স্বেচ্ছায় কারাবরণ করবেন বিএনপির সিনিয়র নেতারা
অনলাইন ডেস্ক । কাগজটোয়েন্টিফোরবিডিডটকম
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে জেলে পাঠানো হলে দলের সিনিয়র নেতারা স্বেচ্ছায় কারাবরণ করবেন।
রবিবার (২৮ জানুয়ারি) দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবকদল আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
চেয়ারপারসনের বিরুদ্ধে অন্যায় কোন রায় দেয়া হলে মুক্তির আন্দোলন নয়, সরাসরি সরকার পতনের আন্দোলন শুরু হবে বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন তিনি। অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বেগম জিয়ার বিরুদ্ধে দুর্নীতির কোন প্রমাণ পাওয়া যায়নি বলেও জানান তিনি।
খন্দকার মোশারফ বলেন, দেশের জনগণ সুষ্ঠুভাবে তাঁদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারলে আওয়ামী লীগ ত্রিশটার বেশি আসন পাবে না।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের দেয়া বক্তব্যর সমালোচনা করে বিএনপির এই নীতি নির্ধারক বলেন, বিএনপি নেতারা নয়, বেগম খালেদা জিয়ার মামলার রায় নিয়ে বক্তব্য দিয়ে ক্ষমতাসীন দলের মন্ত্রীরাই আদালত অবমাননা করেছে।
উল্লেখ্য, আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলার রায় ঘোষণা করবেন ঢাকার পঞ্চম জজ আদালত। জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টের দুই কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৪৩ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ এনে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে ২০০৮ সালের ৩ জুলাই রমনা থানায় একটি মামলা করে দুদক।
এছাড়া জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের নামে অবৈধভাবে তিন কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা লেনদেনের অভিযোগে খালেদা জিয়াসহ চারজনের বিরুদ্ধে ২০১০ সালের ৮ আগস্ট তেজগাঁও থানায় আরও একটি মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
এ মামলার অন্য আসামিরা হলেন- খালেদা জিয়ার সাবেক রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী (পলাতক), হারিছের তখনকার সহকারী একান্ত সচিব ও বিআইডব্লিউটি এর সাবেক নৌ-নিরাপত্তা ও ট্রাফিক বিভাগের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক জিয়াউল ইসলাম মুন্না এবং ঢাকার সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার একান্ত সচিব মনিরুল ইসলাম খান।