টাঙ্গাইলে শিক্ষক র্কতৃক ছাত্রী ধর্ষন, অবশেষে অন্তঃস্বত্তা॥ শিক্ষকের শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল॥
মো. রাশেদ খান মেনন (রাসেল), টাঙ্গাইল, বিশেষ প্রতিনিধি । কাগজটোয়েন্টিফোরবিডিডটকম
টাঙ্গাইল সদর উপজেলার দাইন্যা ইউনিয়নের বিন্যাফৈর উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক শফিকুল ইসলামের নামে এক শিক্ষকদের বিরুদ্ধে ছাত্রীকে অন্তসত্ত্বা করার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় শিক্ষককের শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসী। গতকাল স্কুল প্রাঙ্গণ থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। মিছিলটি বাজার চত্বর প্রদক্ষিণ করে পুনরায় স্কুল প্রাঙ্গণে প্রতিবাদ সমাবেশে মিলিত হয়।
এসময় ছাত্র-ছাত্রীরা ও এলাকাবাসী অভিযুক্ত শিক্ষকদের বহিষ্কার এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেন। তা নাহলে কঠোর আন্দোলনের ঘোষণা দেন।
এদিকে আন্দোলনকারীদের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যান, টাঙ্গাইল সদর উপজেলার ইউএনও পারভেজুর রহমান, সহকারী কমিশনার (ভূমি) সুখময় সরকার এবং দাইন্যা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো.লাভলু মিয়া। তারা তদন্ত সাপেক্ষে অভিযুক্ত শিক্ষককের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলে জানান।
বিন্যফৈর উচ্চ বিদ্যালয়ের একাধিক শিক্ষার্থী বলেন, স্যার আমাদের পিতার সমান। সে যদি ছাত্রীদের মানসম্মান না বুঝে, তাহলে সমাজে কে বুঝবে। শফিকুল ইসলাম স্যারের আচরণ শিক্ষকের মতো নয়। আমরা স্যারের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।
এ বিষয়ে বিন্যাফৈর এলাকার সাখাওয়াত হোসেন বলেন, ‘শফিকুল ইসলাম স্যারের চাল-চলন ভাল না। তার নামে ছাত্রীদের হয়রানির অভিযোগ রয়েছে। বর্তমানে একাদশ শ্রেণীর এক ছাত্রী গর্ভবতী হওয়ায় শফিকুল ইসলাম স্যারের ভিতরের চরিত্র প্রকাশ পেয়েছে। আমি শফিকুল ইসলাম স্যারের সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করছি।’
এ ব্যাপারে মেয়ের বাবা বলেন, ‘ দশম শ্রেণীতে স্যার আমার মেয়েকে প্রাইভেট পড়াতো। সে মেয়েকে নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় ঘুড়ে বেড়িয়েছে। ওই শিক্ষক আমার মেয়ের সাথে বিভিন্ন সময়ে ছবি তুলেছিল। সে ছবিগুলো দেখিয়ে আমার মেয়েকে ব্লাকমেইল করতো। এই বিষয়টি এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে আমরা লজ্জায় ঘর থেকে ঠিক মতো বের হতে পারি না। আমি বিষয়টি মৌখিকভাবে স্কুলের প্রধান শিক্ষককে অবহিত করেছি। তখন প্রধান শিক্ষক এ ব্যাপারে কোন কর্নপাত করেনি। এ অবস্থায় আমি এবং আমার মেয়েসহ পরিবারের লোকজন নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। আমি শফিকুল ইসলাম স্যারের সর্বোচ্চ শাস্তির জন্য আগামীকাল টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার এবং গভর্নিং বডির সভাপতি বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করবো বলে তিনি জানান।
বিন্যাফৈর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আক্তারুজ্জামান আক্তার বলেন, ছাত্র-ছাত্রী ও অবিভাবকদের কাছে শফিকুল ইসলাম স্যারের কুকীর্তির কথা শুনতে পেয়েছি। লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় প্রদক্ষেপ গ্রহণ করবো।
এ বিষয়ে দাইন্যা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান লাভলু মিয়া লাভু বলেন, শফিকুল ইসলাম স্যারের নামে এর আগেও অনেক অভিযোগ শুনেছি। সে শিক্ষক নামের বদনাম সৃষ্টি করেছে। বর্তমানে মেয়েটির যে ক্ষতি করেছে, সেই ক্ষতির দায়বার কে নিবে। আমরা ওই শিক্ষকের কঠিন শাস্তি দাবি করছি।