গৌরী লঙ্কেল: রোহিঙ্গা ও মোদির ভারত
গৌরী লঙ্কেল: রোহিঙ্গা ও মোদির ভারত
রণেশ মৈত্র
সভাপতিমন্ডলীর সদস্য, ঐক্য ন্যাপ
ভারতে সাম্প্রদায়িকতা যেমন নতুন কিছু নয়-তেমনি সাম্প্রদায়িকতা-বিরোধী, সা¤্রাজ্যবাদ বিরোধী লড়াই সংগ্রাম আন্দোলনের বিপ্লবী ঐতিহ্যের অন্যতম পুরোটা দেশ ও ভারত।। মহাত্মা গান্ধী, পন্ডিত জওয়াহের লাল নেই, মাওলানা আবুল কালাম আজাদ থেকে শুরু করে কমরেড এম.এ.ডাঙ্গে. কমরেড মুজাফাফর আহমেদ, কমরেড বঙ্কিম মুখার্জী, কমরেড জ্যেতিবসু, বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ , বিদ্রোহী কবি নজরুল, সুকান্ত প্রমুখের যে বিশাল, বিপুল অবদানে সমৃদ্ধ ভারত তা বিশ্বের সর্বত্র স্বীকৃত, সর্বত্রই সম্মনিত।
এই অসাধারণ অসাম্প্রদায়িক ঐতিহ্যমন্ডিত ভারত ১৯৭১ এ এসে সজ্ঞেনে মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধে যে বিপুল অবদান রেখেছিল-তা তার অসাম্প্রদায়িক চরিত্রকে বিশ্বের দরবারের উজ্জলতর করে তুলেছিল।
রাজনীতিতে, শিল্পে, সাহিত্যে, সংস্কৃতিতে ভারতবর্ষ যে অনন্য গৌরবের আসনে স্থান করে নিয়েছিল তাতে ঈর্ষান্বিত ছিল ভারতের মাধুর্য্য, ভারতের অনন্যতা কদাপি ম্লান হয় নি।
ভারতবর্ষের গণতন্ত্র, সেখানকার বহুত্ববাদিতা, সেখানকার মানবিধিকার চেতনা, জনগণের মৌলিক ও নাগরিক, সম-অধিকার, নারী-পুরুষের সমমর্য্যাদা ও অধিকারের আইনগত স্বীকৃতি এক অবিস্মরণীয় নজির সৃষ্টি করেছিল।
ভারতের নানা অঞ্চলের মধ্যেকার বিরাজমান বৈষম্য যেমন তার তীব্র আঞ্চলিক পশ্চাৎপদতার সাক্ষ্য বহন করে তেমনই তা দূরীককরণে প-িত ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর, রাজা রামমোহন রায় ও অন্যান্য মনীষির অসাধারণ সামাজিক এবং এমন কি কট্টর ধর্মীয় বিধি-বিধানেরও প্রগতিমুখী সংস্কার সাধন করে ভারতবাসীর প্রভৃতি কল্যাণ সাধন করেছিল সেদিনকার সেই অন্ধকার এবং শিক্ষা-দীক্ষায় সামাজিক অনগ্রসরতার যুগেও।
সত্য বটে, ১৯৪৬ ও তার আগে বৃটিশ শাসনামলে এবং তাদের গোপন সহযোগিতা ও মুসলিম লীগের সক্রিয় তৎপরতায় সংঘটিত ব্যাপক সাম্প্রদায়িক সংঘাত গঙ্গা-যমুনা-মেঘনার জলরাশিকে রক্তশ্রোতে রঙীন করে তুলেছিল। দফায় দফায় হাজার হাজার হিন্দু-মুসলমান নরনারীর বিনা দোষে, বিনা অপরাধে প্রাণহানি এবং ব্যাপক হারে লুট পাট ও নারীর সম্ভ্রম হানি ঘটিয়ে সমাজকে বিষাক্ত ও রাজনীতিকে কলুষিত করে তুলেছিল। সকলেরই জানা, এহেন দাঙ্গা প্রতিরোধে আবার সক্রিয়ভাবে রাজাপথে নেমে এসেছিলেন আধুনিক ভারত বর্ষের জাতির জনক মহাত্মা মোহন দাস রম চাঁদ গান্ধী, প-িত জওয়াহের লাল নেহেরু, মওলানা আবুল কালাম আজাদ এর মত বিশাল-হৃদয় জাতীয়তাবাদী নেতৃবৃন্দ এবং তৎকালীন ভারতের কমিউনিষ্ট পার্টির বিপ্লবী নেতৃবৃন্দও।
অবশ্য শেষ রক্ষা করা যায় নি। ১৯৪৭ সালের মধ্যে-আগষ্টে ভারত বর্ষকে দ্বিখন্ডিত করে নতুন একটি মুসলিম রাষ্ট্র পাকিস্তান নামে সাম্প্রদায়িকতার ভিত্তিতে আবির্ভূত হয়। প্রবল বিরোধিতা সত্বেও তৎকালীন অসাম্প্রদায়িক নেতৃবৃন্দ । অত:পর সাম্প্রদায়িকতার অবসান ঘটবে এমন বিশ্বাসে ভারত বিভাগে শেষ পর্য্যন্ত সায় দেন। কিন্তু সাম্প্রদায়িকতার অবসানের প্রত্যাশা যে তিমিরে সেই তিমিরেই থেকে গেল। লাভের মধ্যে ইংরেজরা চলে যেত বাধ্য হলেও উপমাহাদেশের বিষফোঁড়া হিসেবে তৈরী হলো মুসলিম লীগের পাকিস্তান।
আমরা জানি, ভারত বর্ষের দীর্ঘ প্রায় দুইশত বছর ব্যাপী পরিচালিত স্বাধীনতা সংগ্রামে শত শত তরুণ-তরুণীকে শুধুমাত্র তাঁদের দেশপ্রেমের কারণেই ইংরেজদের ফাঁসির কাষ্ঠে হাসিমুখে মৃত্যুবরণ করতে হয়েছে হাজার হাজার দেশ্রপ্রেমিক তরুণ-তরুণীকে একই কারণে ভারতবর্ষের বিভিন্ন কারাগারে বছরের পর বছর বিনাবিচারে এবং সর্ম্পূণ মিথ্যা অভিযোগে কারা প্রকোষ্ঠে জীবন কাঠাতে হয়েছে শত শত বন্দীকে দ্বীপান্তরে পরিপূর্ণ নির্বাসিত জীবনও কাটাতে হয়েছে। এবং লক্ষ লক্ষ মানুষকে লুট পাট নারী ধর্ষণ প্রভৃতির শিকার হতে হয়েছে।
অপরপক্ষে “লড়কে লেঙ্গে পাকিস্তান” নামক বিষাক্ত শ্লোগান কণ্ঠে ধারণ করে মুসলিম লীগের যে বীরপুঙ্গবেরা সেদিনকার রাজপথগুলি মাতিয়েছিল তাঁদের কারও ফাঁসি দ্বীপান্তর তো দূরের কথা খোদ মোহাম্মমদ আলীজিন্নাহকে পর্য্যন্ত এক মিনিটের জন্যও কারাজীবন যাপন করতে হয় নি। কী কঠিনই না ছিল চল্লিশের দশকের পাকিস্তান আন্দোলন!
নবগঠিত মুসলিম-প্রধান রাষ্ট্র বাঙালি মুসলিম সমাজকে শীঘ্রই মোহমুক্ত করতে সক্ষম হয়েছিল। রাষ্ট্রভাষা আন্দোলন দিয়ে সূত্রপাত ঘটে কিন্তু বাঙালির জাতীয়তাবাদী অসাম্প্রদায়িক আন্দোলন সেখানেই থেমে থাকে নি। একের পর এক ধারাবাহিক আন্দোলনের মাধ্যমে ১৯৫৪ সালে হক-ভাষাণী-সোহরাওয়ার্দীর নেতৃত্বাধীন যুক্তফ্রন্টের কাছে মুসলিম লীগের পতন ঘটে এবং সেই অবাধ আজতক আর মুসলিম লীগ বাংলাদেশে মাথা তুলে বা কোমর সোজা করে দাঁড়াতে পারে নি।
অপরপক্ষে ১৯৪৭ সালের ১৫ আগষ্ট ভারত স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে আত্মপ্রকশ করে ইংরেজ রাজত্বের অবসান সূচিত করার কয়েক বছরের মধ্যে এক ঐতিহাসিক সংবিধান ভারতবাসীকে উপহার দেন সে দেশের জওয়াহেরলাল নেহেরুর নেতৃত্বাধীন কংগ্রেস পরিচালিত সরকার। সেই সংবিধান গণতন্ত্র ধর্মনিরপেক্ষতা ও সমাজতন্ত্র রাষ্ট্রীয় মৌলনীতি হিসেবে স্বীকৃতি হয়। সেই থেকে এ যাবত ভারতের সংবিধানে নানা সময়ের প্রয়োজন মেটাতে নানাবিধ সংশোধনী পাশ করা হলেও রাষ্ট্রীয় তিন মৌলনীতি আজতক অব্যাহত রাখা হয়েছে।
কিন্তু সমগ্র পৃথিবীর অধিকাংশ এলাকায় সামাজিক চেতনাগত ক্ষেত্রে যথেষ্ট অগ্রগতি ক্রমান্বয়ে সাধিত হতে থাকলেও এবং ভারতকেও সকলে সেই একই কাতারে দেখতে আগ্রহী হলেও আজ কয়েকটি বছর যাবত ভারতের যাত্রা ক্রমশ:ই দক্ষিণে হেলে পড়ছে-সাম্প্রদায়িক উগ্রতা সেখান করে বর্তমান শাসক গোষ্ঠীকে পেয়ে বসেছে। যে ভারত বহুত্ববাদী ও গণতান্ত্রিক সহনশীলতায় গোটা পৃথিবীতে একটি দুষ্প্রাপ্য সম্মানের আসনে অধিষ্ঠিত হয়েছিল-আজকের ভারতের চিত্র ঠিক তার বিপরীত পন্থী।
এক্ষেত্রে সারা পৃথিবীকে অতি সম্প্রতি নাড়া দিল ভারতের এক প্রগতিবাদী বাম ঘরানার, স্পষ্টবাদী গৌড়ত্বে পৌঁছানো জনপ্রিয় নারী সাংবাদিক গৌরী লাঙ্গেশকে সন্ধ্যারাতে ব্যাঙ্গালোরে নিজ বাসভবনের সামনে এক এক করে সাতটি গুলি করে তাঁরা তাৎক্ষণীক মৃত্যু ঘটানোর খবরে। এই ঘটনাটি অতি সাম্প্রতিক ৫ সেপ্টম্বরের। তিনি তাঁর সম্পাদনায় প্রকাশিত পত্রিকায় মিয়ানমারের রোহিঙ্গা নির্য্যাতন, ভারতে হিন্দু মৌলবাদের নগ্ন উত্থান ও সাম্প্রদায়িকতার বিস্তার হওয়াতে সাম্প্রদায়িক বিজেপি তার সঙ্গী সাথী অপর কট্টর হিন্দু মৌলবাদী দলের কঠোর সমালোচনা নিয়মিতই করে আসছিলেন। বলছিলেন, এগুলি ভারতের সংবিধানে বর্ণিত ধর্মনিরপেক্ষতার বিরোধী।
চল্লিশ বছর আগে তাঁর বাবার গুরু ধরা ‘লাঙ্কেশ’ পত্রিকার দায়িত্বভার। তাঁর নিরস্তর লক্ষ্য ছিল তাঁর মাতৃভূমি ভারত বজায় রাখুক দেশটির ধর্মনিরপেক্ষ চরিত্র, বহুত্ববাদীতার ও গণতান্ত্রিক এবং মানবাধিকার কার্য্যকরভাবে সংরক্ষণের ঐতিহ্যবাহী দেশ হিসেবে। গেন লক্ষ্যেষ তিনি হিন্দুত্ববাদের ছিলেন একজন নির্ভিক ও কট্টর সমালোচক। আর সেই সমালোচনা, সেই বিশ্বাস, সেই নির্ভীকতা ও আদর্শবাদি জ্যেষ্ঠ এই সাংবাদিকের দেহকে সেদিন মুহুর্তেই ধূলায় মিলিয়ে গেল।
দিব্যি মিলে যায় অংকটা বড়ই নিখুঁতভাবে যেন। গৌরী হত্যার নির্মম ঘটনায় বিশাল দেশ ভারতের সমগ্র সাংবাদিক সমাজ এখনও প্রতিবাদে মুখর কিন্তু নির্বাক ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার ও তার প্রধান মন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। প্রায় সকল প্রাদেশিক সরকারও এ ঘটনায় স্তম্ভিত কারণ ঐ রাজ্য সরকারগুলিও সঙ্গে সঙ্গে ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে। মোদির নীরবতা অর্থবহ বটেই তো।
আজ ১০ সেপ্টেম্বর যখন নিবন্ধটি পাবনার বসায় বসে লিখছি তখন পর্য্যন্ত ঘটনার জন্য দায়ী কেউ গ্রেফতার হয় নি যদিও সি সি ক্যামেরার ফুটেজে দিব্যি অস্ত্রধারীদের যেখানে ঢোকা ও গুলি ছোঁড়ার দৃশ্য ধারণ করা দৃশ্য মান বলে পত্রিকাস্তরে প্রকাশিত খবরে জানা যায়। এ ঘটনাও সঙ্গত কারণেই ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি করেছে ভারত জুড়ে এবং তার পরিণীতিতে অপরাধীদেরকে ধরিয়ে দেওয়ার জন্য পুলিশ আর্থিক পুরস্কারও ঘোষণা করেছেন। অত:পর দেখা যাক।
ভারতের রাজনীতির ময়দান গৌরী হত্যার নির্মম ঘটনায় যখন উত্তপ্ত, ভারতের প্রধানমন্ত্রী একটি আন্তর্জাতিক সম্মেলনে বিদেশের মাটিতে খানাপিনা করছিলেন। সে পালা শেষ করে তিনি গেলেন মিয়ানমারের সম্ভবত: অংসান শুচির আমন্ত্রণ রক্ষায়। সেখানে গিয়ে আলোচনায় বসলেন সে দেশের সান্তিতে নোবেল জীয় নেত্রী শুচির সাথে। আলোচনা শেষে তিনি মিয়ানমার সরকারের সন্ত্রাসবাদ বিরোধী কার্য্যক্রমের প্রতি তাঁর সমর্থন ঘোষণা করলেন। উল্লেখ্য, মিয়ানমার সরকার রোহিঙ্গা নিধন যজ্ঞকে অতিহিত করেছেন সন্ত্রাসবাদ-বিরোধী অভিযান হিসেবে। দিব্যি সমর্থন জানালো তাতে পরিবর্তিত ভারত।
এর আগে ঐ আন্তর্জাতিক সম্মেলনের কার্য্যক্রমে শেষ হলে বিশ্ব নিন্দিত মিয়ানমার সরকারের রোহিঙ্গা নির্য্যাতন বিরোধী একটি যৌথ বিবৃতির খসড়া ঐ সম্মেলনে যোগদানকারী দেশগুলি রচনা করেন মিয়ানমার সরকারের রোহিঙ্গা গণহত্যার দাবী জানিয়ে। ভারতের প্রধান মন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ঐ বিবৃতিতে স্বাক্ষর দিতেও অস্বীকৃতি জানান।
কিছুকাল আগে নরেন্দ্র মোদী ইসরায়েল সফর করেন। সেখানে তিনি ইজরায়েলি সরকারের কার্য্যক্রমের পক্ষে অবস্থান ঘোষণা করেন। কিন্তু প্যালেষ্টাইনী এলাকায় তিনি যান নি। অথচ ভারত সরকার প্যালেষ্টাইনী মুক্তি সংগ্রামের পক্ষে অতীতে অসংখ্যবার তাঁদের সমর্থন ঘোষণা করেছে-নিন্দা জানিয়েছেন ইজরায়েলী সরকারের। মোদী সরকার ভারতের ঐ গৌরবময় অবস্থান থেকেও দিব্যি ফিরে এলো।
এভাবে ভারত তার অতীতের সাম্প্রদায়িকতা বিরোধী, সা¤্রাজ্যবাদ বিরোধী প্রগতিমুখী দীর্ঘকালের পালিত গৌরবময় ভূমিকার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে ফেলেছে।
তাই সেখানকার ধর্মনিরপেক্ষ শক্তি সমূহ এবং তাদের নেতৃত্বের নিরাপত্তা প্রকৃতই আজ হুমকির সম্মুখীন।
এমন মর্মান্তিক হত্যালীলার শিকার একমাত্র গোরীই হয়েছেন অতীতে বা তাঁরও আগের আর কেউ হন নি বাস্তবে কিন্তু তা নয়। তাঁর আগেও কয়েকজনকে তাঁর ধর্মনিরপেক্ষতার চিন্তা নির্ভীকভাবে প্রকাশ ও উগ্র হিন্দু জাতীয়তাবাদের বিরোধীতা করে লেখালেখির কারণে একই রকম মারাত্মক হত্যালীলার শিকারে পরিণত হতে হয়েছে।
তদুপরি আরও ভয়াবহ খবর হলো ইতোমধ্যেই অনুরূপ আরও কয়েজন সম্মানিত, সমাদৃত শিল্পী সাহিত্যিক খুনী চক্রের যরঃ-ষরংঃ এ আছেন বলে জানান হয়েছে এবং ঐ তালিকাভূক্তদের নামও প্রকাশ করা হয়েছে।
আরও উল্লেখিত যে হত্যালীলার শিকার যাঁরা হয়েছেন এবং আগামীতে যাঁদেরকে টার্গেট করা হয়েছে তাঁরা ভারতের কোন বিশেষ একটি রাজ্যের নন-বিভিন্ন রাজ্যের বিশিষ্টজনরাই তাদের টার্গেট। ফলে বুঝতে অসুবিধে হয় না যে উগ্রবাদী হিন্দুরা ভারতজুড়েই তাদের নেটওয়ার্ক বিস্তৃতি করেছে। অতএব সাধু সাবধান।
কাগজ টুয়েন্টিফোর বিডি ডটকম এ প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
- প্রকাশিত মতামত লেখকের একান্তই নিজস্ব। কাগজ২৪-এর সম্পাদকীয় নীতি/মতের সঙ্গে লেখকের মতামতের অমিল থাকতেই পারে। তাই এখানে প্রকাশিত লেখার জন্য কাগজ২৪ কর্তৃপক্ষ লেখকের কলামের বিষয়বস্তু বা এর যথার্থতা নিয়ে আইনগত বা অন্য কোনও ধরনের কোনও দায় নেবে না।