গোপালপুরে ছাত্রলীগ কর্মীদের বহিস্কার প্রত্যাহারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন
মো. সেলিম হোসেন, গোপালপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি । কাগজটোয়েন্টিফোরবিডিডটকম
টাঙ্গাইলের গোপালপুর উপজেলার হেমনগর ডিগ্রি কলেজের এইচএসসি পরীক্ষার ফরম ফিলাপের টাকা আত্মসাতের অভিযোগে বহিস্কার করা ছয় ছাত্রলীগ নেতাকর্মী নিজেদের নির্দোষ দাবি করেছে। আজ মঙ্গলবার গোপালপুর প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি করা হয়।
হেমনগর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি সোহেল খান লিখিত প্রতিবেদনে দাবি করেন, হেমনগর ডিগ্রী কলেজ শাখা ছাত্রলীগের কমিটি গঠনের সময় ছাত্রলীগ নামধারি কয়েক দুর্বৃত্ত গত ৩ সেপ্টেম্বর তার উপর সশস্র হামলা চালায়। হামলায় তিনি রেহাই পেলেও হেমনগর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক কবির হোসেন নিহত হন। হামলাকারিরা এখনো গ্রেফতার হননি। এসব খুনিরা হেমনগর কলেজের ৩৮ ছাত্রছাত্রী চলতি এইচএসসি পরীক্ষায় প্রবেশ পত্র না পাওয়ায় পরীক্ষা দিতে পারেনি মর্মে বানোয়াট অভিযোগ তুলে পরিকল্পিতভাবে অপপ্রচার চালায়। হেমনগর কলেজের অধ্যক্ষের বরাত দিয়ে সোহেল আরো জানান, ওই কলেজের এইচএসসির ৫৫৩ ছাত্রছাত্রীর মধ্যে ৩৮ জন নানা কারনে এবার ফরমফিলাপ করেনি। সুতরাং ওইসব ছাত্রছাত্রীদের নিকট থেকে তিনি ও কলেজ শাখা ছাত্রলীগ নেতারা ফরমফিলাপের নামে কোনো টাকা আদায় করেননি। ওই খুনি চক্র হেমনগর কলেজের প্রাক্তন ছাত্র কবির হোসেনকে গত রবিবার ২ এপ্রিল কৌশলে গোপালপুর উপজেলা আওয়ামীলীগ অফিসে ডাকিয়ে নিয়ে সাত ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে ইন্টার ফরমফিলাপে টাকা আত্মসাতের মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করায়। এর প্রেক্ষিতে উপজেলা ছাত্রলীগ দুদিন পর এক প্রেস রিলিজের মাধ্যমে তাকেসহ সাত ছাত্রলীগ নেতাকে দল থেকে সাময়িক বহিস্কার করে।
সোহেল খান এ বহিস্কার প্রত্যাহারের দাবি জানান, ছাত্রদল কর্মী শিমলাপাড়ার মফিজুল ও মান্নার নের্তৃত্বে কথিত ছাত্রলীগ নামধারি পিচ্চি সোহেল সন্ত্রাসী রনি, আপেল ও মনিরকে সাথে নিয়ে তাদেরও বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। এরা প্রাণ নাশেরও হুমকি দিচ্ছে বলে অভিযোগ সোহেল খানের।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন হেমনগর কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি আরিফ হোসেন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ. জলিল, সদস্য ইলিয়াস হোসেন, সুমন মিয়া ও হেমনগর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সদস্য তালহা মোমিন পরাগ।