সাংসদ আমানুর রহমান খান রানা হাসপাতাল থেকে কারাগারে

 

 

অনলাইন ডেস্ক  কাগজটোয়েন্টিফোরবিডিডটকম

টাঙ্গাইল-৩(ঘাটাইল) আসনের সাংসদ ও অা’লীগ নেতা ফারুক আহমদ হত্যা মামলার আসামি আমানুর রহমান খানকে কারাগারে ফেরত পাঠিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। মঙ্গলবার(৯ মে) দুপুরে চিকিৎসকেরা ছাড়পত্র দেওয়ার পর সরকারদলীয় এই সাংসদকে বিকালে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়। টাঙ্গাইলের এই সাংসদ কারাগারে না থেকে তিন মাস ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ভিআইপি কেবিন ছিলেন। এর আগে ইয়াবা ব্যবসায়ী আমিন হুদাকে বারডেম হাসপাতাল থেকে কারাগারে পাঠানো হয়। শীর্ষ সন্ত্রাসী তোফায়েল আহমেদ জোসেফকে হাসপাতাল থেকে কারাগারে নেওয়া হয়।
সাংসদকে কারাগারে ফেরত নেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের জ্যেষ্ঠ কারা তত্ত্বাবধায়ক মো. জাহাঙ্গীর কবির। তিনি বলেন, মঙ্গলবার দুপুরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসকেরা তাঁকে ছাড়পত্র দেন। এরপর বিকালে উপকারাধ্যক্ষের নেতৃত্বে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের কারারক্ষীরা তাঁকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে নিয়ে যান।
হাসপাতাল ও কারা সূত্র জানায়, মঙ্গলবার দুপুরে কারা কর্তৃপক্ষ তাকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে ফিরিয়ে নিতে তোড়জোড় শুরু করে। কারা কর্তৃপক্ষ হাসপাতালের পরিচালক ও সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকদের সঙ্গে যোগাযোগ করে তাকে ফেরত চান। এরপর ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের একজন কারাধ্যক্ষ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মিজানুর রহমানের সঙ্গে দেখা করেন। পরে হাসপাতালের পরিচালক সাংসদ আমানুরকে তত্ত্বাবধানকারী ইউরোলজি বিভাগের প্রধান মো. আমানুর রহমান ও জেনারেল সার্জারি বিভাগের অধ্যাপক তপন কুমার সাহার সঙ্গে বৈঠক করেন। সেখানে সিদ্ধান্ত হয়, সাংসদের হাসপাতালে থাকার দরকার নেই। এরপর সম্মিলিতভাবে সবাই তাকে ছাড়পত্র দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।
যোগাযোগ করা হলে অধ্যাপক আমানুর রসুল বলেন, সাংসদ আমানুরের আপাতত কোনো সমস্যা না থাকায় তাঁকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। এদিকে, মঙ্গলবার বিকাল পাঁচটার দিকে দেখা যায়, ৪৯ কেবিন থেকে পুলিশের নিরাপত্তায় কারারক্ষীরা আমানুরকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে নিয়ে যাচ্ছেন।
গত ৭ ফেব্রুয়ারি সাংসদ আমানুরকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ৪৯ নম্বর ভিআইপি কেবিনে ভর্তি করা হয়। এর আগে তিনি টাঙ্গাইল কারাগারে বন্দী ছিলেন। টাঙ্গাইল কারা কর্তৃপক্ষ সাংসদ আমানুরের ‘ইউরোলজিক্যাল’ সমস্যা রয়েছে বলে নথিতে উল্লেখ করেছে। ঢাকা মেডিকেলের ভিআইপি কেবিনে বসেই দলীয় নেতা-কর্মীদের নিয়ে নিয়মিত সভা ও রাজনৈতিক শলা-পরামর্শ করে আসছিলেন টাঙ্গাইল-৩ (ঘাটাইল) আসনের সরকারদলীয় এই সাংসদ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!