পাবনা-২ আসনে নৌকার নতুন মাঝি ফিরোজ কবির
আর কে আকাশ, পাবনা, বিশেষ প্রতিনিধি । কাগজটোয়েন্টিফোরবিডিডটকম
আসন্ন একাদশ সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী বাছাইয়ে তেমন পরিবর্তন আসেনি পাবনায়। তবে ৫টি আসনের মধ্যে পাবনা-২ (সুজানগর-বেড়া) আসনে পরিবর্তন এসেছে। এখানে মনোনয়ন পয়েছেন পাবনা জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও সুজানগর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আহমেদ ফিরোজ কবির। এবার এই আসন থেকে মনোনয়ন থেকে বঞ্চিত হয়েছেন বর্তমান এমপি আজিজুর রহমান আরজু।
পাবনা-২ (সুজানগর-বেড়া) আসনে আওয়ামী লীগের ১৬জন সংসদ সদস্য প্রার্থী মনোনয়ন ফরম ক্রয় করেছেন। তবে ১৬ জন প্রার্থী মনোনয়ন ফরম ক্রয় করলেও আগে থেকেই আওয়ামী লীগের তৃণমূল নেতা-কর্মী, সাধারণ ভোটার এবং রাজনৈতিক সচেতন ব্যক্তিদের দৃষ্টি ছিল মনোনয়ন প্রত্যাশী পাবনা জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও সুজানগর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আহমেদ ফিরোজ কবিরের দিকে। শেষ পর্যন্ত আহমেদ ফিরোজ কবিরই এ আসনে দলীয় মনোনয়ন পেলেন।
এদিকে আহমেদ ফিরোজ কবিরকে দলীয় মনোনয়ন দেওয়ার খবর নির্বাচনী এলাকায় ছড়িয়ে পড়ায় আওয়ামী লীগের তৃণমূল নেতা-কর্মী ও সাধারণ ভোটাররা উজ্জীবিত হয়ে উঠেছেন।
উপজেলার মালিফা গ্রামের আওয়ামী লীগ কর্মী শমসের আলী বলেন আহমেদ ফিরোজ কবির একজন সৎ এবং গ্রামের খেটে খাওয়া মানুষের মতো অতিসাধারণ মানুষ। তিনি মনোনয়ন পেয়েছেন এমপি নির্বাচিত হলে আমরা সাধারণ কর্মী যেকোন সমস্য নিয়ে সরাসরি তার কাছে যেতে পারবো। তিনি মনোনয়ন পাওয়ায় তারা খুব খুশি।
উপজেলার মানিকহাট গ্রামের ভ্যান চালক ও আওয়ামী লীগ সমর্থক ফারুখ বলেন, আমি গরীব মানুষ ভ্যান চালায় খাই তাই ভোট দেওয়ার চিন্তার চেয়ে পেটের চিন্তা বেশি করি। কিন্তু আহমেদ ফিরোজ কবির মনোনয়ন পাচ্ছেন শুনে এবার নৌকায় ভোট দিতে খুব ইচ্ছে করছে।
উপজেলার হুদারপাড়া গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা ও আ. লীগ নেতা আবুল কালাম আজাদ বলেন, আহমেদ ফিরোজ কবির তার বাবা প্রয়াত এমপি মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক আহমেদ তফিজ উদ্দিন মাস্টারের মতো আওয়ামী লীগের জন্য একজন নিবেদিত প্রাণ এবং ক্লিন ইমেজের নেতা। তাছাড়া তিনি গ্রুপিং পলিটিকস্’র সাথেও জড়িত নেই। সেকারণে তার মনোনয়ন পাওয়ার খবরে আওয়ামী লীগের তৃণমূল নেতা-কর্মী ও সাধারণ ভোটারদের মাঝে ব্যাপক সাড়া পড়েছে।
উপজেলার হাটখালী ইউপি চেয়ারম্যান হাবিবর রহমান হাবিব বলেন, আহমেদ ফিরোজ কবির ২০০৯ সালে উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে দুর্নীতিকে শতভাগ না করে পাঁচ বছর সততা এবং নিষ্ঠার সাথে উপজেলা পরিষদের কার্যক্রম পরিচালনা করেন। এতে তার প্রতি উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা এবং দলীয় নেতা-কর্মীদের পাশাপাশি সর্বস্তরের মানুষের আস্থা এবং ভালবাসা সৃষ্টি হয়। ফলে এ আসনে আহমেদ ফিরোজ কবির মনোনয়ন পাওয়ায় নৌকার জয়ের ব্যাপারে তারা অত্যন্ত আশাবাদী।