হেফাজতের তো ভোট নাই! সমীকরণ…?

ইস্যু চাপা পড়ার দেশে অনেকটা চাপা পড়ে গেছে, ভাস্কর্য-আওয়ামী লীগ-হেফাজত সম্পর্ক। যদিও বাংলাদেশের রাজনীতির জন্যে বিষয়টি খুবই তাৎপর্যপূর্ণ। বিষয়টি নিয়ে কিছু বিশ্লেষণ হয়েছে, ভবিষ্যতে আরও বেশি বিশ্লেষণ হবে। কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের হেফাজত বিষয়ক অবস্থানের প্রভাব মাঠ পর্যায়ে পরিলক্ষিত হচ্ছে। সবাই না হলেও অনেকেই নিজের দুর্বল অবস্থান শক্ত করতে চাইছেন, হেফাজতের উপর ভর করে। নারায়ণগঞ্জের রাজনীতিতে যা দৃশ্যমান হয়েছে। দৃশ্যমান না হলেও আরও অনেক জায়গায় এমন ধারা চলছে। আওয়ামী লীগের এই পরিবর্তিত রাজনীতি, আওয়ামী লীগের শুভাকাক্সক্ষীরা কীভাবে দেখছেন? আওয়ামী সমর্থিত সাংস্কৃতিক নেতা, নাগরিক সমাজই বা দেখছেন কীভাবে? শিক্ষক শ্যামল কান্তি ভক্তের উপর নিপীড়ন চলছে, প্রতিবাদও চলছে। নিপীড়নের ধরণ আর প্রতিবাদের ধরণটা কেমন? আওয়ামী লীগ-হেফাজত মিলনের কী প্রভাব পড়ছে এক্ষেত্রে?

আওয়ামী লীগ কেন হেফাজতকে এভাবে কাছে টেনে নিল, এই প্রশ্ন বা প্রসঙ্গের পর্যালোচনায় আসি।

১. মন্ত্রী, আওয়ামী লীগ নেতা এবং শুভাকাক্সক্ষীদের সঙ্গে আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে তাদের রাজনৈতিক ভাবনাটা বোঝার চেষ্টা করেছি।

সেটা অনেকটা এমন-

ধর্মভিত্তিক যে রাজনীতি, তার প্রেক্ষিতে যে ভোট তা সব সময় বিএনপি পায়। গত সাত-আট বছরে রাজনৈতিক দল বিএনপিকে নিঃশেষ করে দেয়া হয়েছে। এখন যদি ধর্মভিত্তিক ভোট বিএনপির দিকে না যায়, তাহলে নির্বাচনে বিএনপির জেতার সম্ভাবনা নেই। ধর্মভিত্তিক ভোট আওয়ামী লীগ পেতে চায়। যদি ভোট নাও পায়, বিএনপি যাতে সব ভোট না পায়, সেই ব্যবস্থা করতে চায়। বহু চেষ্টা করে আওয়ামী লীগ নিশ্চিত হয়েছে যে, জামায়াতের ভোট সে পাবে না। জামায়াত ভাঙার চেষ্টাও ব্যর্থ হয়েছে। যুদ্ধাপরাধী হিসেবে নেতাদের ফাঁসি হওয়ায় সাংগঠনিকভাবে জামায়াত দুর্বল হয়েছে। ভোট বাড়েনি, কমেওনি। জামায়াত স্বতন্ত্রভাবে নির্বাচন করুক বা না করুক, তার ভোট বা ভোটের সুবিধা বিএনপি পাবে। আওয়ামী লীগ পাবে না।

আওয়ামী লীগের অনেক নেতা মনে করছেন,জামায়াত ছাড়া ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ভোটের রাজনীতিতে বড় ফ্যাক্টর হেফাজতে ইসলাম। দেশের মানুষ এখন ধর্মের দিকে ঝুঁকে গেছে। ধর্মকে কেন্দ্র করে আগামীর রাজনীতি-নির্বাচন আবর্তিত হবে। এই রাজনীতি-ভোট নিয়ন্ত্রণে হেফাজতের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা থাকবে। হেফাজতকে আওয়ামী লীগ বিরোধী শিবিরে না রাখার কৌশল হিসেবেই কাছে টানা হয়েছে। তবুও আওয়ামী লীগ নিশ্চিত নয় যে, হেফাজতের ভোট তারা পাবেই। আওয়ামী লীগের কোনো কোনো নেতা মনে করেন, হেফাজতের ভোট নাই। তবে হেফাজত আন্দোলন করে সরকারকে বিপদে ফেলতে পারে। কিছু দাবি মেনে, সুযোগ -সুবিধা দিয়ে হেফাজতকে হাতে রাখা সরকারের একটা গুরুত্বপূর্ণ অর্জন। এর ফলে আওয়ামী লীগের অনেক শুভাকাঙ্খী দুরে সরে যাচ্ছে, তা নিয়ে শঙ্কায় অনেক নেতা।

আওয়ামী লীগের একটি চেষ্টা আছে, সামনে থাকবে হেফাজতকে রাজনৈতিক দল হিসেবে আত্মপ্রকাশ করানোর। হেফাজত সরাসরি নির্বাচন করলে ধর্মভিত্তিক ভোট ভাগ হয়ে যাবে। ফলে জামায়াত-বিএনপি বনাম হেফাজত ভোট ভাগ হবে। মাঝে থেকে বিজয়ী হবে আওয়ামী লীগ।

যদি সুষ্ঠু, গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করতে হয়, তবে এই কৌশল কাজে আসবে বলে বিশ্বাস করেন আওয়ামী লীগের অনেকে। আর যদি নির্বাচন সরকার তার ইচ্ছেমতো করতে পারে, সেই সম্ভাবনা তৈরি হয়, তবে হেফাজতকে কিছু আসন দেয়ার টোপ দেবে আওয়ামী লীগ। জাতীয় পার্টি কিছু আসন পাবে, হেফাজতকে কিছু আসন দেয়ার ব্যবস্থা করে, জাতীয় পার্টি -হেফাজত সম্মিলিতভাবে বিরোধী দলের অবস্থানে থাকবে।

আওয়ামী লীগের সর্বোচ্চ চেষ্টা থাকবে বিএনপি যাতে নির্বাচনে না আসে, সেই প্রেক্ষাপট তৈরি করা। খালেদা জিয়াসহ বিএনপির প্রথম সারির নেতাদের শাস্তি কার্যকর করে বিএনপির নির্বাচনে না আসার পথ প্রস্তুত করে দিতে চায়। তার পরেও বিএনপি নির্বাচনে আসবে, আওয়ামী লীগের কাছে এমন তথ্য আছে।

আওয়ামী লীগ পুরোপুরি নিশ্চিত নয় যে, তারা তাদের মতো করে নির্বাচনটি সম্পন্ন করতে পারবে। নানা সমীকরণে আওয়ামী লীগ ধারণা করছে নির্বাচনটি মোটামুটি সুষ্ঠু করার প্রেক্ষাপট তৈরি হতে পারে। বিশেষ করে ২০১৪ সালের ঘটনার  পুনরাবৃত্তি ঘটার সম্ভাবনা খুব কম। কোন প্রক্রিয়ায় নির্বাচনটি প্রভাবিত করে পক্ষে আনা যাবে, আওয়ামী লীগ তা নিশ্চিত নয়। বেশ বিচলিত। অনেক সমীকরণ মেলানো কঠিন হয়ে পড়ছে।

আওয়ামী লীগ মুখে বলছে বিএনপি নিঃশেষ। গোয়েন্দা রিপোর্ট এবং সাম্প্রতিক ভোটের রাজনীতির পর্যবেক্ষণে আওয়ামী লীগ নিশ্চিত যে, বিএনপির ভোট কমেনি, বেড়েছে। বিএনপি আন্দোলন করতে পারবে না, ভোট আগের চেয়ে বেশি পাবে। বিএনপি নির্বাচন করলে, প্রভাবিত করে সেই ভোট আওয়ামী লীগের পক্ষে আনা অসম্ভব। মানুষ কেন্দ্রে ঢুকতে পারলে ভোট বিএনপি পাবে। সেক্ষেত্রে ফলাফল প্রভাবিত করাটা অত্যন্ত দূরূহ হয়ে পড়বে। এমন কিছু করতে হলে, ভোট গণনা নয়, ফলাফল ঘোষণা করতে হবে। যা এত সহজ হবে না। জাতীয় পার্টি-হেফাজতের চেয়ে বিএনপিকে কম আসন দেয়ার পরিস্থিতি তৈরি করা প্রায় অসম্ভব। আবার হেফাজত যদি মোটামুটি একটি অবস্থানের বিষয়ে নিশ্চিত না হয়, তবে নির্বাচন করবে না। বিএনপি নির্বাচন করলে হেফাজতের যে সেই অবস্থান থাকবে না, তা নিশ্চিত করেই মাওলানা শফি, বাবু নাগরীরা জানে।

সেক্ষেত্রে মূল বিএনপি নেতাদের শাস্তির পর বিএনপির একটি খণ্ডিত অংশকে নির্বাচনে আনার চেষ্টা করা হতে পারে। যে চেষ্টা গত চার-পাঁচ বছর ধরে করে সফল হওয়া যায়নি। নির্বাচনের আগ মুহূর্তে সফল হওয়া যাবে, সেই সম্ভাবনাও খুব কম।

বিএনপি যেহেতু কঠিন সময় পার করছে, সেহেতু একটি প্রস্তাব এমন হতে পারে যে, ৮০টি বা ১০০টি আসন নিয়ে বিএনপি বিরোধী দলে থাকুক। খালেদা জিয়া জেলে-বাইরে যে যেখানে যে অবস্থানেই থাকেন না কেন, এমন কোনো প্রস্তাবে সম্মতি দেবেন- এই বিশ্বাস কম মনে করছেন আওয়ামী লীগ নেতারাও।

আবার বিএনপিকে এমন প্রস্তাব দিলে বিগড়ে যাবে হেফাজত-জাতীয় পার্টি। সেক্ষেত্রে সকল সমঝোতা ভণ্ডুল করে হেফাজত-জাতীয় পার্টি সরাসরি চলে যেতে পারে বিএনপির পক্ষে। সেক্ষেত্রে আওয়ামী লীগ বড় বিপদে পড়বে।

হেফাজতকে দিয়ে রাজনৈতিক দল গঠন করানোর বিষয়েও আওয়ামী লীগ নিশ্চিত নয়। এমনকি এও নিশ্চিত নয় যে, দল গঠন করালেও ধর্মভিত্তিক ভোট হেফাজত পাবেই। হেফাজত দল গঠন করে নির্বাচন করলেও ভোট পাবে না। ধর্মভিত্তিক ভোট বিএনপিই পাবে। আওয়ামী লীগের অনেক নেতাই তা মনে করেন।

সুতরাং হেফাজতের সঙ্গে সখ্যতা করে আওয়ামী লীগ স্বস্তিতে তো নয়ই, চরম অস্বস্তিতে আছে। নির্বাচনে যদি মানুষ ভোট দিতে পারে, সেই নির্বাচনে বিজয়ী হওয়ার সমীকরণ মেলাতে পারছে না আওয়ামী লীগ।

২. হেফাজতের সঙ্গে সখ্যতায় আওয়ামী লীগ সামাজিক-সাংস্কৃতিকভাবে বড় সংকটের মুখে পড়েছে। সাংস্কৃতিক নেতারা দেখা করতে গেলে প্রধানমন্ত্রী তাদের গুরুত্ব দিচ্ছেন না। কারণ তাদের হাতে কোনো ভোট নেই। সাংস্কৃতিক নেতাদের নীতি-নৈতিকতা, সামাজিক গ্রহণযোগ্যতা অন্য যে কোনো সময়ের চেয়ে কম। আওয়ামী লীগ সমর্থিত নাগরিক সমাজের অবস্থা আরও করুণ। ১৪ দলীয় জোটের শরীক বাম রাজনৈতিক দলগুলোর কারোরই নিজস্ব ভোট নেই। জামানত বাজেয়াপ্ত হতে তাদের প্রায় সবার, আওয়ামী লীগের ভোট না পেলে।

গত সাত-আট বছরে আওয়ামী লগি যে রাজনীতি করেছে, তাতে মানুষ ক্ষিপ্ত হয়েছে। আওয়ামী লীগের নিজস্ব যে ভোট তা কমেছে বলা যাবে না। সামাজিক-সাংস্কৃতিক অঙ্গণের প্রভাবে যে ভোট আওয়ামী লীগ পায়, তা না পাওয়ার প্রবল সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। নারায়ণগঞ্জের প্রেক্ষাপটে বিষয়টি বিশ্লেষণ করা যেতে পারে।

নারায়ণগঞ্জ আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে ওসমান পরিবার। আওয়ামী লীগের ভোটের বাইরে তাদের নিজস্ব কোনো ভোট নেই। ত্বকী হত্যা ইস্যুতে, শিক্ষক নিপীড়ন এবং ওসমান পরিবারের অন্যান্য অপকর্মের কারণে, সামাজিক-সাংস্কৃতিক প্রভাবের ভোট  পাবে না আওয়ামী লীগ। আওয়ামী লীগের নিজস্ব কিছু ভোটও তারা পাবে না। নারায়ণগঞ্জের জনপ্রিয় রাজনীতিবিদ, মেয়র সেলিনা হায়াত আইভি নীরবে ওসমান পরিবারের বিরুদ্ধে থাকবেন। সামাজিক-সাংস্কৃতিক কর্মী-নেতা, নাগরিক সমাজ আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে।

নিজেদের দুর্বলতা কাটানোর জন্যে ওসমান পরিবার আশ্রয় নিয়েছে হেফাজতের কাছে। মুক্তবুদ্ধি বা মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের হিসেবে আওয়ামী লীগকে ভোট দেয়া যে ভোটার, তারা হেফাজতের কারণে আওয়ামী লীগকে ভোট দেবে না। কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের মতো ওসমান পরিবারও মনে করছে, হেফাজতের অনেক ভোট। বাস্তবে শুধু নারায়ণগঞ্জে নয়, সারা দেশের প্রেক্ষিতে ভোটের রাজনীতিতে হেফাজত কখনো গুরুত্বপূর্ণ ছিল না, এখনও গুরুত্বপূর্ণ নয়, আগামী নির্বাচনেও গুরুত্বপূর্ণ থাকবে না। হেফাজত নেতারা ওসমান পরিবারের সঙ্গে থেকে সুযোগ-সুবিধা নিলেও, ধর্মভিত্তিক ভোট বিএনপি পাবে। হেফাজত-আওয়ামী লীগ মিলেমিশে একাকার হয়ে যাওয়ায় ইমেজ সংকটেও ভোট কমবে।

সারা দেশের প্রেক্ষিতে সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের ভোট এবারও আওয়ামী লীগ পাবে। নারায়ণগঞ্জের প্রেক্ষিতে হিন্দুদের ভোটের বড় অংশ আওয়ামী লীগ পাবে না। শিক্ষক শ্যামল কান্তি ভক্তের উপর নিপীড়ন-নির্যাতন করছে ওসমান পরিবার। তাকে জেলে ঢোকানোর নেপথ্যেও ওসমান পরিবার বলে মানুষ বিশ্বাস করে। ভোটের রাজনীতিতে শুধু সংখ্যালঘু ভোটে নয়, সামগ্রিক ভোটেই এর প্রভাব পড়বে।

৩. নারায়ণগঞ্জ ঢাকার পাশে, ওসমান পরিবারের দৃশ্যমান অপকর্মের কারণে আলোচনা বেশি হচ্ছে। অনেকেই বলবেন, সারা দেশের চিত্র নারায়ণগঞ্জের মতো নয়। হ্যাঁ, চিত্র সব জায়গায় নারায়ণগঞ্জের মতো নয়, এক এক জায়গায় এক এক রকম। সাত-আট বছর রাজনীতি না করা আওয়ামী লীগ নেতাদের অবস্থা সারা দেশেই বেশ করুণ। দলে কোন্দল ভয়াবহ। স্থানীয় সামাজিক-সাংস্কৃতিক এবং নাগরিক সমাজের সুবিধা পাওয়া দু’একজন ছাড়া, মূল অংশটি বিক্ষুব্ধ। এমন প্রতিকূল অবস্থায় দৃশ্যমান এবং অদৃশ্যভাবে অনেক জায়গায় আওয়ামী লীগ আশ্রয় খুঁজছে হেফাজতের কাছে। ফলে মুক্তিযুদ্ধ, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বা জঙ্গি ইস্যুতে আওয়ামী লীগ ভোটার বা জনমত পক্ষে টানতে পারবে না।

কোনো কিছু না করে, সাংগঠনিকভাবে অত্যন্ত দুর্বল অবস্থানে থেকেও ভোটের রাজনীতিতে বিএনপি আরও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। আওয়ামী লীগ যা করেছে- করছে, তার ফলেই বিএনপির ভোট বেড়েছে- বাড়ছে।

বিদ্যুতের উৎপাদন বেড়েছে। অপরিকল্পিত রাজনৈতিক সংযোগের কারণে, মানুষের ভোগান্তি কমেনি। বাড়তি বিল এবং ভোগান্তিতে মানুষ বিক্ষুব্ধ। ‘উন্নয়ন’র গল্পের চেয়ে ‘দুর্নীতি-টাকা লুট-পাচার’র কাহিনী মানুষ বেশি বিশ্বাস করে।

সুষ্ঠু নির্বাচন করে একটি গ্রহণযোগ্য সরকারের নেতৃত্বে আসার অনেক পরিকল্পনা নিয়ে সময় পার করছে আওয়ামী লীগ। হিসেব যতটা মিলছে, অমিল থেকে যাচ্ছে তার চেয়ে বেশি। গণমানুষের রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ, গণমানুষকে বাদ দিয়ে ‘কতটা ভুল রাজনীতি করল’ আগামী নির্বাচনে নিশ্চয়ই সেই বিশ্লেষণ হবে। কোনো সমীকরণে ক্ষমতায় থেকে গেলেও, এই হিসেব এবং দায়ভার আওয়ামী লীগকে বহন করতে হবে বহু বছর।

গোলাম মোর্তোজা : সম্পাদক, সাপ্তাহিক
s.mortoza@gmail. com


 

 

 

  • প্রকাশিত মতামত লেখকের একান্তই নিজস্ব। কাগজ২৪-এর সম্পাদকীয় নীতি/মতের সঙ্গে লেখকের মতামতের অমিল থাকতেই পারে। তাই এখানে প্রকাশিত লেখার জন্য কাগজ২৪ কর্তৃপক্ষ লেখকের কলামের বিষয়বস্তু বা এর যথার্থতা নিয়ে আইনগত বা অন্য কোনও ধরনের কোনও দায় নেবে না।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!