টাঙ্গাইলে মাধ্যমিক পর্যায়ে অধ্যক্ষ, প্রধান শিক্ষক ও সুপারের ৫১টি পদ শূন্য
বিভাস কৃষ্ণ চৌধুরী, টাঙ্গাইল, বিশেষ প্রতিনিধি । কাগজটোয়েন্টিফোরবিডিডটকম
টাঙ্গাইলে মাধ্যমিক পর্যাযে অধ্যক্ষ পদে ১৩ জন, প্রধান শিক্ষক পদে ৩১ জন ও সুপার পদে ৭ জনের পদ শূন্য রয়েছে। আর এতে ব্যাহত হচ্ছে প্রশাসনিক কার্যক্রমসহ শিক্ষা কার্যক্রম।
টাঙ্গাইল জেলা শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা যায়, টাঙ্গাইল সদর উপজেলায় অধ্যক্ষ পদে ২ জন, প্রধান শিক্ষক পদে ৩ জন; ধনবাড়ী উপজেলায় অধ্যক্ষ পদে ২ জন, প্রধান শিক্ষক পদে ২ জন, সুপার পদে ২ জন; বাসাইল উপজেলায় প্রধান শিক্ষক পদে ২ জন; নাগরপুরে অধ্যক্ষ পদে ১ জন, প্রধান শিক্ষক পদে ৫ জন; সখীপুরে অধ্যক্ষ পদে ২ জন, প্রধান শিক্ষক পদে ৩ জন; গোপালপুরে প্রধান শিক্ষক পদে ৪ জন; কালিহাতীতে অধ্যক্ষ পদে ১ জন, প্রধান শিক্ষক পদে ৩ জন; ঘাটাইলে প্রধান শিক্ষক পদে ৫ জন, সুপার পদে ৩ জন; দেলদুয়ারে অধ্যক্ষ পদে ২ জন, প্রধান শিক্ষক পদে ৩ জন; মির্জাপুরে অধ্যক্ষ পদে ১ জন, প্রধান শিক্ষক পদে ২ জন, ভুঞাপুরে সুপারের ৩টি পদ শূন্য রয়েছে ।
এ বিষয়ে কথা হয় সখীপুরের বড় চওনা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক আশুতোষ বনিকের সাথে। তিনি বলেন, আমাদের স্কুলে প্রধান শিক্ষক না থাকায় শিক্ষা কার্যক্রমসহ প্রশাসনিক কাজ কিছুটা ব্যাহত হচ্ছে। প্রধান শিক্ষক না থাকায় স্কুলে কমিটিও আটকে রয়েছে। অনেকদিন ধরে কমিটি হচ্ছে না। আর এতেই আমাদের সমস্যা হচ্ছে। সরকারি বেতন পাচ্ছি কিন্তু বেসরকারি বেতন পেতে সমস্যা হচ্ছে।
তিনি আরো বলেন, একটি প্রতিষ্ঠানের প্রধান হচ্ছেন সর্বেসর্বা। একটি সংসারের প্রধান মালিক না থাকলে যেমন সমস্যা দেখা দেয়, আর এ রকম শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রধান না থাকলেতো সমস্যা হবেই। প্রধান শিক্ষক না থাকায় আমাদের অনেক দিক দিয়ে সমস্যা হয়।
তিনি বলেন, একজন ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক অন্য প্রধান শিক্ষকের তুলনায় কাজ করতে পারেন না। তাদের স্কুলে একজন অতি জরুরি প্রধান শিক্ষক দরকার বলে তিনি জানান।
টাঙ্গাইল জেলা শিক্ষা অফিসার লায়লা খানম বলেন, যে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রধানদের পদশূন্য রয়েছে ওই সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অতি দ্রুতই শূন্যপদ পূরণ করা হবে। এ ব্যাপারে জেলা শিক্ষা অফিস কাজ করবে।
তিনি আরো বলেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রধান শিক্ষক ও অধ্যক্ষ না থাকায় শিক্ষা কার্যক্রম কিছুটা ব্যাহত হচ্ছে। আশা করছি খুব দ্রুতই এ সমস্যার সমাধান হবে।