ভারতের গণতন্ত্র বিপদে’: বিজেপি ছাড়লেন যশবন্ত সিনহা
আন্তর্জাতিক ডেস্ক । কাগজটোয়েন্টিফোরবিডিডটকম
শনিবার পাটনায় নিজের সংগঠন রাষ্ট্র মঞ্চের এক বৈঠকে তিনি এ ঘোষণা দেন বলে ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।
দল ছাড়ার পাশাপাশি ‘গণতন্ত্র বাঁচাতে’ দেশজুড়ে জোর প্রচারে নামারও অঙ্গীকার করেছেন নরেন্দ্র মোদীর কট্টর সমালোচক হিসেবে পরিচিত সিনহা।
আজ আমি বিজেপির সঙ্গে সব সম্পর্ক ছিন্ন করলাম। যে কোনো ধরনের দলীয় রাজনীতি থেকে সন্যাস (অবসর) নিচ্ছি আমি, বলেছেন প্রবীণ এ নেতা।
গত শতকের নব্বইয়ের দশকে বিজেপিতে যোগ দেওয়া সিনহা এমন সিদ্ধান্তের জন্য দলের বর্তমান পরিস্থিতিকেই দায় দিয়েছেন।
দলের এখনকার পরিস্থিতির জন্যই আমি বিজেপি ছাড়ছি, যেমনটা আপনারা এবারের সংসদের অধিবেশনেই দেখেছেন। এটা ছিল ইতিহাসের সবচেয়ে ছোট অধিবেশন। ভারতের গণতন্ত্র এখন চরম বিপদে, বলেন তিনি।
১৯৯৮ সাল থেকে ২০০৪ পর্যন্ত অটল বিহারি বাজপেয়ী নেতৃত্বাধীন মন্ত্রিসভার সদস্য সিনহা বলেছেন, তিনি অন্য কোনো দলে যোগ দেবেন না। বড় পদ পাওয়ার ব্যাপারেও তার আগ্রহ নেই।
এনডিটিভি জানিয়েছে, শনিবার ছেলে জয়ন্তর জন্মদিনেই দল ছাড়ার ঘোষণা দেন তিনি।
রাষ্ট্র মঞ্চের যে বৈঠকে যশবন্ত দল ছাড়ার ঘোষণা দেন সেখানে কংগ্রেস ও লালু প্রসাদ যাদবের রাষ্ট্রীয় জনতা দলের নেতারা ছাড়াও বিজেপির সাংসদ শত্রুঘ্ন সিনহা উপস্থিত ছিলেন। দলে শত্রুঘ্নর অবস্থানও সুবিধার নয় বলে জানিয়েছে এনডিটিভি।
প্রধানমন্ত্রী প্রার্থী হিসেবে মোদীর বিরোধীতার কারণে ২০১৪ সালের পর থেকেই এল কে আদভানির মতো শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে যশবন্ত সিনহাও বিজেপিতে কোণঠাসা হয়ে পড়েন।
ছেলে জয়ন্ত সিনহা মোদী মন্ত্রিসভার সদস্য হলেও বিজেপির এ মেয়াদের শুরু থেকেই সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপের সমালোচনা করে আসছেন যশবন্ত। গত বছরের সেপ্টেম্বরেও সরকারের অর্থনৈতিক অর্জন নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন তিনি।