গোপালপুরে কথিত গুম হওয়া গৃহবধু আড়াই বছর পর জীবিত উদ্ধার

 

মো. সেলিম হোসেন, গোপালপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি  কাগজটোয়েন্টিফোরবিডিডটকম

টাঙ্গাইলের গোপালপুরে খুন করে লাশ গুম করার অভিযোগে দায়ের করা মামলার আড়াই বছর পর ছালমা বেগম (২১) নামে এক গৃহবধুকে জীবিত উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ। সে উপজেলার নগদা শিমলা ইউনিয়নের বাইশকাইল গোয়ালপাড়ার মৃত মতিয়ার রহমানের মেয়ে।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০১২ সালে উপজেলার বাখুরিয়া বাড়ী গ্রামের হাসান আলীর পুত্র আশরাফুল ইসলাম ওরফে আরশেদ আলীর সাথে পারিবারিক ভাবে ছালমার বিয়ে হয়। সুখ-শান্তিতে তাদের সংসার ভালোই চলছিল। একই উপজেলার হাজরা বাড়ীর মৃত তালেব উদ্দিনের ছেলে বাবুল সমবয়সী আশরাফুলের বিয়াই হওয়ার সুবাধে ছালমার সাথে প্রায়ই কথা বার্তা ও হাসি ঠাট্রা করত। যা পরকিয়া প্রেম সন্দেহে প্রতিবেশিরা নানা রকম বদনাম রটিয়ে তাদের সংসারে অশান্তি সৃষ্টি করতো। ২০১৫ সালে আশরাফুলের ভাতিজির জন্মদিবসের দাওয়াতে এসে বাবুল সালমার সাথে দেখা করে কথা বার্তা বলে। এ অপবাদে প্রতিবেশিরা স্বামীকে দিয়ে সালমাকে মৌখিকভাবে তালাক দেওয়ায় এবং রাতে ছালমাকে বাবুলদের বাড়ীতে রেখে আসে। লোক লজ্জা ও সামাজিক চাপে বাবুল সালমাকে বিবাহ করতে বাধ্য হয়। তবে, তার পরিবারের লোকজন এ বিয়ে মেনে না নিয়ে তাকে দিনের পর দিন শারিরীক ভাবে নির্যাতন করতো। এসব নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে এক সময় ছালমা বাড়ী থেকে নিখোঁজ হয়।
অনেক খোজাঁখুজির পর তাকে কোথাও না পেয়ে তার ভাই আরজু মিয়া ২০১৫ সালের মে মাসের ১৮ তারিখে বাবুলকে আসামী করে খুন করে লাশ গুম করার অভিযোগে গোপালপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করে।
থানায় অভিযোগের প্রায় আড়াই বছর পর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই আব্দুল হান্নান, দীর্ঘদিন অনুসন্ধান করে গত সোমবার উপজেলার মির্জাপুর ইউনিয়নের বরশিলা বাজার এলাকা থেকে কথিত গুম হওয়া গৃহবধু সালমাকে জীবিত উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। পরে আদালতের মাধ্যমে ১৬৪ ধারায় তার জবান বন্ধী রেকর্ড করে তার বাবার বাড়ির লোকজনের কাছে ফিরিয়ে দেন। জবান বন্ধীতে সে জানায়, স্বামীর বাড়ীর অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে সে গোপনে পালিয়ে এতদিন ঢাকায় বিভিন্ন বাসা বাড়িতে কাজ করতেন। ঘটনাটি এলাকায় বেশ চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে।


 

 

 

 

 

 

  • কাগজ টুয়েন্টিফোর বিডি ডটকম এ প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!