রানা প্লাজার মালিক রানা ক্ষতিপূরণ চায়
অনলাইন ডেস্ক । কাগজটোয়েন্টিফোরবিডিডটকম
রানা প্লাজার মালিক হিসাবে নয়, একজন দোকান মালিকের পরিচয়ে। আর ক্ষতিপূরণ দাবির তালিকায় দোকান মালিকের নামের জায়গাতেও সে পুরো নামটি লেখেনি, লিখেছে ‘রানা’। তালিকায় ‘রানা’র নামে আটটি আর বেনামে ২০টি দোকানের তথ্য আছে।
সম্প্রতি রানা প্লাজা ধসের চার বছর পূর্তিতে ক্ষতিপূরণের দাবিতে সক্রিয় হয়ে ওঠা বিভিন্ন সংগঠনের কাছ থেকে পাওয়া তথ্যে জানা যায়, রানা প্লাজার দোকান মালিকদের তথ্য অনুযায়ী, প্রধানমন্ত্রীর দফতরে একটি আবেদনপত্র জমা দেওয়া হয়।ওই আবেদনপত্রের সঙ্গে রানা প্লাজার ক্ষতিগ্রস্ত দোকান মালিক ও ব্যবসায়ীদের নামের তালিকা সংযুক্ত করা হয়। তালিকায় রানা প্লাজার প্রথম তলায় ৫৯টি ও দ্বিতীয় তলায় ৫২টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের নাম ছিল।
ওই তালিকা অনুযায়ী, ‘রানা’র নামের দোকানগুলোর নম্বর হচ্ছে— ৩৪, ৪৭, ৪৮, ৫৪, ৫৫, ৭০, ১১১ ও ২০০। এছাড়া ১১, ১৩, ২৩, ২৪, ২৭, ২৮, ২৯, ৩০, ৩২, ৩৩, ৪১, ৪২, ৫৫, ৫৬, ৫৯, ৬০, ৬১, ৬৬, ৭৮ ও ৯২ নম্বর দোকানগুলোর মালিকের নাম লেখা নেই। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন দোকান মালিক জানান, এসব দোকানের মালিক সোহেল রানা নিজেই।
তালিকার প্রথম তলায় ১ নম্বর দোকানের মালিক মাহমুদুল হাসান আলাল। ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের নাম নেই। ১১ নম্বর দোকানের নাম ‘থ্রি পিছ হাউজ’, এর মালিকের নাম নেই। তালিকার ৪৭ নম্বর দোকানের নাম ‘এপোলো ডেন্টাল সাপ্লাই’, মালিক শাখাওয়াত হোসেন রনি। দোকান মালিকরা বলছেন, রান্না প্লাজার মালিক সোহেল রানার ভগ্নিপতি এই রনি।
রানা প্লাজা ধসের চার বছর পেরিয়ে গেলেও একটি টাকাও ক্ষতিপূরণ পাননি রানার কাছ থেকে পজেশন কিনে নেওয়া দোকান মালিকরা। এসব দোকানে পুঁজি খাটানো ব্যবসায়ীদের অনেকেই আজ মানবেতর জীবনযাপন করছেন।