“অধিকার মর্যাদায় নারী-পুরুষ সমানে সমান”
সম্পাদকীয় ডেস্ক । কাগজটোয়েন্টিফোরবিডি.কম
আজ ৮ মার্চ আন্তর্জাতিক নারী দিবস (আদি নাম আন্তজাতিক কর্মজীবী নারী দিবস)। দিবস টি এমন এক সময় হচেছ যখন নারী নির্যাতন ভয়ঙ্কর রুপ ধারন করছে। নারী নির্যাতন বেড়েই চলেছে উদ্বেগজনকভাবে। নির্যাতনের পর নির্মমভাবে হত্যা করার মতো ঘটনা ঘটছে অহরহ। পাশবিকতার শিকার হচ্ছে স্কুল-কলেজের ছাত্রী, কমলমতি শিশু ও বিধবা নারী। ধর্ষণের পর হত্যাকাণ্ড ও লাশ গুমের মতো ঘটনা হচ্ছে। এতেই ক্ষান্ত হচ্ছে না নরপশুরা। পরিচয় নিশ্চিহ্ন করতে পুড়িয়ে মেরেছে নারীকে। জোর করে মোবাইলে ছবি তোলা, ভিডিও আপলোড করে প্রচার করা। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে শিশু, ছাত্রী, কর্মজীবী নারী ও বিধবা নারী ধর্ষণের ঘটনায় একটি দলের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
যেমন মোড়লগঞ্জে স্কুল ছাত্রী নির্যাতনের শিকার হয়ে স্কুলে যাওয়া বন্ধ করে দিয়েছে বলে গনমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। আশুগঞ্জে এক নেতা দ্বারা বিধবা ধর্ষিত হয়েছে। এক এমপির এপিএস এর বিরুদ্দে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। নাটোরে এক নেতার নেতৃত্বে স্কুলছাত্রী অপহরণের পর নির্যাতনের বিরুদ্ধে এলাকাবাসী থানা ঘেরাও করে রাখে। কচুয়ায় এক নেতার নেতৃত্বে সংখ্যালগুকে ধর্ষণের সংবাদও একাধিক পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় এর শিক্ষক চন্দন পোদ্দারকে গৃহপরিচারিকা ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ রকম হাজারো ঘটনা মিডিয়ার কল্যানে আমরা দেখেছি।
এই দিবস টি উদযাপনের পেছনে কর্মঘণ্টা নির্দিষ্ট করা, মজুরিবৈষম্য, কাজের অমানবিক পরিবেশ। ১৯০৮ সালে জার্মান সমাজতান্ত্রিক নেত্রী ক্লারা জেটকিন এর নেতৃত্বে সর্বপ্রথম আন্তর্জাতিক সম্মেলন হয়। ২য় সম্মেলব হয় ডেনমার্ক এর কোপেনহেগেনে ১৯১০ সালে হয়। এ সম্মেলনে ক্লারা ৮ মার্চ কে আন্তর্জাতিক নারী দিবস হিসেবে পালন করার প্রস্তাব দেন। সিদ্দান্ত হয় ১৯১১ সাল থেকে নারীদের সম-অধিকার দিবস হিসেবে পালিত হবে। ১৯১৪ সাল থেকে বেশ কয়েক টি দেশে এবং ১৯৭১ সাল থেকে বাংলাদেশেও পালিত হতে থাকে। ১৯৭৫ সালে ৮ মার্চ কে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি প্রদান করা হয়। জাতিসংঘ দিবস টি পালনের জন্য বিভিন্ন রাষ্ট্রকে আহ্বান জানায়। বিশ্বের অনেক দেশে আন্তর্জাতিক নারী দিবস এ সরকারী ছুটি থাকে। এর মধ্যে চীন, মেসিডনিয়া, মাদাগাস্কার ও নেপাল এ শুধুমাত্র নারীরা ছুটি ভোগ করেন।
দিবস টিতে নারী সংগঠনগুলো মানববন্দন, সমাবশে, শোভাযাত্রা, মেলা, আলোচনা সভা, নাটক ও মশাল মিছিলসহ বিভিন্ন কার্যক্রম করে থাকে। আমার পক্ষ থেকে সকল নারীকে জানাই শ্রদ্ধা।
মাহবুব এইচ শাহীন/প্রকাশক ও সম্পাদক/কাগজ২৪