ঘরে ঢুকতে স্ত্রীর বাঁধা, স্বামী বসলেন অনশনে
আন্তর্জাতিক ডেস্ক । কাগজটোয়েন্টিফোরবিডিডটকম
গতকাল রবিবার সকালে শিলিগুড়ির সূর্য সেন কলোনিতে প্রবীর সাহা নামে এক ব্যক্তিকে স্ত্রী ঘরে ঢুকতে দিচ্ছেন না, এই অভিযোগ বাড়ির সামনেই অনশনে বসেছিলেন স্বামী। চারিদিকে খবর রটে যায়। অনেকে দেখতে আসেন তাঁকে। প্রবীরবাবু তখন একটি চাদরে হাঁটু মুড়ে বসে আছেন। পিছনে ফেস্টুন। তাতে স্ত্রীর ছবি ও পাশে নানা অভিযোগ লেখা।
তবে ঘণ্টাখানেকের মধ্যেই স্থানীয় কাউন্সিলর তৃণমূলের কৃষ্ণ পাল ও পুলিশের মধ্যস্থতায় প্রবীরবাবু অনশন তুলে নেন। বাড়িতেও ঢোকেন। তাঁর স্ত্রী এই বিষয়ে কোনও মন্তব্যেই রাজি নন। তাঁর কথায়, ‘‘এটা পুরোপুরি পারিবারিক ঘটনা। বাইরের কাউকে কিছু বলব না।’’ কিন্তু পাড়ার লোকেদের বক্তব্য, আবার গন্ডগোল লাগলে কী হবে! প্রবীর বাবুর স্ত্রীর বক্তব্য, ‘‘যা সিদ্ধান্ত নেওয়ার, বাড়ির লোকের সঙ্গে কথা বলেই নেব।’’
তাঁদের আঠাশ বছরের বিবাহিত জীবন। এক ছেলে কলকাতায় চাকরি করেন। ছোট ছেলে কলেজে পড়েন। তিন তলা বাড়ি। বাড়ির নীচে একটি দোকান ছিল। তা কিছু দিন আগে বিক্রি হয়ে গিয়েছে। প্রবীরবাবু ছিলেন একটি বেসরকারি অর্থ লগ্নি সংস্থার এজেন্ট। সেই সময় তিনি অনেকের টাকা ফেরত দিয়েছিলেন। তার পরে সব সম্পত্তিই স্ত্রীর নামে করে দেন বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে। বাড়িটিও তখন স্ত্রীর নামে করে দেন বলে দাবি। প্রবীর বাবু জানান, ‘‘গচ্ছিত টাকা দিয়ে পাওনাদারদের বকেয়া মিটিয়েছি। তিন তলা বাড়ি, দোকান কিনেছিলাম। স্ত্রীর নামে করে দিয়েছিলাম। সোনার গয়নাও ছিল। অনেকেই তা করেন। সব নিজের নামে হওয়ার পর ও আমাকে বাড়িতে থাকতে দিচ্ছে না।’’ তাঁর দাবি, স্ত্রীর তাঁকে আগেও বাড়ি থেকে বার করে দিয়েছেন। এ দিন বাড়িতে ঢুকতে গেলে ফের বার করে দেওয়া হয়। প্রবীর বাবুর দাবি, ‘‘তখনই অনশনে বসি।’’
প্রতিবেশীরা জানান, বছর দু’য়েক ধরে সাহা দম্পতির মধ্যে টাকা পয়সা নিয়ে গন্ডগোল চলছিল। যদিও রাত অবধি কোনও পক্ষই পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেননি। কাউন্সিলর কৃষ্ণবাবু বলেন, ‘‘প্রয়োজনে আদালত রয়েছে, সেখানে যেতে বলেছি। তবে এ ভাবে পাড়ার মধ্যে আমরণ অনশন করব বলে রাস্তায় বসে পড়াটাও মানা যায় না।’’