হোমিওপ্যাথি-এনাটমি॥ মানুষ দেহ দৃশ্যমান প্রাণ অদৃশ্য
হোমিওপ্যাথি-এনাটমি॥ মানুষ দেহ দৃশ্যমান প্রাণ অদৃশ্য
আওলাদ হোসেন
মানুষের চরিত্রকে বিশ্লেষণ করা হোমিওপ্যাথির কাজ। বস্তুগত ধারনা দিয়ে আল্লাহ পাককে পাওয়া যায় না, অপরদিকে মানুষকে বস্তুর আকার দিয়ে বস্তুগত সীমাবদ্ধতার মধ্যে আটকে রাখা হয়েছে অদৃশ্যকে যা মানুষের মূল অস্তিত্ব। অনন্ত জীবন যখন দেয়া হবে তখন সবই অনন্তের মধ্যে বিস্তারিত হবে যার ধারনা মানুষের জ্ঞানের সীমার মধ্যে নেই। কিছুটা হয়তো আধ্যাত্মিক সাধনার মাধ্যমে পাওয়া যেতে পারে যা পরার্থের অন্নে পালিতরা কলুষিত করে রেখেছে এবং মানুষকে সহজপথ দেখিয়ে মোহগ্রস্ত করে রেখেছে। আরও বিপদের কারণ হচ্ছে মানুষ যখন বিজ্ঞানের শিক্ষায় শিক্ষিত হয় তখন মূল সহ উপড়ে ফেলে। অর্থাৎ তখন আর স্রষ্টাকে খুঁজে পায় না। বস্তুবাদকেই তখন স্রষ্টাবাদ মনে করে এবং স্রষ্টা যা নিষেধ করেছেন তাতেই আরও বেশি করে ঝাঁপিয়ে পড়ে। সেখানে সেই বিরুদ্ধতা আরও বাড়িয়ে দেয়া হয়। ফলে মৃত্যুর পূর্ব মূহুর্ত পর্যন্ত আর পথ খুঁজে পায়না। আমাদের দেশে ২ ধরনের প্রকৃতিবাদী পাওয়া যায়। (১) অনুকরণ প্রিয় (২) আত্মবিশ্বাসহীন। মূল বিষয় ((Basic Concept) নিয়ে যদি আলোচনা করা হয় এবং তাতে ঐ ২ ধরনের মতাবলম্বীদের সংশোধন করার ব্যবস্থা থাকে তাতে কিছুটা রক্ষা পাওয়া যায় কিন্তু বিজ্ঞানের অগ্রগতি আমাদেরকে ধ্বংসের দ্বার প্রান্তে নিয়ে যায়। এখানে ভাল-মন্দ দুটোই জড়িত থাকে যা স্রষ্টার একটি খেলা।
অপকর্মের দোসর হচ্ছে পরিবেশ পরিস্থিতি। স্রষ্টা ধর্মের পথে সব মানুষকে আনতে পারতেন অথবা সংগে সংগে উত্তম শাস্তির ব্যবস্থা করতে পারতেন কিন্তু Terms appointed কথাটি স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন। পরকালের বিচারকে মানুষ ভুলে আছে। প্রকৃত সাধক নেই, শয়তান পিছু ছাড়ছে না। ওয়ামা উবাররিয়ু লিনাফছি-সুযোগ পেলেই বেড়ায় ক্ষেত খায়। পাপের পরিনতি বা ফসল এই পৃথিবী। অনেক সময় মানুষ মানুষকে বিশ্বাস করে থাকে। সাধুদের বা ধার্মিকদের ভন্ডের রূপ ধারণ করতে দেখা যায় যা সাধারণ মানুষ কল্পনাও করতে পারে না। ফলে পৃথিবী প্রকৃত সত্যের সন্ধান হতে বঞ্চিত হয়। মানুষ মানুষের প্রতি জুলুমকারী হয়। অনেক সময় রোগ শোক মৃত্যু মানুষকে চরম শাস্তিদাতা হিসেবে আবির্ভূত হয় চরিত্রে লোভ লালসা সকল জ্ঞান বুদ্ধিকে হরণ করে নেয়, এভাবেই পৃথিবীতে উত্থান পতন গলাগলি ধরে পথ চলে। এটাকে সজীবতা বলা হয়, ভাঙ্গাগড়া চলে যা পৃথিবীর অলংকার বা আত্মহংকার। তা না হলে নিজে না খেয়ে অপরকে গ্রাস করার জন্য সমর প্রস্তুতি নিয়ে ২৪ ঘন্টা কুটবুদ্ধি আর কুটচাল নিয়ে ব্যস্ত থাকতো না। ভ্রাতৃত্ববোধ সদা জাগ্রত থাকত। আমি মনে করি প্রকৃতির রূপ রস গন্ধ এই শক্তির ইন্ধন এবং মানুষ এর উর্দ্ধে উঠার কোন চিন্তাই করতে পারে না। ফলে যুদ্ধ বিগ্রহ, দুর্ভিক্ষ, মহামারী, বন্যা, অভাব, অনটন ব্যাপক গণহত্যা, যৌন রোগ, অপমৃত্যু, হানাহানি লেগেই থাকে। মানুষ সৃষ্টির রহস্য এনাটমির বিশ্লেষণ দ্বারা উপলব্ধি করা যেতে পারে। একটা জীবন যতটা সহজ ততটা সহজ নয়, যতটা কঠিন ততটা কঠিন নয়। একজন গরীবের যতটা অহংকার একজন ধনীর তার চাইতে বেশী অহংকার থাকতে পারে কিন্তু সত্যাশ্রয়ী জীবন কোথাও খুঁজে পাওয়া যাবে না। বর্তমানে Mind Method নামে কিছু একটা চালু হচ্ছে।
অথচ ডা. হ্যানিম্যান নিজে মেডিকেল সাইন্স এ Mind নিয়ে বিশ্লেষণ মেটেরিয়া মেডিকায় সংযোজন করেছেন যা এলোপ্যাথিতে নেই।
এখানে দেখতে হবে এই Bio-chemic Methord এর মত আলাদা শাস্ত্রে পরিণত না হয়। এলোপ্যাথে নিত্যনতুন গবেষনার ফসল Medicine এ নোবেল প্রাইজ। মনে রাখতে হবে হোমিওপ্যাথিতে অর্গানন বইটিকেই সবকিছু বলা হয়েছে এবং ২৯১টি সূত্র নিয়েই পূর্ণাঙ্গ চিত্র প্রকাশ পেয়েছে এটাকে বাদ দিলে হোমিওপ্যাথি ও ডা. হ্যানিম্যানকে বাদ দেয়া হবে। মূল কথা কোন Contradiction না থাকে
বা বিকল্প কিছু না হয়। মা যেন মামার বাড়ীর গল্পে পরিণত না হয়।
Selection of the remedy হচ্ছে মূল কথা। এর মূলে হচ্ছে যা সনাক্ত করা ও প্রয়োজন অনুসারে ওষুধ পরিবর্তন করা চির রোগের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। যা আমরা করি না বা পারি না। হোমিওপ্যাথিতেও এনাটমি সমান গুরুত্ব বহন করে। চিকিৎসা বিদ্যায় জ্ঞানের স্বল্পতার কারনে গইইঝ ছাত্রদের সংগে প্রতিযোগিতায় আমাদের ছাত্ররা কতটা পারদর্শী তা একটু যাচাই করে নেয়াই ভাল এবং মৌখিক পরীক্ষায় এনাটমির যে উত্তর দিয়ে থাকি তা না বলাই ভাল। অবশ্য অনেকেই সরাসরি বলে থাকেন আমরা এত শিক্ষিত নই বলেই হোমিওপ্যাথিতে এসেছি। অথচ বিদ্যার কোন বিকল্প নেই। এখন এনাটমি এলোপ্যাথদের মত এনাটমির কথা বলতেই স্রষ্টার জ্ঞান বুদ্ধির কাছে মানুষ পিঁপড়া তুল্যও নয়। কত সূক্ষ্ম কারুকার্য দিয়ে মানুষ গড়া তা ভেবে না দেখলে স্রষ্টাকে পাওয়া যাবে না। প্রথমে মানুষের পরিচয় দেয়াই ভাল। আল্লাহপাক কুন, ফায়াকুন বলায় সব হয়েছে কিন্তু মানুষ পৃথিবীতে যে পরিবেশে থাকবে তাকে প্রাকৃতিক পরিবেশ বা প্রকৃতি (Nature-Natural) বলা হয়। ফলে মানুষ শুধু ফল টুকু ভোগ করছে, আদি অন্ত প্রকৃতি জানেনা। কাজ কর্ম মানুষ সবই পারে স্রষ্টার প্রয়োজন হয় না। এনাটমিতে বুঝা যায় যিনি বানিয়েছেন তিনি মানুষকে কতটা কঠিন অবস্থার মধ্যে প্রানের সঞ্চার করেছেন পুরুষ ও মহিলা বিজ্ঞানের বিশ্লেষন, চিন্তার জগত যান্ত্রিক উপায়ে দেহের ভিতরে স্থান করে দেয়া হয়েছে চলছে একই নিয়মে, কেউ বিপরীত কিছু করে না, এটাই জীবন, একই দেহ কত তার রূপ, কে বানিয়েছেন।
কিছু শব্দঃKidney:
১। হার্ট চিত্র-১
২। কিডনি-২
৩। Abdomino=Belly (উদর), pelvic (শ্রোণী, মেরুদন্ডের নীচে) Quadrants and Regions
৪। Pelvis anatomy
৫। Pelvis (গর্ত, ছিদ্র)
৬। Eye-6 (৬টি অংশ)
৭। Heart and Valve (কপাটক)
৮। Lungs (ফুসফুস)
৯। Ligament Cornia (পক্ষিগোলকে স্বচ্ছ আবরণ) Medical Illustration Iris Pupil (চোখের মনি) lens Retina (অক্ষিপট) OpticnerveHeart-Valve Tricuspide v Pulmonic Aortic v, mitral, atrium, R/L Ventricle (নিলয়) R/L
Lungs-Abdomen- picture 9 quadrants.
Pelvis Anatomy:
Pelvic Cavity Primarily Contains Reproductive Organs the urinary bladder, the pelvic colon, (মলাশয়) and the rectum bounded by the bones of the pelvic. Cavity n‡”Q 1. Cranial Cavity (করটি সংক্রান্ত)
২. Dorsal Cavity (পৃষ্ঠ দেশীয়)
৩. Ventral (উদরিক)
৪. Thoracic cavity (বক্ষ সম্বন্ধীয়)
৫. Spinal cavity (মেরু দন্ডীয়)
৬. Abdomnal cavity
৭. Abdomino pelvic cavity Hip (নিতম্ব)
১। ডাক্তারি বিদ্যার একটি অংশ হচ্ছে এনাটমি।হোমিওপ্যাথি যেহেতু ডাক্তারি কাজে নিয়োজিত অতএব এখানে এনাটমি জানা অত্যন্ত জরুরী। যারা ডি এইচ এম এস করেছেন তাদের অনেকেই হার্ট কপালে থাকে, পাকস্থলী কোথায় থাকে, দেহের হাড় কতটি, জানতে চাইলে যে উত্তর পাওয়া যায় তা শহরের লোকেরা অনেক বেশি জানে। হোমিওপ্যাথের পোষাক দেখলে সে যে ডাক্তার আর তার রোগী যে তার মতই তা আর বলার প্রয়োজন নেই।
২। হোমিওপ্যাথির সঙ্গে এনাটমির যে সম্পর্ক এর সঙ্গে ধর্মের একটি সম্পর্ক পাওয়া যায়। মানুষ এলো কোথা থেকে দেহের সঙ্গে আত্মার কি সম্পর্ক এবং স্রষ্টার কি অপূর্ব সৃষ্টি এনাটমির অস্থিবিদ্যা থেকে শুরু করে প্রজনন তন্ত্র একটি নির্দিষ্ট নিয়মের মধ্যে পরিচালিত হচ্ছে, রাব্বানা মা খালাকতা হাযা বাতিলা অথবা ওয়ামা উতিতুম মিনাল ইলমে ইল্লা কালিলা অথবা লাকাদ খালাকনাল ইনছানা ফি আহসানে তাকভিম এর সঙ্গে চন্দ্র, সূর্য, তারকারাজীর সংগে পৃথিবীর জনগনের আত্মার মনের জীবনীশক্তির যথেষ্ট মিল আছে যা জানা প্রয়োজন। সৃষ্টির অপূর্ণ সংযোগ সাধন অঙ্গে অঙ্গে গাঁথুনী মনে করিয়ে দেয় জগতের অন্য সকল প্রানী অপেক্ষা মানুষ সম্পূর্ণ আলাদা। ডাক্তারি করতে হলে শুধু ঔষধ ছাড়া অন্য সবকিছু এম বি বি এস এর মত আর সদৃশ কথা দিয়েই পার্থক্য শুরু। স্রষ্টার অপূর্ব সৃষ্টি মনে করেই সরাসরি ডাক্তারি বিদ্যার পরও দেহ ও আত্মার সংযোগ ঘটানোই বড় কথা- স্রষ্টাকে বাদ দিয়ে কোনো কিছু না। এখানেই মানুষ পথ হারায়, ভুল করে থাকে স্বীকৃতি দেয়া In the name of Allah Most gracious, Most Merciful ঠিক এ কারনেই আমার এই লেখা। চিন্তা করতে হবে। এনাটমী এট-এ গ্লান্স কিছু চিত্র দেয়া হলো:-
1. the thorax Testis & Epididymis: কংকালের কাজ কীঃ প্রভাইড সেভ প্রটেকশন অব অর্গানস, Attachment of muscle, Make Red bloodcels 206 bones……… to Produce red Bloodcels-with the bone Marrow, red bloodcells,, রক্ত এখানেই সৃষ্টি হয়। Carry oxygen. Ribs Sternum, Spine-Cervical area-7 thorasic-12, Lumber-5, secram-5 Coccyx ইহাই মানব দেহের কলকব্জা যা স্রষ্টার অপূর্ব সৃষ্টি, মানুষ এখানে অসহায়, জানার আগ্রহ থাকলে যেনে নিতে পারে মাত্র। কিন্তু প্রাণ অদৃশ্য।
- প্রকাশিত মতামত লেখকের একান্তই নিজস্ব। কাগজ২৪-এর সম্পাদকীয় নীতি/মতের সঙ্গে লেখকের মতামতের অমিল থাকতেই পারে। তাই এখানে প্রকাশিত লেখার জন্য কাগজ২৪ কর্তৃপক্ষ লেখকের কলামের বিষয়বস্তু বা এর যথার্থতা নিয়ে আইনগত বা অন্য কোনও ধরনের কোনও দায় নেবে না।
কাগজ টুয়েন্টিফোর বিডি ডটকম এ প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।