যেখানে প্রেম কাঁদে নীরবে
যেখানে প্রেম কাঁদে নীরবে
আওলাদ হোসেন
সন্ধ্যার আকাশে প্রষ্ফুটিত নীলিমায় দুগ্ধ ফেননিভ
কোটি তারকাপুঞ্জ যেন খৈ ফুটে,
উজ্জ্বল আভায় জ্বল জ্বল আর মিট মিট করে
দৃষ্টি নন্দন হয়ে মায়াবী মাধূরী মিশিয়ে
অবাক করেছে সহস্ত্র রজনীর প্রত্যাশা।
তারপর ঊষার আঘাতে লন্ডভন্ড হয়ে যায়
খুঁজে পাওয়া যায় না কোন তারা।
স্বপ্নের স্বাধ ধুলায় মিশিয়ে
মধ্যাহ্ন মার্তন্ড তাপদাহ জ্বালিয়ে পুড়িয়ে
করেছে উত্তপ্ত পৃথিবীকে দিশেহারা।
তার পর ভাটির টানে জুয়ার ভাটার খেলা
লাল পটে আঁকা সূর্য নিয়েছে বিদায়।
পশ্চিমের কোনে একফালি চাঁদ
জ্যোত্নাপুলত রাত্রি পুর্ণিমায় আঁকে আকাশ
তারপর উষার আঘাত ছিন্নভিন্ন করে দেয়
তারকাদের খেলা, চন্দ্রের হয় দেহবসান।
অনুরূপ প্রেমময় জীবনের খেলা ঘরে
রাজদরবারে অথবা পেশীশক্তির অভ্যুত্থানে
যৌবনের যৌলুশ আর উন্মত্ততা নারীর দেহমন করে গ্রাস
তাদের পাল্লায় পরে প্রেমিক প্রেমিকা ভবে যৌবন দেয় জলাঞ্জলি।
রাজরোষ যদি এসে যায় অথবা খর্গ চালায় কোন পেশীর ভয়ে
নারী অসহায় বলে সাজাতে বাগানবাড়ী, টাকা-কড়ি হয় উজার
সমতার বন্ধনে আবদ্ধ হতে যেয়ে কত যুগল করে হাহাকার
তারপর উন্মত্ততা থেমে গেলে, রাজরোস নেমে এলে বয়সে নুজ দেহ
নারীরা সংসার চায়, পুত্র-কন্যা দিয়ে যায়, প্রেম কাঁদে দাঁড়িয়ে দরজায়।