২৯ ঘণ্টা পানির নিচে থেকেও জীবিত সোহাগ
অনলাইন ডেস্ক । কাগজটোয়েন্টিফোরবিডিডটকম
নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যা নদীতে বাল্কহেড ডুবে যাওয়ার ২৯ ঘণ্টা পর সোহাগ হাওলাদার (৩০) নামের এক শ্রমিককে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে বাল্কহেডের ইঞ্জিন রুম থেকে। ডুবে যাওয়া বাল্কহেডটি ইঞ্জিন রুমের ভেতরে কম পানি প্রবেশ করায় তিনি বেঁচে যান। পরে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
বুধবার বেলা ১১টায় বন্দর উপজেলার ২নং ঢাকেশ্বরী সোনাচড়া এলাকায় বিআইডব্লিউটিসির ডুবন্ত জাহাজের সঙ্গে ধাক্কা লেগে বালুবাহী বাল্কহেড ডুবে যাওয়ার পর বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টার দিকে ওই শ্রমিককে উদ্ধার করা হয়।
সোহাগ হাওলাদার বরিশাল বাবুগঞ্জ উপজেলার ইদুলকাঠি গ্রামের বাদল হাওলাদারের ছেলে ও ডুবে যাওয়া বাল্কহেডের ইঞ্জিন চালক।
উদ্ধারকারী দলের সদস্য মো. আব্দুল জাহাঙ্গীর শিকদার জানান, বাল্কহেডের ইঞ্জিন রুমে আটকে ছিল সোহাগ। তার শরীরের কিছু অংশ পানির উপরে থাকায় বেঁচে ছিল।
নৌ-পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু তাহের খান জানান, দুই দফা খোঁজাখুঁজির পর যখন পাওয়া যাচ্ছিল না তখন সবাই আশা ছেড়ে দেয়। পরে বিকেলে খোঁজ করা হয়। ৩০ ফুট পানির নিচে ২৯ ঘণ্টা তিনি জীবিত ছিলেন। পরে তাকে উদ্ধার করা হয়।
বুধবার বালু নিয়ে কাঁচপুরের উদ্দেশে যাচ্ছিলো ‘এমভি মুছাপুর’ নামের বাল্কহেডটি। সকাল ১১টায় বন্দর উপজেলার ২নং ঢাকেশ্বরী সোনাচড়া এলাকায় পৌঁছালে পানির নিচে বিআইডব্লিউটিসির ডুবন্ত জাহাজের সঙ্গে ধাক্কা লেগে ৬ জন শ্রমিকসহ ডুবে যায়। সে সময় ৫ জন তীরে উঠতে পারলেও নিখোঁজ ছিল সোহাগ হওলাদার। ওইদিন বন্দর ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরী দল তল্লাশি চালালেও সোহাগকে উদ্ধার করতে পারেনি।