ইউপি চেয়ারম্যান সহ ৫১ জনের নামে থানায় হত্যার অভিযোগ দায়ের
সৈয়দ আকতারুজ্জামান রুমী, পাবনা প্রতিনিধি । কাগজটোয়েন্টিফোরবিডিডটকম
পাবনা সদর উপজেলার ভাড়ারা ইউনিয়নে আওয়ামীলীগের দু’গ্রুপের দ্বন্দ্বে প্রতিপক্ষের হামলায় জোড়া খুনের ঘটনায় (আজ) বুধবার সন্ধ্যায় সদর থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে। দায়েরকৃত অভিযোগে, পাবনা সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও ইউপি চেয়ারম্যান আবু সাঈদ খানসহ ৫১ জনের নাম উল্লেখ করে জোড়া খুনের অভিযোগ দায়ের করেন আওয়ামীলীগ নেতা নিহত লস্কর খানের ছেলে সুলতান মাহমুদ খান।
পাবনা সদর থানা সুত্রে জানা যায়, পাবনা সদর উপজেলার ভাড়ারায় আধিপত্য নিয়ে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ খান এবং জাসদ থেকে সদ্য যোগদানকারী আওয়ামীলীগ নেতা সুলতান মাহমুদ খানের পূর্ব শত্রুতা রয়েছে । গত সোমবার সন্ধ্যায় ইউপি চেয়ারম্যান আবু সাঈদ খান সমর্থক গ্রুপ প্রতিপক্ষের উপর উপর্যুপরি হামলা চালায়। এ ঘটনায় মামলার অভিযোগ দায়ের কারী সুলতানের বাবা মহসীন খান লস্কর (৬৮) ও প্রতিবেশী আব্দুল মালেক (৪০) গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন। এ ঘটনায় দুই নারী সহ ১০ জন গুলিবিদ্ধ আহত হয় ।
নিহত মহসীন খান লস্করের ছেলে সুলতান মাহমুদ খানের অভিযোগ সুত্রে জানাযায়, হামলাকারীরা তার বাবা ও প্রতিবেশীকে এলোপাথারী ভাবে পিটিয়ে ও গুলি করে হত্যা করার পর তাদের বাড়িতে ব্যাপক লুটতরাজ করে। এ সময় হামলাকারীরা নগদ টাকা ও স্বর্ণালঙ্কারসহ প্রায় ৫ লাখ টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে যায়।
দায়ের করা অভিযোগে, এই জোড়া হত্যাকান্ডের ঘটনায় সদরের ভাড়ারা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ খান, আব্দুল কাদের মাষ্টার, রফিক আলী খান,আক্কারে কানা,বকুল,আকুল,ডন,নাসির,হোচেন আলী, সোলেমান ও রবি, মাহাতাব,নাদের বিশ্বাস সহ ৫১ জনের নামের অভিযোগটি দায়ের করা হয়েছে।
এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে পাবনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওবাইদুল হক বলেন, অভিযোগ হাতে পেয়েছি। এখন যাচাই বাছাই কাজ চলছে। যাচাই বাছাই কাজ সম্পন্ন হলে রাতেই মামলাটি দায়ের করা হবে।