টাঙ্গাইলে আওয়ামী লীগ নেতা ফারুক আহমেদ হত্যা মামলার স্বাক্ষ্য গ্রহণ

 

 

বিশেষ প্রতিনিধি  কাগজটোয়েন্টিফোরবিডিডটকম

টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগ নেতা ও মুক্তিযোদ্ধা ফারুক আহমেদ হত্যা মামলার প্রথম দফার স্বাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়েছে। রোববার সকালে টাঙ্গাইলের প্রথম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আবুল মনসুর মিয়ার আদালতে বিচারাধীন এ মামলার সাক্ষ্যগ্রহন শুরু হয়। এ স্বাক্ষ্যগ্রহণের পরবর্তী দিন ধার্য করা হয়েছে ২০ মার্চ। এর আগে অসুস্থ্যতার কারনে আমানুর রহমান খান রানা এমপিকে আদালতে হাজির না করায় চারবার এই মামলার সাক্ষ্য গ্রহন পেছানো হয়।

এ প্রসঙ্গে মামলার রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ও অতিরিক্ত পিপি মনিরুল ইসলাম খান জানান, আদালতের বিচারক আবুল মনছুর মিয়া সকাল ১১টায় এজলাশে বসেন ও প্রথমেই চাঞ্চল্যকর এই হত্যা মামলার কার্যক্রম শুরু করেন। রাষ্ট্রপক্ষ মামলার বাদি নাহার আহমেদ, ছেলে আহমেদ মজিদ সুমন ও মেয়ে ফারজানা আহমেদ মিথুনের হাজিরা দাখিল করেন।

কারাগারে আটক আসামী আনিসুল ইসলাম রাজা, মোহাম্মদ আলী ও মোঃ সমিরকে আদালতে হাজির করা হয় এবং জামিনের থাকা অপর তিন আসামী মাসুদুর রহমান, ফরিদ আহম্মেদ ও নাসির উদ্দিন নুরু আদালতে হাজির হয়।

এদিকে কেরানিগঞ্জে অবস্থিত ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে এ হত্যা মামলার প্রধান আসামী টাঙ্গাইল-৩ (ঘাটাইল) আসনের সংসদ সদস্য আমানুর রহমান খান রানাকে সকাল ৯টা ৩০ মিনিটে আদালতে আনা হয়।

উল্লেখ্য, ২০১৩ সালের ১৮ জানুয়ারি জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ফারুক আহমেদের গুলিবিদ্ধ লাশ তার কলেজপাড়া এলাকার বাসার কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়। ঘটনার তিনদিন পর তার স্ত্রী নাহার আহমেদ বাদি হয়ে টাঙ্গাইল সদর থানায় অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামী করে হত্যা মামলা দায়ের করেন।

২০১৪ সালের আগস্টে গোয়েন্দা পুলিশের তদন্তে এই হত্যায় এমপি রানা ও তার ভাইদের নাম বের হয়ে আসে। ২০১৬ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি তদন্ত শেষে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় গোয়েন্দা পুলিশ। এই মামলায় এমপি রানা ছাড়াও তার তিন ভাই টাঙ্গাইল পৌরসভার সাবেক মেয়র সহিদুর রহমান খান মুক্তি, ব্যবসায়ী নেতা জাহিদুর রহমান খান কাকন, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি সানিয়াত খান বাপ্পাসহ ১৪জন আসামী রয়েছে।

গত ৬ সেপ্টেম্বর আসামীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছেন আদালত।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!