ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আ স ম হান্নান শাহ’র জীবনী
১১ অক্টোবর ১৯৪১ সালে গাজীপুরের কাপাসিয়ার ঘাগটিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন হান্নান শাহ। তাঁর বাবার নাম ফকির আবদুল মান্নান। তাঁর বাবা ১৯৬৫ থেকে ১৯৬৮ সাল পর্যন্ত পাকিস্তান সরকারের মন্ত্রী ছিলেন। হান্নান শাহ এর স্ত্রীর নাম নাহিদ হান্নান। তাঁদের এক মেয়ে শারমিন হান্নান সুমি এবং দুই ছেলে শাহ রেজাউল হান্নান ও শাহ রিয়াজুল হান্নান।
১৯৬২ সালে তৎকালীন পাকিস্তান সেনাবাহিনীতে কমিশন পাওয়া হান্নান শাহ বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময়ে অন্য বাঙালি সেনা কর্মকর্তাদের সঙ্গে পাকিস্তানের কারাগারে বন্দি ছিলেন। ১৯৭৩ সালের সেপ্টেম্বরে বাংলাদেশে ফিরে তিনি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে যোগ দেন। এইচ এম এরশাদ সরকারের সময় তিনি বাংলাদেশ সেনাবাহিনী থেকে অবসরে যান।
সেনাবাহিনী থেকে অবসরের পর এরশাদ সরকারের সময়ে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশনের (বিএডিসি) চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পেয়েছিলেন হান্নান শাহ। ১৯৮৩ সালে ওই পদ ছেড়ে তিনি বিএনপিতে যোগ দেন। বিএনপিতে যোগদানের শুরুতে তিনি ঢাকা মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। দলের সাংগঠনিক সম্পাদক (ঢাকা বিভাগ) হিসেবে ১৯৮৬ থেকে ১৯৯৩ সাল পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ১৯৯৩ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য হিসেবে তিনি দায়িত্ব পালন করেন।
বিগত ওয়ান-ইলেভেনে খালেদা জিয়ার পক্ষে অবস্থান নেয়া বিএনপি নেতাদের অগ্রভাগে থাকায় এই নেতা দলের মধ্যে বেশ জনপ্রিয় ছিলেন। শেষ পর্যন্ত খালেদা জিয়াসহ নেতাকর্মীদের কাছে আস্থাভাজন নেতা হিসেবে সবার কাছে গ্রহণযোগ্যতা পান হান্নান শাহ।
হান্নান শাহ ১৯৯১ সালের নির্বাচনে গাজীপুর-৪ আসন (কাপাসিয়া) থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তিনি ১৯৯১ সালের বাংলাদেশ সরকারের পাট ও বস্ত্র মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০০৯ সালের পঞ্চম জাতীয় কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হলে তাঁকে বিএনপি’র সবোর্চ্চ ফোরাম জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য করা হয়। ২০১৬ সালে অনুষ্ঠিত দলের ষষ্ঠ জাতীয় কাউন্সিলে তাঁর এই পদ বহাল ছিলো।
গত বছর ৬ সেপ্টেম্বর অসুস্থ হয়ে পড়লে হান্নান শাহকে রাজধানীর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) ভর্তি করা হয়। উন্নত চিকিৎসার জন্য ১১ সেপ্টেম্বর তাকে সিঙ্গাপুরে নেয়া হয়। ওই হাসপাতালে তার হৃদযন্ত্রে অস্ত্রোপচারও করা হয়। পরে ২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৬ তারিখে সিঙ্গাপুরের র্যাফেলস হার্ট সেন্টারে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৪ বছর।
সূত্র-উইকিপিডিয়া।
সম্পাদনায়- মাহবুব এইচ শাহীন/প্রকাশক ও সম্পাদক/কাগজ২৪