১৮ কোটি টাকা আত্মসাতের আসামি টাঙ্গাইলের জাহালমের বাড়ি
অনলাইন ডেক্স । কাগজটোয়েন্টিফোরবিডিডটকম
পাঁচ বছর আগে সোনালী ব্যাংকের ১৮ কোটি ৪৭ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে টাঙ্গাইলের নাগরপুরের জাহালমের বিরুদ্ধে ৩৩টি মামলা দেয় দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
২০১৪ সালের ১৮ ডিসেম্বর সকাল সাড়ে ৯টায় জাহালমকে দুদকে হাজির হতে বলা হয় দুদকের দেয়া চিঠিতে।জাহালম সে সময় নরসিংদীর ঘোড়াশালের বাংলাদেশ জুট মিলে শ্রমিকের কাজ করছিলেন। যথাসময়ে দুদকে হাজিরা দিয়ে জাহালম আবার কর্মস্থলে যান।
এর দুই বছর পর ২০১৬ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি নরসিংদীর ঘোড়াশালের ওই জুট মিল থেকে জাহালমকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে তাকে টাঙ্গাইলের নাগরপুর থানায় আনা হয়।
পরদিন টাঙ্গাইলের আদালতে তোলা হলে জাহালমকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন বিচারক। ৭ দিন টাঙ্গাইল কারাগারে রাখার পর তাকে কাশিমপুর-২ কারাগারে নেয়া হয়। এরপর থেকে তিনি তিন বছর সেখানেই কারাবন্দি ছিলেন।
ভুল মামলায় গ্রেপ্তারের বিষয়টি নজরে আসায় রোববার হাইকোর্ট জাহালমকে মুক্তির নির্দেশ দেন। পরে রাত ১টার দিকে তিনি মুক্তি পান।
গ্রেপ্তারের সময় জাহালম বলেছিলেন, ‘স্যার, আমি জাহালম। আবু সালেক না। আমি নির্দোষ।’ কিন্তু, জুট শ্রমিক জাহালমের কোনো কথাই পুলিশ কিংবা দুদক শোনেনি। যার ফলে আসল আসামি সালেকের পরিবর্তে জাহালমকেই ৩ বছর কারাভোগ করতে হয়েছে।
জাহালমের বাড়িতে ৮/১০ ফিট দৈর্ঘের একটি একচালা ঘর। ঘরটিও আবার জরাজীর্ণ। ঘরের ভেতরে শোবার একটি চৌকি ছাড়া তেমন কিছু নেই। এতটাকা আত্মসাৎ করে থাকলে তার ঘরের এমন বেহাল দশা থাকে কিভাবে, প্রশ্ন স্থানীয়দের।
জাহালম বলেন, ‘গ্রেপ্তারের সময় বারবার বললেও দুদকের কোনো কর্মকর্তা আমার কথা শোনেননি। সেই সময় দুদক কর্মকর্তারা তাকে পেটানোর ভয়ও দেখান।