আজ কবি রফিক আজাদের ৩য় মৃত্যুবার্ষিকী
মোঃ সবুজ সরকার সৌরভ, ঘাটাইল(টাঙ্গাইল)প্রতিনিধি । কাগজটোয়েন্টিফোরবিডিডটকম
আজ ১২ মার্চ বাংলা সাহিত্যের অন্যতম কবি রফিক আজাদের তৃতীয় মৃত্যুবার্ষিকী। টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলার জাহিদগঞ্জে এক অভিজাত পরিবারে ১৯৪৩ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি জন্ম গ্রহণ করেন রফিক আজাদ। ২০১৬ সালের ১২ মার্চ তিনি পাড়ি জমান না ফেরার দেশে। মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে ১৪ই মার্চ বিকাল ৩টা ৫৫ মিনিটে কবির দাফন সম্পন্ন হয় ৷
রফিক আজাদের কাব্যচর্চার ধারা এবং তার অবদানকে তরুণ প্রজন্মের কাছে পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে দেশের বিশিষ্ট কবি, বিভিন্ন পর্যায়ের ব্যক্তি ও পরিবারের সদস্যদের নিয়ে গঠন করা হয়েছে কবি রফিক আজাদ স্মৃতি পর্ষদ। এ পর্ষদের উদ্যোগে আজ দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে।
রফিক আজাদের বাবা সলিম উদ্দিন খান সমাজসেবক এবং মা রাবেয়া খান ছিলেন আদর্শ গৃহিণী। দুইভাই, এক বোনের মধ্যে তিনি ছিলেন সর্বকনিষ্ঠ। তৃতীয় শ্রেণিতে পড়ার সময় ১৯৫২ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি বাবা-মায়ের শাসন উপেক্ষা করে ভাষা শহীদদের স্মরণে খালি পায়ে মিছিল করেন রফিক আজাদ। চিরদিনই প্রতিবাদী এই কবিতার দ্রোহকে শুধু কবিতার লেখনীতে আবদ্ধ না রেখে লড়াইয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন জাতির চরম ক্রান্তিকালে, ১৯৭১ সালে হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে।
মুক্তিযুদ্ধের সময় রণাঙ্গনের সৈনিক হিসেবে পাকিস্তানি বাহিনীর বিরুদ্ধে সম্মুখ সমরে অংশ নেন তিনি। কর্মজীবনে রফিক আজাদ বাংলা একাডেমির মাসিক সাহিত্য পত্রিকা ‘উত্তরাধিকার’-এর সম্পাদক ছিলেন। ‘রোববার’ পত্রিকাতেও রফিক আজাদ নিজের নাম উহ্য রেখে সম্পাদনার কাজ করেছেন। টাঙ্গাইলের মওলানা মুহম্মদ আলী কলেজের বাংলা বিভাগে অধ্যাপনাও করেন তিনি।
‘ভাত দে হারামজাদা- তা না হলে মানচিত্র খাব’, লিখেছিলেন ১৯৭৪ সালের দুর্ভিক্ষের প্রেক্ষাপটে।