নারায়ণগঞ্জে জান্নাত ও আখেরাতের পাসপোর্ট উদ্ধার!
অনলাইন ডেস্ক । কাগজটোয়েন্টিফোরবিডিডটকম
এবার সন্ধান পাওয়া গেল ভিসাসহ ‘জান্নাত ও আখেরাতের পাসপোর্ট’র। নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ থেকে জঙ্গি সংগঠন নব্য জেএমবির ২ সংগঠনকে গ্রেপ্তারের পর তাদের কাছে আগ্নেয়াস্ত্র ছাড়াও একটি পুস্তিকা পাওয়া যায় যেটিতে লেখা ছিল ‘জান্নাত ও আখেরাতের পাসপোর্ট’। এসব তথ্য জানিয়েছে র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটলিয়ন- র্যাব। তাদের ২ জনই সংগঠনটির সরোয়ার-তামিম গ্রুপের সদস্য। এদের মধ্যে একজন সংগঠনটির দাওয়াতি আমির ইমরান আহমেদ। শনিবার দিবাগত রাতে সন্দেহভাজন এই ২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানিয়েছে র্যাব। রোববার রাজধানীতে র্যাবের মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে বিস্তারিত জানান বাহিনীটির গণমাধ্যম শাখার প্রধান মুফতি মাহমুদ খান। তবে এই পাসপোর্টের ভেতরে কী লেখা আছে, সে বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানাননি তিনি। এই পাসপোর্টের নিচে লেখক হিসেবে আকরামুল্লাহ সাইদের নাম লেখা আছে।
মুফতি মাহমুদ বলেন, জেএমবিরা বর্তমানে দাওয়াতের দিকে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে। এই কারণে তারা কিছুদিন আগে বগুড়ার সোনাতলা নামক স্থানে বৈঠক করেছে। আর সে বৈঠকে দাওয়াতি কার্যক্রমের জন্য ১০ সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। আর সাজিদ দাওয়াতি সদস্য এবং মূল আমিরের মধ্যস্ততাকারী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। আর মূল আমির সব সময় পর্দার আড়ালেই থেকে স্বমনয়কারীর মাধ্যমে কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। তবে বর্তমানে সাজিদ আত্মগোপনে রয়েছে।
র্যাব কর্মকর্তা জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শনিবার রাতে জেএমবির সারোয়ার-তামিম গ্রুপের শুরা সদস্য ও অর্থ যোগানদাতা এবং ঢাকা মহানগর পশ্চিমের দাওয়াতি আমির ইমরান আহমেদ ও তার সহযোগী শামীম মিয়াকে গ্রেপ্তার করে র্যাব-১১ এর একটি দল। র্যাব জানায়, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ইমরান তাদেরকে জানিয়েছেন, তিনি একটি টেক্সটাইল কারখানার মালিক। ২০১২ সালে এক বন্ধুর মাধ্যমে তিনি জঙ্গি কার্যক্রমে জড়িয়ে পড়েন। সে তার অফিস, কারখানা ভবন এবং বাসা এ ৩ জায়গাতেই জঙ্গিবাদের সঙ্গে যুক্ত বিভিন্ন ধরনের বই পুস্তক ও অনেক জিনিসপত্র রাখতেন। গ্রেপ্তারের পর সেগুলো জব্দ করা হয়েছে।
র্যাব জানায়, ইরমান জঙ্গিদের আর্থিকভাবে সহযোগিতা করার পাশাপাশি অনেক জঙ্গিদের পাসপোর্ট তৈরি করে দিতেন। আবদুল হাকিম নামে র্যাবের হাতে গ্রেপ্তার এক জঙ্গি’র জামিন করানোর জন্য তার স্ত্রীকে ইমরান দুই লাখ টাকা দিয়েছেন। র্যাব জানায়, সিলেটের আতিয়া মহলে র্যাবের অভিযানের পূর্বেই সেখানে অবস্থান করা সাজিদ নামের এক জঙ্গি পালিয়ে ছিলেন। সেখান থেকে পালিয়ে আসার পর সাজিদ ও ইমরানের সঙ্গে বিভিন্ন ধরনের পরিকল্পনা করছিল। সাজিদ জেএমবির একটি গুরুত্বপূর্ণ পদের দায়িত্বে আছে।