চিরিরবন্দরের সানলাইট স্কুলে সন্ধানীর ব্লাড গ্রুপ নির্ণয় অনুষ্ঠিত
ভূপেন্দ্র নাথ রায়, দিনাজপুর প্রতিনিধি । কাগজটোয়েন্টিফোরবিডিডটকম
“ধমনীতে ছুটতে থাকুক রক্ত বিন্দু যতো, সন্ধানী তুমি ফুটতে থাকো সূর্যমুখীর মতো” এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে আজ ১০ এপ্রিল সোমবার দিনাজপুরের ঐতিহ্যবাহী চিরিরবন্দর সানলাইট স্কুলে অনুষ্ঠিত হলো রক্তের গ্রুপ নির্ণয় পরীক্ষা। আজ সকাল ৯ ঘটিকায় সানলাইট স্কুল প্রাঙ্গনে ছাত্রছাত্রীদের রক্তের গ্রুপ পরীক্ষা শুরু হয়। উক্ত অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন অত্র স্কুলের অধ্যক্ষ জনাব মো: আনিছুর রহমান। সার্বিক তত্বাবধানে ছিলেন উপাধ্যক্ষ আসাদুজ্জামান শাহ্।
সন্ধানী দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ ইউনিটের অধীনে তিনটি দল পৃথক পৃথক ভাবে ছাত্র-ছাত্রীদের মাঝে রক্ত পরীক্ষা করেন। সকাল নয়টা থেকে বেলা তিনটা পর্যন্ত অত্র স্কুলের এক হাজার ছাত্র-ছাত্রীদের রক্তের গ্রপ নির্ণয় করানো হয়। রক্ত পরীক্ষার ফাঁকে এক পর্যায়ে কথা হয় দিনাজপুর মেডিকেল কলেজের এমবিবিএস ২য় বর্ষের ছাত্র জি এম রিফাতের। তিনি বলেন, সারা বাংলাদেশে ২৪ টি মেডিকেল কলেজে সন্ধানীর ইউনিট রয়েছে। সন্ধানীর উদ্দেশ্য হচ্ছে ব্লাড গ্রুপিং, ব্লাড সংগ্রহ এবং মুমূর্ষু রোগীর চাহিদা অনুযায়ী রক্তের যোগান দেওয়া। যেখানে প্রাইভেট ক্লিনিক, হাসপাতাল গুলো রক্তের গ্রুপ নির্ণয় করতে বেশী টাকা নেয়, সেখানে সন্ধানী স্বল্প টাকায় এই সেবা জনগণের দোর গোড়ায় পৌঁছে দিচ্ছে। এই লক্ষ্যে সন্ধানী দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ ইউনিট বৃহত্তর দিনাজপুরের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে তাদের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। তিনি আরো বলেন, একজন ১৮ বছরের প্রাপ্ত বয়স্ক ৪ মাস অন্তর রক্ত দান করতে পারেন। যেহেতু রক্তের লোহিত কণিকা চারমাস পর পর নষ্ট হয়, সেহেতু একজন প্রাপ্ত বয়স্ক ব্যক্তি তার রক্ত মুমূর্ষ রোগীর উপকারার্থে সহজে দান করতে পারেন। এতে রক্ত দাতার কোন ক্ষতি হয় না। অপরদিকে ১৮ বছরের নিচে এবং ৪৮-৫০ বছর বয়স্ক ব্যক্তির রক্ত নেওয়া হয় না।
রক্তের গ্রুপ নির্ণয় অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন দিনাজপুর মেডিকেল কলেজের এমবিবিএস ২য় বর্ষের শিক্ষার্থী জি এম রিফাত, জেরাক ইউনুস, জুয়েল রানা, এমবিবিএস ১ম বর্ষের শিক্ষার্থী আরিফুল ইসলাম নাঈম, রাকিবুল হাসান, রাইয়ান রহমান, আব্দুল্লাহ আল-মামুন, তানিয়া ইসলাম এবং কেয়া রহমান। উক্ত অনুষ্ঠানটির আয়োজন করেন চিরিবন্দরের সানলাইট স্কুল।