আসামী মোঃ আব্দুর রহমানকে গুলিবিদ্ধ ও আশংকাজনক অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। হাসপাতালে নেয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষনা করেন।
অনলাইন ডেস্ক । কাগজটোয়েন্টিফোরবিডিডটকম
আব্দুর রহমান @ আব্দুল্লাহ (৪২) পিতা- মৃত আছের উদ্দিন শেখ সাং কবিরপুর থানা ও জেলা পাবনা একজন কুখ্যাত মাদক সম্রাট এবং আন্তঃজেলা মাদক চক্রের সক্রিয় সদস্য। সে সীমান্তবর্তী বিভিন্ন জেলা হইতে বিভিন্ন ধরনের মাদক দ্রব্য সংগ্রহ করতঃ নিজ জ্ঞাত স্থানে গোপন ভাবে মজুদ করিয়া বিভিন্ন খুচরা ব্যবসায়ীসহ মাদক সেবীদের নিকট বিক্রয় করে। তার ভিন্ন ভিন্ন নামে ০৯ (নয়)টি মাদক ও চাঁদাবাজির মামলা বিজ্ঞ আদালতে বিচারাধীন আছে। ইং ২৫/০৫/২০১৮ তারিখ কবিরপুর এলাকা হতে আব্দুর রহমান @ আব্দুল্লাহকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারের পর তাকে জিজ্ঞাসাবাদে জানায় যে, সে তাহার ভাই মোঃ টিপু শেখ (৪৫), মেরাজ উদ্দিন এবং ছেলে শান্ত শেখসহ অন্যান্য সহযোগীদের সহায়তায় পাবনা জেলার বিভিন্ন খুচরা মাদক বিক্রেতা ও মাদক সেবনকারীদের নিকট হেরোইন, ইয়াবা, গাঁজাসহ বিভিন্ন ধরনের মাদক দ্রব্য পাইকারী ও খুচরা ভাবে বিক্রয় করিয়া আসিতেছে। সম্প্রতি সে, তার ভাই ও ছেলের সহায়তায় মাদকের একটি বড় চালান সংগ্রহ পূর্বক নিজ জ্ঞাত স্থানে গোপন ভাবে মজুদ রেখেছে। তাহার দেওয়া তথ্য মতে উক্ত গোপন স্থান তল্লাশি পূর্বক মাদক দ্রব্য উদ্ধারের জন্য তাকে সহ ইং ২৬/০৫/২০১৮ তারিখ ০১.৪০ ঘটিকার সময় পাবনা থানাধীন মহেন্দ্রপুর দুর্বার সবুজ গোষ্ঠী, নামক ক্লাবের পার্শ্বে পরিত্যক্ত একটি দোকান ঘরে যাই। ঘটনাস্থলে পৌছে আব্দুর রহমান @ আব্দুল্লাহ এর দেখানো মতে মাদক দ্রব্য উদ্ধারের চেষ্টকালে পূর্ব থেকে ঔৎ পেতে থাকা তার সহযোগী অস্ত্রধারী দুষ্কৃতিকারীরা পুলিশকে লক্ষ্য করিয়া ককটেল নিক্ষেপসহ এলোপাতাড়ী ভাবে গুলি করিতে থাকে। পুলিশও আত্মরক্ষার্থে দুষ্কৃতিকারীদের লক্ষ্য করিয়া গুলি বর্ষণ শুরু করে। পুলিশ ও দুষ্কৃতিকারীদের মধ্যে প্রায় ১০/১৫ মিনিট ব্যপী গুলি বিনিময় হয়। দুষ্কৃতিকারীরা প্রায় ২০/২৫ রাউন্ড গুলি বর্ষণসহ একাধীক ককটেলের বিস্ফোরন ঘটায়। জবাবে পুলিশ আত্মরক্ষার্থে তাদের নিজ নিজ নামে ইস্যুকৃত অস্ত্র হইতে এস আই(নিঃ) মেহেদী হাসান সুমন ০৩(তিন) রাউন্ড পিস্তলের গুলি, এএসআই(নিঃ) মোঃ আরিফুল ইসলাম ০১(এক) রাউন্ড পিস্তলের গুলি, কং/৪৩৫ মোঃ সাইফুল ইসলাম ০৩(তিন) রাউন্ড ৭.৬২ চায়না রাইফেলের গুলি, কং/১৩৫৯ মোঃ জিয়াউর রহমান ০৪(চার) রাউন্ড শর্টগানের গুলি, কং/১৩৬৭ মোঃ আশরাফুল ইসলাম ০৩(তিন) রাউন্ড শর্টগানের গুলি বর্ষণ করে। এক পর্যায়ে দুষ্কৃতিকারীরা গুলি করতে করতে রাত্রের অন্ধকারে বিভিন্ন দিক দিয়ে পালিয়ে যায়। গোলাগুলি বন্ধ হলে পুলিশের নিজেদের কাছে থাকা টর্চ লাইটের আলোতে ঘটনাস্থল তল্লাশী কালে আসামী মোঃ আব্দুর রহমানকে গুলিবিদ্ধ ও আশংকাজনক অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। তাকে উদ্ধারপূর্বক চিকিৎসার জন্য দ্রুত ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট পাবনা জেনারেল হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। হাসপাতালে পৌছাইলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ইং ২৬/০৫/২০১৮ তারিখ রাত্রি ০২:৪০. ঘটিকার সময় আব্দুর রহমান @ আব্দুল্লাহকে মৃত ঘোষনা করেন। ঘটনাস্থল হইতে ১। একটি দেশীয় তৈরী সাটারগান যাহাতে ক্স৩০৩ রাইফেলের গুলি ব্যবহৃত হয় ২। ০৩(তিন) রাউন্ড ক্স৩০৩ রাইফেলের গুলি, যাহার মধ্যে ০২(দুই) রাউন্ড তাজা গুলি এবং ০১(এক) রাউন্ড মিসফায়ার গুলি ৩। ০৪(চার) রাউন্ড বন্দুকের ফায়ারকৃত গুলির খোসা ৪। নীল রং এর পলিথিনে রাখা সাদা কাগজের ভিতরে কালো কচটেপ দিয়ে মোড়ানো মোট ২০০(দুইশত) পিচ কথিত ইয়াবা ট্যাবলেট, যাহা মাদক হিসাবে নেশার কাজে ব্যবহৃত হয় ৫। পলিথিনে মোড়ানো ৫০০(পাঁচশত) গ্রাম কথিত শুকনা গাঁজা ৬। ০৩(তিন) পাটি স্যান্ডেল ৭। একটি টর্চলাইট উদ্ধার করা হয়। গোলাগুলি কালে দুষ্কৃতিকারীদের ছোড়া ককটেলের স্পিন্টার ও গুলির আঘাতে এস আই(নিঃ) মেহেদী হাসান সুমন, কং/৪৩৫ মোঃ সাইফুল ইসলাম, কং/১৩৫৯ মোঃ জিয়াউর রহমান আহত হয়। আহত পুলিশ সদস্যদের ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করিয়া চিকিৎসা সেবা প্রদান করা হয়।
প্রেস ব্রিফিং-
জিহাদুল কবির পিপিএম
পুলিশ সুপার
পাবনা।