বড় দুই রুটে বন্ধ হচ্ছে রিকশা চলাচল
অনলাইন ডেক্স । কাগজটোয়েন্টিফোরবিডিডটকম
যানজট নিরসনে রাজধানী ঢাকার বড় দুই রুটে বন্ধ হতে যাচ্ছে রিকশাসহ অন্যান্য অবৈধ ও অ-অনুমোদিত যানবাহন চলাচল।
গাবতলী থেকে আসাদগেট হয়ে একদিকে আজিমপুর পর্যন্ত, অন্যদিকে সায়েন্সল্যাব থেকে শাহবাগ পর্যন্ত এবং কুড়িল থেকে রামপুরা ও খিলগাঁও হয়ে সায়েদাবাদ পর্যন্ত এ নিষেধাজ্ঞা কার্যকরের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আগামী ৭ জুলাই থেকে এ নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হবে।
বুধবার (৩ জুলাই) দুপুরে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) নগর ভবনে ঢাকা ট্রান্সপোর্ট কন্ট্রোল অথরিটির (ডিটিসিএ) এক বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন ডিএসসিসি মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন। এসময় বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) চেয়ারম্যান মশিয়ার রহমান, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন করপোরেশনের (বিআরটিসি) চেয়ারম্যান ফরিদ আহমেদ ভূঁইয়া, ঢাকা পরিবহন মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক খন্দকার এনায়েত উল্লাহ, ডিটিসিএ’র নির্বাহী পরিচালক রকিবুর রহমানসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে সাঈদ খোকন বলেন, ঢাকা শহরের সড়কে যানবাহনের শৃঙ্খলা ফেরাতে ডিটিসিএ’র একটি কমিটি গঠিত হয় যার প্রথম বৈঠক ছিলো বুধবার। এ বৈঠকে আমরা ঢাকা শহরের বিভিন্ন সড়ক থেকে রিকশা, লেগুনা ও হিউম্যান হলারসহ বিভিন্ন অবৈধ এবং অ-অনুমোদিত যানবাহন চলাচল বন্ধের সিদ্ধান্ত নেই। তারই অংশ হিসেবে প্রাথমিকভাবে রাজধানীর দুইটি রুটে- কুড়িল থেকে খিলগাঁও রামপুরা হয়ে সায়দাবাদ এবং গাবতলী থেকে আসাদগেট মিরপুর রোড হয়ে আজিমপুর ও সাইন্সল্যাব থেকে শাহবাগ পর্যন্ত সড়কে রিকশার পাশাপাশি অন্য সব অবৈধ যানবাহন চলাচলে নিষেধাজ্ঞা আরোপের সিদ্ধান্ত নেই। আগামী ৭ জুলাই থেকে এ নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হবে।
সভায় বক্তব্য রাখছেন ডিএসসিসি মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন, ছবি: ডিএইচ বাদলএকই সঙ্গে এসব সড়কের দুই পাশে ফুটপাত দখল করে স্থাপনা এবং অবৈধভাবে নির্মিত ভবন এবং অন্যান্য স্থাপনা উচ্ছেদে কাজ করা হবে বলেও জানান ডিএসসিসি মেয়র।
তিনি বলেন, এসব সড়কের দুই পাশে ফুটপাত দখল করে যেসব স্থাপনা রয়েছে সেগুলো ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নিজ নিজ এলাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার মাধ্যমে অপসারণ করবে। আর যেসব ভবন অবৈধভাবে নির্মাণ করা হয়েছে বিল্ডিং কোড না মেনে নির্মাণ করা হয়েছে যেগুলো ফুটপাতে পথচারীদের স্বাভাবিক চলাচলে বিঘ্ন সৃষ্টি করছে সেগুলো রাজা রামমোহন আদালত পরিচালনার মাধ্যমে ভেঙে দেবে। সার্বিক পরিস্থিতি পরবর্তী সাত দিন আমরা পর্যবেক্ষণ করে আর একটি বৈঠকের মাধ্যমে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেব।
এসময় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে সাঈদ খোকন বলেন, রিকশা এবং এসব যানবাহন বন্ধের কারণে আমাদের নগরবাসীদের যেনো কোনো দুর্ভোগ পোহাতে না হয় তার জন্য সর্বাত্মক সহায়তার আশ্বাস দিয়েছে বিআরটিসি এবং পরিবহন মালিক সমিতি। যাত্রীদের চলাচলে সড়কে পর্যাপ্ত পরিমাণ যানবাহনের ব্যবস্থা তাদের পক্ষ থেকে রাখা হবে। এ ক্ষেত্রে কোনো ধরনের মনোপলি বা ডিক্টেটরশিপের সুযোগ নেই। পুরো প্রক্রিয়াটি সার্বক্ষণিক আমাদের পর্যবেক্ষণে রয়েছে।