৭৭ রানে ফিরে গেলেন মুমিনুল
স্পোর্টস ডেস্ক । কাগজটোয়েন্টিফোরবিডিডটকম
মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে সঙ্গে নিয়ে দারুণ একটা লড়াইয়ের আভাস মিলছিল তার ব্যাটে। পঞ্চম উইকেট জুটিতে ৬৯ রান যোগ করে ফেলেছিলেন মুমিনুল হক ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। কিন্তু আরেকটি সম্ভাবনাময়ী জুটির পতন হঠাৎই। কেশব মহারাজের বলে আইডেল মারকরামকে সিলি মিড অনে ক্যাচ দিয়ে ফিরলেন মুমিনুল। অথচ কি দারুণই না খেলছিলেন এই বা-হাতি ব্যাটসম্যান। দক্ষিণ আফ্রিকার চ্যালেঞ্জিং বোলিং আক্রমণ সামলে তুলে নিয়েছিলেন ক্যারিয়ারের ১২তম ফিফটি। সবার আশা ছিল বাংলাদেশের ব্র্যাডম্যান তার ফিফটিকে সেঞ্চুরিতে রূপ দেবেন। কিন্তু ব্যাক্তিগত ৭৭ রানেই শেষ হলো মুমিনুলের সেই সম্ভাবনাময়ী ইনিংসটি। ২২৭ রানে পঞ্চম উইকেটে পড়লো বাংলাদেশের। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত বাংলাদেশের স্কোর ৫ উইকেটে ২২৭ রান। ৩০ রান নিয়ে অপরাজিত মাহমুদউল্লাহর সঙ্গে জুটি বেধেছেন সাব্বির রহমান।
শুক্রবার পচেফস্ট্রুম টেস্টের দ্বিতীয় দিনে চা বিরতির পর ব্যাটিং ছেড়ে দেয় দক্ষিণ আফ্রিকা। স্বাগতিকরা স্কোর বোর্ডে ৩ উইকেটে তুলেছিলে ৪৯৬ রান। প্রতিপক্ষের পাহাড় রানের বোঝা মাথায় নিয়ে ব্যাটিং শুরু করে বাংলাদেশ ৩ উইকেটে ১২৭ রানে দিন শেষ করে। মুমিনুল হক ২৮ ও তামিম ইকবাল ২২ রানে অপরাজিত ছিলেন। শনিবার তৃতীয় দিনে এই জুটি কাটা পড়েছে ৫৫ রান যোগ করে। তামিম ইকবাল ফিরে যান ৩৯ রান করে। আগের দিন চা বিরতির আগে ৪৯ মিনিট মাঠে ছিলেন না বলে ওপেনিংয়ে নামতে পারেন নি তামিম। পাঁচ নম্বরে নেমে ভালোই ভরসা দিচ্ছিলেন। কিন্তু ৬৭ বলে ১ ছয় ও ৬ চারে সাজানো ইনিংসটির মৃত্যু হয় ফেলুকায়ুর বলে, ডি ককের হাতে ক্যাচ হয়ে।
এনিয়ে তিনটি পঞ্চাশোর্ধ রানের জুটি গড়লো বাংলাদেশ। তৃতীয় উইকেটে মুশফিকুর রহীম ও মুমিনুল যোগ করেছিলেন ৬৭ রান। কিন্তু তিনটি জুটির কোনটিই শতক পেরুলো না। দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটিংয়ের সঙ্গে পার্থক্য এখানেই। দক্ষিণ আফ্রিকা পাঁচ সেশন ব্যাট করে মাত্র ৩ উইকেট হারিয়ে করেছিল ৪৯৬ রান। আর বাংলাদেশ নিজেদের প্রথম ইনিংসে দুই সেশন শেষ করে তৃতীয় সেশন শুরু করতেই হারিয়ে বসেছে ৫ উইকেট।