বাংলাদেশের নেতৃত্বের প্রতিচ্ছবি ঢাকার মার্কিন ফেসবুক ওয়ালে
মঙ্গলবার ১৮ ডিসেম্বর চেয়ারপার্সন সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার গুলশান দলীয় কার্যালয়ে বিএনপির নেতৃবৃন্দের সঙ্গে সাক্ষাত করতে আসেন সম্প্রতি ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত রবার্ট আর্ল মিলার। রাজনৈতিক দুর্দশিতাপূর্ণ এই কূটনৈতিক বাংলাদেশের বর্তমান গণতান্ত্রিক পরিস্থিতি নিয়ে কোনো শীর্ষ রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বাংলাদেশের মাটিতে এটিই তার প্রথম সৌজন্য সাক্ষাত।
সাক্ষাত পরবর্তী সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য দেয়ার পূর্বে ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, মার্কিন রাষ্ট্রদূত রবার্ট আর্ল মিলার তার ব্যক্তিগত সহকারীকে ডেকে বলতে শোনা যায়, ‘আমার পেছনে দাঁড়াও এবং পেছনে থেকে আমাকেসহ সামনের দেয়ালটিকে নিয়ে ছবি তোলার কথা।’ বাংলাদেশ নিযুক্ত মার্কিন এই বিজ্ঞ কূটনৈতিক হঠাৎ কেন এভাবে ছবি তোলার কথা বললেন? অথচ যেখানে অধিকাংশরাই নিজের প্রচার মুখরতায় ব্যস্ত থাকেন, ঠিক এক্ষেত্রে রবার্ট মিলার তার রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক দুদর্শিতার পরিচয় দিয়ে বাংলাদেশের মানুষের দীর্ঘ দিনের আশা-আকাঙ্খার প্রতি সমর্থন দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের দৃঢ় অবস্থানটিই কী জানাতে চেয়ছেন?
এদিকে বিএনপির সঙ্গে সাক্ষাতের পর ঢাকার মার্কিন দূতাবাস তাদের অফিসিয়াল ফেসবুক পেইজে ছবিটি দিয়ে একটি ট্যাস্টাজ প্রকাশ করেছে। যেখানে খুব দৃঢ়ভাবে বাংলাদেশ সম্পর্কে উল্লেখ করা হয়— Ambassador Miller met BNP Secretary General Mirza Fakhrul Islam Alamgir today at the BNP’s Gulshan office. Meeting with the press afterwards Ambassador Miller said, “As Bangladesh begins its grand exercise in democracy, the United States encourages a free, fair, credible, fully participatory and peaceful national election. Every eligible candidate should have the same opportunity to campaign. Every eligible voter should have equal access to the polls. Everyone, no matter the political party or sentiment, should act peacefully and responsibly. All sides must avoid and condemn violence. Violence hinders the democratic process and only serves those who wish to undermine it.”
মার্কিন দূতাবাসের ফেসবুক পেইজে প্রকাশিত ছবিটিতে দেখা যায় রাষ্ট্রদূত মিলার বিএনপি কার্যালয়ের ভেতরে দেয়ালের প্রতিচ্ছবিটির দিকে তাকিয়ে আছেন এবং ছবিটি যে তার পেছন থেকে তোলা তা স্পষ্ট বুঝা যাচ্ছে। যে ছবির ফ্রেমে লেখা আছে ‘তারেক রহমান, তোমায় প্রতীক্ষায় বাংলাদেশ।’
রবার্ট মিলারও কী বাংলাদেশের ১৮ কোটি মানুষের তারুণ্যে প্রতীক, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের যোগ্য উত্তরসুরী, সাবেক তিনবারের সফল প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার জ্যৈষ্ঠপুত্র তারেক রহমানের নেত্রীত্বকে তার রাজনৈতিক দুদর্শিতার পরিচয় দিয়ে সামনে নিয়ে আসলেন? বিষয়টি এখানেই সমাপ্ত রাখেন মি. মিলার।
ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন দূতাবাসের ফেসবুক ওয়ালে খুব চমৎকারভাবেই বাংলাদেশের আগামী নেতৃত্বের উত্তরসুরী তারেক রহমানের প্রতিচ্ছবি সংবলিত তার ফটো সেশনের ছবিটি প্রকাশ করে। দূতাবাসে প্রকাশ করা ছবিটি দেখলেই যে কারো বুঝতে অসুবিধা হবে না দেশনেত্রী বেগম জিয়ার যোগ্যউত্তরসুরী বিএনপির সিনিয়র ভাইস-চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দীর্ঘ প্রতীক্ষায় রয়েছে বাংলাদেশের মানুষ। আর সেই মুগ্ধতায় মার্কিন রাষ্ট্রদূত রবার্ট আর্ল মিলারও দেয়ালের প্রতিচ্ছবির দিকে তাকিয়ে হয়তো সম্মান দেখিয়েছেন, ছবি তুলতে চেয়েছেন, আবার নিজের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজেও সেই ছবি দিয়ে ষ্ট্যাস্টাজ দিয়েছেন আর এসব কিছুই বর্তমান বাংলাদেশের ১৮ কোটি মানুষের আশা-আক্সক্ষাকার বাস্তব প্রতিফলনই বটে। যে বিষয়টি নতুন মার্কিন রাষ্ট্রদূত রবার্ট আর্ল মিলারকে বুঝতে মোটেও অসুবিধা হয়নি।
আসলে পরিবর্তন আসবে, গণতন্ত্র মুক্তি পাবে, জনতার নেতা ফিরে আসবে, তারুণ্যের জয়গানে মুখরিত হবে সারাবাংলা। গ্লানিময় সূর্য অস্তমিত যাবে। সম্ভাবনার বাংলাদেশ আবার পুনঃজাগ্রত হবে তারুণের নেতৃত্বে।
এ জন্যই তারেক রহমান, তোমায় প্রতীক্ষায় বাংলাদেশ।
লেখক-জাহিদ এফ সরদার সাদী
বাংলাদেশের তিন তিনবারের প্রধানমন্ত্রী বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার সাবেক বৈদেশিক উপদেষ্টা এবং বিএনপির বিশেষ দূত।
ভিডিও-
https://youtu.be/pjwAFCa0tgg