সেলিনা জাহান প্রিয়া’র কবিতা- চন্দ্রমুখী
চন্দ্রমুখী
সেলিনা জাহান প্রিয়া
আমি সারা রাত জোছনার স্নানে ভেজা মাঠে
এখনো তাকায়ে আছি অপলক চন্দ্রমুখী হয়ে ,
যেমনটি বহুকাল তাকায়ে ছিলাম তোমাদের পানে
তুমি আমার চক্ষু ছুঁয়ে দেবে কিছুটা উষ্ণ হতে চিবুকে ।
তবু আমি তৃষ্ণার্ত চাতকের মত তোমার অপেক্ষায়
আমি সেই সব পথের শেষ খুঁজে ফিরি- চন্দ্রমুখী হয়ে ,
“আহা! তুমি সুন্দর, তুমি সুন্দর তুমিই সেই সমুদ্র জয়ী !
আমি তোমাকে ছাড়া কখনো ভালো নেই।
কখনো ভালো থাকবো কিনা জানি না।
পূর্ব প্রতিজ্ঞা মতো একা থাকাটাই মনে হয় ভালো।
তুমি তোমার মত ভালো থেকো।
জানি না কি লিখবো,
শুধু জানি,
তোমার শুন্যতা অনুভব করছি,
গভীর শুন্যতা।
কষ্ট পাচ্ছি, ভীষণ কষ্ট।
ভালোবেসে হউক,
ঘৃনা করে হউক,
মান অথবা অভিমান হউক,
আমি বার বার তোমার কাছে ফিরে আসি –
তেমনি তুমিও আসবে আমার কাছে।
ভালোবেসে কেউ কাউকে কখনো ভুলে যায় না।
এই দুই জন দুই জনের ভিতরে থেকে যাবো
আমাদের শেষ দিন পর্যন্ত।
এই বোধটুকুই যথেষ্ট বেঁচে থাকার জন্য।
কেন যেন মনে হয়,
জীবনের কোন এক ক্ষণে
আমরা মুখোমুখি হোবো।
জেনে নেবো দুজন দুজনের সাথে
কি ভাবে ছিলাম এতো কাল?
কতটা ঠকলাম আর কতটা ঠকালাম তাও জেনে নেবো।
সেই পর্যন্ত ভালো থেকো
আমি সারা রাত জোছনার স্নানে ভেজা মাঠে
অপলক চন্দ্রমুখী হয়ে ,
আমার কেবলই মনে হয় এ জীবন দীর্ঘ
আমার কেবলই মনে হয় ঘুরে ফিরে বার বার দেখা হবে
বার বার দেখা হবে। কেন যে এমন হয়!
মনে হয় আগুনের উদ্যান হতে
ভালোবাসা আমার একরাশ বৃষ্টি ঠোঁটে নিয়ে ফিরে আসবে
ভিজিয়ে দেবে আমায় ভিজিয়ে দেবে জোছনার স্নানে
চন্দ্রমুখী কে ।
তৃষ্ণা মেটেনি আমার তৃষ্ণা মেটেনি
ও ঠোঁটের লেনদেন ফুরায়নি এখনো,…
সেতো আমি জানি তুমিও জানো
তাই আমি বার বার ফিরে যাই রাত জোছনার স্নানে
আমি চন্দ্রমুখী বার বার ফিরে আসি লুট হবার তরে ।
সন্ধার মতো সমাপ্তি নিয়ে তোমার চোখে নামি চন্দ্রমুখী হয়ে ,
আলো নয়, অন্ধকার নয় ,তন্দ্রায় মিশেছি পূর্নিমার প্রথম প্রহরে
শুক্লা পক্ষের চাঁদ ছড়ায় মধু পিঙ্গল আলো চন্দ্রমুখী কে ,
কি ভীষণ সুন্দর এই বেঁচে থাকা!
কখনো মৃত্যু হয় না চন্দ্রমুখীর
তৃষ্ণার্ত চাতকের মত তোমার অপেক্ষায়…………।