টাঙ্গাইল জেলার নাগরপুর উপজেলার ভারড়া ইউনিয়ন পরিষদে সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ
অনলাইন ডেস্ক । কাগজটোয়েন্টিফোরবিডিডটকম
পর পর দুই দফা উচ্চ আদালতের আদেশে স্থগিত হয়ে যাওয়া টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলার ভারড়া ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন আগামী ৫ জুলাই অনুষ্ঠিত হবে। তারিখ নির্ধারিত হলেও সুষ্ঠ ভোট নিয়ে শঙ্কায় রয়েছেন প্রার্থীরা। তবে নির্বাচন সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন সর্বোচ্চ গুরুত্বের সাথে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।
গতবছরের ২৩ মার্চ টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলার ভারড়া ইউনিয়নের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও বন্যাকবলিত এ ইউনিয়নের দুটি ওয়ার্ড নদী গর্ভে বিলীন হওয়ায় সিমানা জটিলতা ও মামলা জনিত কারনে সে সময় ভারড়া ইউনিয়নের নির্বাচন স্থগিত হয়ে যায়।
সীমানা পুন:নির্ধারন ও মামলা জটিলতার অবসান ঘটিয়ে এ বছরের ২৩ মে ভারড়া ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচন তারিখ ঘোষণা করা হয়। বর্তমান চেয়ারম্যান মো. আব্দুল কুদ্দুস মিয়া উচ্চ আদালতে রিট পিটিশন দায়ের করায় দ্বিতীয় দফায় ফের স্থগিত হয় ভারড়া ইউপি নির্বাচন।
তবে সকল আইনি জটিলতার অবসান হওয়ায় ৫ জুলাই এ ইউনিয়নের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
এই ইউনিয়নে মোট ভোটার সংখ্যা ২২ হাজার ২৯২ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ১১ হাজার ১৫৬ ও মহিলা ভোটার ১১ হাজার ১৩৬ জন।
এ নির্বাচনে অংশ নেওয়া প্রার্থীরা হচ্ছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত (নৌকা) প্রতীক নিয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ও জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. রিয়াজ উদ্দিন তালুকদার, জাতীয় পার্টি (লাঙ্গল) প্রতীক নিয়ে সাবেক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও ভারড়া ইউনিয়নের বার বার নির্বাচিত ও বর্তমান চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আব্দুল কুদ্দুস মিয়া, বিএনপি মনোনীত (ধানের শীষ) প্রতীক নিয়ে মো. মনিরুজ্জামান লিটন ও আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী স্বতন্ত্র প্রার্থী (আনারস) প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্ধিতা করছেন সাবেক ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মো. আবু বকর সিদ্দিক।
এ দিকে নির্বাচন ঘনিয়ে আসার সাথে সাথে দলীয় ও স্বতন্ত্রসহ মোট চারজন চেয়ারম্যান প্রার্থী আদা জল খেয়ে নির্বাচনী মাঠ দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন। প্রার্থীরা স্ব-স্ব কর্মী সমর্থক নিয়ে ভোটারদের দ্বারে দ্বারে ধর্ণা দিচ্ছেন। ভোট প্রার্থনা করছেন নিজ প্রতীকের পক্ষে।
এ ইউনিয়নের ভোটারদের দাবি সুষ্ঠ নির্বাচন। যাতে করে তারা তাদের প্রছন্দের প্রার্থীকে নির্বাচিত করার মধ্যদিয়ে উন্নয়ন নিশ্চিত করতে পারেন।
তবে দুর্গম এ ইউনিয়নে সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন প্রার্থীরা। তাদের দাবী প্রশাসন নিরপেক্ষ দায়ীত্ব পালন করলে এবং ভোটাদের ভোট প্রদানের অনুকুল পরিবেশ বজায় থাকলে জনগনই তাদের প্রার্থীর বিজয় নিশ্চিত করতে পারবে।
এদিকে সুষ্ঠভাবে ভোট অনুষ্ঠিত হবে দাবি করেছে নির্বাচন কর্মকর্তা। সিনিয়র জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম জানান, একটি মাত্র ইউনিয়নে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ায় ও এলাকাটি একটু দুর্গম বলে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ব্যবস্থা করা হয়েছে। এই ইউনিয়নে ইতিমধ্যে একজন জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট ও চারজন নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট, এক প্লাটুন বিজিবি, এক প্লাটুন র্যাব, এক প্লাটুন এপিবিএনসহ নিয়মিত পুলিশ ও আনছার বাহিনী নিয়োজিত করা হয়েছে।
এছাড়া জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে একজন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক, পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে একজন অতিরিক্ত পুলিশ সুপারসহ জেলা নির্বাচন অফিসের কর্মকর্তারা সার্বক্ষনিক নির্বাচনী এলাকা পর্যবেক্ষনে রাখবেন বলেও তিনি জানান।
সুষ্ঠ নির্বাচন অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে তাদের প্রছন্দের প্রার্থীকে নির্বাচিত করতে পারবে এমনটাই প্রত্যাশা সাধারণ ভোটারদের।
- কাগজটুয়েন্টিফোর বিডি ডটকম এ প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।