হাওর রক্ষা বাঁধে দুর্নীতির অভিযোগে সাময়িক বরখাস্ত তিন প্রকৌশলী
অনলাইন ডেস্ক । কাগজটোয়েন্টিফোরবিডিডটকম
হাওর রক্ষা বাঁধ নির্মাণে দুর্নীতির আশ্রয় নেয়ায় পানি উন্নয়ন বোর্ড- পাইবোর সিলেটের ভারপ্রাপ্ত প্রধান প্রকৌশলী মোঃ আবদুল হাই, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মোঃ নুরুল ইসলাম সরকার ও সুনামগঞ্জের নির্বাহী প্রকৌশলী আফসার উদ্দিনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
মঙ্গলবার পানিসম্পদমন্ত্রী আনিসুল ইসলাম মাহমুদের নির্দেশে এ তিন প্রকৌশলীকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। দুর্নীতির বিষয়ে নিরপেক্ষ তদন্তের স্বার্থে আজকের (মঙ্গলবার) মধ্যেই সাময়িক বরখাস্তের আদেশ কার্যকর করা হবে।
এর আগে গত ১০ এপ্রিল দৈনিক যুগান্তরে ‘তিন প্রকৌশলীর দুর্নীতিতে কৃষকের সর্বনাশ‘ শিরোনামে হাওর রক্ষা বাঁধ নির্মাণে অনিয়ম ও দুর্নীতির প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়।
ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘সুনামগঞ্জে হাওরের বাঁধ নির্মাণ ও সংস্কারে বড় ধরনের অনিয়ম-দুর্নীতি হয়েছে। দায়িত্বপ্রাপ্ত তিনজন প্রকৌশলীর সীমাহীন অনিয়ম-দুর্নীতির কারণে ১১৬টি প্যাকেজের কাজে ঠিকাদাররা কোথাও সর্বোচ্চ ২০ ভাগের বেশি কাজ করেননি।
অথচ গত ২ বছরে ৮০ কোটি টাকা বরাদ্দের বিপরীতে তারা ২৫ কোটি টাকা তুলে নিয়েছেন। এভাবে কাজ না করে বিল পরিশোধের পেছনে পানি উন্নয়ন বোর্ডের সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলীরা জড়িত।
অভিযোগ রয়েছে, কাজ পেতে ৫ শতাংশ এবং বিল ছাড় করাতে ১৫ শতাংশ আগাম ঘুষ দিতে হয়েছে। সম্প্রতি জেলার বিভিন্ন স্থানে হাওরের বাঁধ ভেঙে যাওয়ার পেছনে ঠিকাদারদের গাফিলতি ও প্রকৌশলীদের দুর্নীতির দায় সবচেয়ে বেশি। যুগান্তরের সরেজমিন তথ্যানুসন্ধানে এসব অনিয়ম-দুর্নীতির বিস্তারিত তথ্য-প্রমাণ উঠে আসে।
তথ্যানুসন্ধানে জানা গেছে, পানি উন্নয়ন বোর্ডের সিলেটের ভারপ্রাপ্ত প্রধান প্রকৌশলী মো. আবদুল হাই, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. নুরুল ইসলাম সরকার ও সুনামগঞ্জের নির্বাহী প্রকৌশলী আফসার উদ্দিনের দুর্নীতির কারণেই ঠিকাদাররা কাজ বাস্তবায়নে অমনোযোগী ছিলেন। শুধু এবারই নয়, গত বছরও ২৮টি বাঁধ নির্মাণের কার্যাদেশ পেয়েও প্রভাবশালী ওইসব ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কোনো কাজ করেনি। যে কারণে ওই বছরও কৃষকের একমাত্র ফসল তলিয়ে যায়।
নিয়মানুযায়ী অভিযুক্ত ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো পাউবোর কালো তালিকাভুক্ত হওয়ার কথা। কিন্তু কাজ পেতে ঠিকাদারদের কাছ থেকে অগ্রিম ঘুষ নেয়ায় এবারও এসব বাঁধ নির্মাণে তাদের কার্যাদেশ দেন নির্বাহী প্রকৌশলী। নতুন ৪৮টি প্যাকেজে এ বছরও তাদের গত বছরের ২৮টি কাজ দেয়া হয়। কিন্তু এবারও তারা বাঁধে কোনো কাজ করেননি।’
যমুনা নিউজ এ অনিয়মের বিস্তারিত প্রতিবেদন দেখুন