খানসামায় উদ্বোধনের প্রায় দুই বছরও হয়নি শেষ সড়ক পাকা
ভূপেন্দ্র নাথ রায়, দিনাজপুর প্রতিনিধি । কাগজটোয়েন্টিফোরবিডিডটকম
দিনাজপুরের খানসামার খামারপাড়া ইউনিয়নে একটি গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা উদ্বোধনের প্রায় দুই বছরেও শেষ হয়নি নির্মাণ কাজ। আর এর ফলে শিক্ষার্থী ও জনসাধারণের চলাচল চরম দুর্ভোগে ।
রাস্তা উদ্বোধন ফলক ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের আওতায় ২০১৬ সালের প্রথম দিকে খামারপাড়া ইউনিয়নের কায়েমপুর শাহপাড়ার মসজিদ থেকে দুহশুহ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় হয়ে ডাঙ্গাপাড়া এফআরবি রাস্তা পাকাকরণের চুড়ান্ত হয় । এরপ্রেক্ষিতে ওই সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি রাস্তাটির দক্ষিণ অংশে এক কিলোমিটার পাকাকরণের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেন পররাষ্ট্র মন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী এমপি। পরে কাজের ঠিকাদার দিনাজপুর জেলা শহরের বাসিন্দা জাহাঙ্গীর আলম শুধুমাত্র খনন কাজ করে লাপাত্তা হয়ে যান। দীর্ঘ দেড় বছর কাদামাটিতে খাল-খন্দকপূর্ণ রাস্তা চলাচলে চরম দূর্ভোগের শিকার হয় বেশ কয়েকটি গ্রামের সাধারণ মানষসহ দুহশুহ উচ্চ বিদ্যালয়ে আসা কায়েমপুর, বালাপাড়া, যুগির ঘোপা, রামনগর ও জোয়ার গ্রামের শিক্ষার্থীরা। এরপর ২০১৭ সালের জুলাই-আগস্ট মাসে রাস্তার অবস্থা নিয়ে ফেসবুকে তোলপাড় সৃষ্টি হয় এবং উপজেলা প্রকৌশলী খননকৃত রাস্তার কিছু অংশে নিজ দায়িত্বে বালু ফেলেন। এ অবস্থায় বছরের বাকি দিন শেষ হয়ে চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে এক কিলোমিটার রাস্তার খনন কাজ শেষ হয়। কিন্তু কবে বালু ঢেলে রাস্তায় ইট, খোয়া আর পিচ ঢালা হবে তা এখনও অনিশ্চিত।
কথা হয়, কায়েমপুর গ্রামের গফুর শাহপাড়ার জালাল উদ্দিন, আলেয়া খাতুন, শাহপাড়ার আনোয়ার হোসেন, নুর ইসলাম ও আব্দুল মজিদ, বালাপাড়া গ্রামের বেশারপাড়ার আফজাল হোসেন, সেলিনা বেগম, মজনু ইসলামের সাথে। তারা বলেন, এই রাস্তার দুই ধারে আমাদের আবাদি জমি আছে। ফলে, এই রাস্তায় সব সময় চলাচল করতে হয়। অনেক দিন আগে রাস্তাটিতে খাল খুরেছে। এখন চলাচলে খুব কষ্ট হয়।
রাস্তার উত্তরের গ্রাম দুহশুহ চৌধুরীপাড়ার বাসিন্দা বীর মুক্তিযোদ্ধা মোফাজ্জল চৌধুরী ও ব্যবসায়ী মিজানুর রহমান চৌধুরী বলেন, আমাদের বাড়ি থেকে এই রাস্তা দিয়ে খামারপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের দূরত্ব প্রায় দুই কিলোমিটার। আর এখন পরিষদ যেতে হয় উত্তর দিক দিয়ে ঘুরে প্রায় ৫ থেকে সাড়ে ৬ কিলো এবং পশ্চিম দিক দিয়ে প্রায় ৪ কিলোমিটারের মত ঘুরে।
ঐতিহ্যবাসী দুহশুহ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সাদেকুল আলম চৌধুরী বলেন, ‘রামনগর, বালাপাড়া, জোয়ার, কায়েমপুর এলাকার প্রায় ৬০-৭০ জন শিক্ষার্থী এই বিদ্যালয়ে আসে। আমিসহ এলাকার অনেকে বিষয়টি নিয়ে কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা করেছি।’
উপজেলা প্রকৌশলী সুবীর কুমার সরকার এ ব্যাপারে জানান, ‘প্রথমে ভাটায় ইট ছিলনা। তারপর হলো ঠিকাদার জেলে ছিল। সে জন্য কাজটা একটু লেট হয়েছে। এখন আমি প্রচন্ডভাবে চাপ সৃষ্টি করেছি। আশা রাখি চলতি অর্থ বছরে শেষ হবে।’
কাগজটুয়েন্টিফোর বিডি ডটকম এ প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।