ল বলেন, কখনও ভাবিনি এক বিদেশিকে বিয়ে করবে ছেলে। ছেলে যদি সুখী হয়, তাতে আমাদের কোনো আপত্তি নেই।
জানতে চাইলে আসাদ মোড়ল বলেন, দুই বছর আগে ফেসবুকে জার্মান নারী ক্রিস্টিয়ালের সঙ্গে আমার পরিচয় হয়। এরপর বন্ধুত্ব এবং প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। ১৩ জুন কোর্টের মাধ্যমে আমাদের বিয়ে হয়। তার জীবনসঙ্গী হতে পেরে খুবই খুশি আমি।
ক্রিস্টিয়াল কাসুমী সিউর স্থানীয় সাংবাদিকদের বলেন, বাংলাদেশি আসাদের সঙ্গে দীর্ঘদিনের সম্পর্ক বাস্তবে রূপ দিতেই আমি এখানে চলে আসি। সরাসরি তাকে দেখে বুঝে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করি এবং বিয়ে করেছি। এখন আমরা সুখী। সবাই আমাদের জন্য দোয়া করবেন।