জন্মাষ্টমীর বারতা ও ভগবান শ্রীকৃষ্ণের শিক্ষা
জন্মাষ্টমীর বারতা ও ভগবান শ্রীকৃষ্ণের শিক্ষা
লেখক: শিপন রবিদাস প্রাণকৃষ্ণ, মহাসচিব, বাংলাদেশ রবিদাস ফোরাম (বিআরএফ), কেন্দ্রীয় কমিটি।
শুভ জন্মাষ্টমী আজ। মহান অবতার পরমেশ^র ভগবান শ্রীকৃষ্ণের জন্মতিথী। শাস্ত্রীয় বিবরণ ও জ্যোতিষ গণনার ভিত্তিতে লোকবিশ্বাস অনুযায়ী কৃষ্ণের জন্ম হয়েছিল ৩২২৮ খ্রিষ্টপূর্বাব্দের ১৮ অথবা ২১ আগষ্ট বুধবার।
শ্রীকৃষ্ণই পরমেশ্বর। তিনি অনাদি। সকলেরই আদি এবং সকল কারণের কারণ পরমেশ্বর ভগবান শ্রীকৃষ্ণএক এবং অদ্বিতীয়। কিন্তু বিভিন্ন রূপে নিজেকে প্রকাশ করেন। লীলা পুরুষোত্তম ভগবান শ্রীকৃষ্ণপরমাত্মা রূপে প্রতিটি জীবের হৃদয়ে এমনকি প্রতিটি অনু-পরমানুতে অবস্থান করেন। ভগবান বলতে বুঝায় যিনি পরম নিয়ন্তা যাঁর সমকক্ষ কেউ নন এবং যার থেকে শ্রেষ্ঠ কেউ নন।
স্বয়ং ভগবান কৃষ্ণ, কৃষ্ণ সর্বাশ্রয়।
পরম ঈশ্বর কৃষ্ণ, সর্বশাস্ত্রে কয়।। (আদি-২, শ্লোক ১০৬)
“এভাবেই শ্রীকৃষ্ণ হচ্ছেন আদি পুরুষ স্বয়ং ভগবান এবং সব কিছুর পরম আশ্রয়। সর্ব শাস্ত্রে তাঁকে পরম ঈশ্বর বলে স্বীকার করা হয়েছে।
পরমেশ্বর ভগবানের সর্ববিধ দেহ চিন্ময় ও নিত্য এবং সর্ববিধ দেহ জড় জগতের বিভিন্ন ব্রম্মান্ডে পুনঃ পুনঃ আবির্ভূত হন। তাঁদের রূপ সৎ, চিৎ, ও আনন্দময়। সেই সমস্ত দেহই ঘনীভূত পরমানন্দ, সর্ববিধ চিন্ময় গুণযুক্ত এবং যেহেতু তাঁরা জড়া প্রকৃতির সৃষ্টি নন, তাই তাঁরা শাশ্বত। তাঁদের রূপ চিন্ময় এবং তাঁরা জড় কলুষমুক্ত।
অনন্ত লীলাময় পরমেশ্বর ভগবান শ্রীকৃষ্ণ যিনি অনন্ত কোটি জড় ও চিন্ময় জগতের অধীশ্বর এবং অসংখ্য অবতারের উৎস। তিনি আজ থেকে প্রায় পাঁচ হাজার বছর পূর্বে দ্বাপর যুগের শেষে মথুরায় কংসের কারাগারে ভাদ্রমাসের কৃষ্ণপক্ষের অষ্টমী তিথিতে বসুদেব ও দেবকীর পুত্ররূপে আবির্ভূত হয়েছিলেন। এই তিথিকেই “জন্মাষ্টমী” বলা হয়। পরমেশ্বর ভগবান এই জড় জগতে স্বেচ্ছায় অবতীর্ণ হন। বদ্ধ জীবের মতো পূর্বকৃত কর্মফল ভোগের জন্য তাঁকে বাধ্য হয়ে জড়দেহ ধারণ করতে হয় না। সমগ্র ভারত বর্ষে যখন হানাহানি, রক্তপাত, সংঘর্ষ রাজ্যলোভ, রাজন্য বর্গের মধ্যে যুদ্ধবিগ্রহ ঠিক সেই সৃষ্টি স্থিতি প্রলয়ের যুগসন্ধিক্ষণে তাঁর আবির্ভাব অনিবার্য হয়ে পড়ে। শ্রীকৃষ্ণের জন্মের সময় সমস্ত গ্রহগুলি মঙ্গলময় অবস্থা এবং শুভ ইঙ্গিত প্রদর্শন করে বিরাজ করতে লাগল।
তাইতো এক সর্বমঙ্গলময় লগ্নে ভাদ্রমাসে কৃষ্ণাষ্টমী তিথিতে শুভ নক্ষত্র যোগে মধ্য রাত্রিতে পরম পুরুষ ভগবান শ্রীকৃৃষ্ণ কংসের কারাগারে দেবকীর অষ্টম গর্ভজাত সন্তানরূপে আবির্ভূত হলেন। রাত্রির গভীরে শঙ্খ, চক্র, গদা পদ্মসহ চতুর্ভূজ রূপ পরিগ্রহ করে ভগবান শ্রীকৃৃষ্ণ কারাগার অভ্যন্তরে বসুদেব ও দেবকীর সম্মুখে আবির্ভূত হন। দেবকীয় অনুরোধ ভগবান শ্রীকৃৃষ্ণ পরে দ্বিভূজ রূপ ধারন করেন।
পরবর্তীতে শ্রীকৃৃষ্ণ দ্বারা আদিষ্ট হয়ে বসুদেব সূতিকাগার থেকে তার সন্তানটিকে নিয়ে যাওয়ার সময় যোগমায়ার প্রভাবে কংসের প্রাসাদের প্রতিটি বাসিন্দা বিশেষ করে প্রহরীরা মোহাচ্ছন্ন হয়ে গভীর নিদ্রামগ্ন হল এবং কারাগারের সবকটি দরজা আপনা থেকেই খুলে গেল। ঘোর অন্ধকারময় রাত্রি। কিন্তু বসুদেব যখন শিশু সন্তানটিকে নিয়ে রওনা হলেন তখন রাত্রির অন্ধকার বিদূরিত হয়ে গেল এবং তিনি সব কিছু দিনের আলোর মত দেখতে পেলেন। যদিও সেই সময় গভীর বজ্রপাতের সঙ্গে প্রবল বর্ষণ শুরু হয়। কিন্তু ভগবান তখন অনন্ত শেষ সর্পরূপ ধারণ করে বসুদেবের মাথার উপর তাঁর ফনা বিস্তার করে সেই বর্ষণ থেকে তাদেরকে রক্ষা করেন। বসুদেব যমুনার তীরে এসে দেখলেন যে, যমুনার জল প্রচন্ড গর্জন করতে করতে ছুটে চলেছে। এই ভয়ঙ্কর রূপ সত্ত্বেও যমুনা কিন্তু বসুদেবকে যাওয়ার পথ করে দিল। এই ভাবে বসুদেব যমুনা পার হয়ে অপর পারে গোকুলে নন্দ মহারাজের গৃহে উপস্থিত হন। তখন সেখানে সমস্ত গোপ-গোপীরা গভীর নিদ্রায় মগ্ন। সেই সুযোগে তিনি নিঃশব্দে যশোদা মায়ের গৃহে প্রবেশ করে তার পুত্র সন্তানটিকে সেখানে রেখে যশোদার সদ্যোজাত কন্যাকে নিয়ে কংসের কারাগারে ফিরে এলেন এবং নিঃশব্দে দেবকীর কোলে কন্যাটিকে রাখলেন। তিনি নিজেকে আবার শৃঙ্খলাবদ্ধ করলেন যাতে কংস বুঝতে না পারে যে, ইতোমধ্যে অনেক কিছু ঘটে গেছে।
তন্দ্রাগ্রস্থ কংস কারাভ্যন্তরে শিশুর কান্নার শব্দ শুনতে পেলেন। সেই শব্দ শুনে মহা আনন্দে আত্মহারা হয়ে কংস দ্রুত কারা কক্ষটির দিকে এগিয়ে এলেন। কারাকক্ষে প্রবেশ করে হুংকার দিলেন, “কোথায় আমার সেই বহু অপেক্ষিত শিশুটি?দেবকীর কোল থেকে শিশুটিকে ঝাপটে তুলে নিয়ে আশ্চর্য্যান্বিত হয়ে দাঁড়িয়ে বললেন একি?আমি একি দেখছি! এতো কন্যা সন্তান?আমি তো দৈব বানীতে শুনেছিলাম দেবকীর অষ্টম গর্ভজাত সন্তানটিই আমার মৃত্যুর কারণ। এ কন্যা সন্তান কি করে আমার মৃত্যুর কারণ হবে? পরক্ষনেই মনস্থির করলেন- পুত্র, কন্যা যাই হোক, কোনটিই তার হাত থেকে রেহাই পাবেনা। তৎক্ষণাৎ কন্যা সন্তানটিকে এক বধ্য শিলায় আঘাত করতে উদ্ধত হলে শিশুটি অদৃশ্য হয়ে মা যোগমায়া অষ্টভূজ মূর্তিতে দিব্য জ্যোতি দ্বারা ভুবন মোহিত করে বলে উঠলেন, শুন ওরে দূরাচার পাপিষ্ট কংস, তুই আমাকে বধ করতে চাস? শুনে রাখ-“তোকে বধিবে যে গোকুলে বাড়িছে সে”। -এই বলে দেবী অদৃশ্য হয়ে গেলেন। শ্রীকৃষ্ণ আস্তে আস্তে গোকুলে বেড়ে উঠতে লাগলেন।
যেহেতু প্রত্যেক ধর্মেরই কিছু পৌরাণিক তাৎপর্য রয়েছে, তাই মানুষের নিজস্ব অধিকার রয়েছে যতদিন তারা বাঁচবে, এই বিষয়গুলিতে তাদের বিশ্বাস রাখার এবং তাদের কাজে ও কর্মে তা অনুসরণ করার।অন্যান্য ধর্মগুলির মতো, হিন্দুধর্মেরও কিছু পৌরাণিক সাহিত্য রয়েছে যেগুলি শিক্ষা ও প্রচারের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। শীর্ষস্থানীয়গুলির মধ্যে হিন্দুরা ভগবৎ গীতার প্রতি খুবই শ্রদ্ধাশীল।এই বইটির একটি পবিত্র তাৎপর্য রয়েছে, যেহেতু বিশ্বাস করা হয়ে থাকে, ভগবান শ্রীকৃষ্ণ পান্ডব রাজপুত্র অর্জুনকে যে বাণীগুলি প্রদান করেছিলেন, সেই ধর্মোপদেশগুলি এটিতে রয়েছে।
ভগবত গীতা থেকে বেশকিছু বিষয় শিক্ষণীয় রয়েছে। এই শিক্ষাকে কেতাবি শিক্ষা হিসাবে নেওয়ার কোন কারণ নেই, বরং এগুলি বাস্তব এবং এমন অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় রয়েছে যা আমাদের ভগবত গীতা থেকে শিখতে হবে।যতদূর ভগবত গীতার শিক্ষা সম্বন্ধীয় প্রসঙ্গ রয়েছে, তা অমূল্য ও এমন অনেক বিষয় রয়েছে যা আমাদেরকে ভগবত গীতা থেকে শিখতে হবে।
হিন্দু বিশ্বাস অনুযায়ী, ভগবান শ্রীকৃৃষ্ণ, ভগবান বিষ্ণুর অবতার এবং তাঁর ধর্মোপদেশ স্বয়ং ঈশ্বরের বাণী ছাড়া আর কিছুই নয়। ভগবৎ গীতা থেকে যে বিষয়গুলি আপনি শিখবেন তার ওপর আপনাকে গুরুত্ব দিয়ে মনোযোগ দিতে হবে।
১. যা ঘটছে:যা ঘটছে তা অবশ্যম্ভাবী এবং অনিবার্য। আপনাকে বিশ্বাস করতে হবে যে যাই ঘটছে তা মানুষের মঙ্গলের জন্যই ঘটছে। এর মধ্যে হস্তক্ষেপ করার বা একে থামানোর কোন অধিকার আপনার নেই।
২. কর্ম করে যাও ফলের চিন্তা করো না: ভগবৎ গীতা আপনাকে শুধু ফলের চিন্তা না করে কর্ম করে যাওয়ার অনুমতি দেয়। কর্মফলের ওপর আপনার কোন দাবি নেই।
৩. আত্মা অমর:আত্মা অমর ও একে ধ্বংস করা যায় না। একজন ব্যক্তির মৃত্যুর পর আত্মা কেবল শরীর পরিবর্তন করে। এটি কখনোই ভিজে যেতে পারে না বা আগুনে পুরে যেতে পারে না।
৪. সঞ্চিত সম্পত্তি সম্বন্ধে চিন্তা বন্ধ করুন:ভগবৎ গীতা থেকে আপনাকে যে বিষয়গুলি শিখতে হবে, সেগুলির মধ্যে এটি একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। খালি হাতেই আপনি জন্মে ছিলেন এবং সেই অবস্থাতেই আপনি এই পৃথিবী ছেড়ে চলে যাবেন। মৃত্যুর পর আপনি আপনার সাথে কোন পার্থিব সম্পদ বয়ে নিয়ে পারবেন না।
৫. লোভ, লালসা এবং ক্রোধ ত্যাগ করুন:লোভ, লালসা এবং ক্রোধ বিষ-তুল্য এবং মানুষের প্রকৃতি ও চরিত্রকে নষ্ট করে। একটি শান্তিপূর্ণ জীবন যার পথ আপনাকে মহিমান্বিত করতে পারে তার জন্যে গীতা আপনাকে এই তিনটি অশুভ রিপু দ্বারা ভুগতে দেয় না।
৬. সন্দেহ পরিত্রাণ করুন:আপনাকে ভগবৎ গীতা থেকে যে বিষয়গুলি শিখতে হবে, সেগুলির মধ্যে এটি একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আপনি সন্দেহ পরিত্রাণ না করলে, মানসিক শান্তি পাওয়ার কথা আশা করতেই পারবেন না।
৭. প্রতিটি ব্যক্তি নিজেই নিজের পরম বন্ধু বা শত্রু:প্রতিটি ব্যক্তি নিজের ভেতর থেকেই অনুপ্রেরণা নিয়ে থাকে, কারণ সে নিজেই নিজের পরম বন্ধু বা শত্রু। সে নিজেই নিজের চিন্তা ও ধারণা থেকে বহুল পরিমাণে প্রভাবিত হয়ে থাকে ও সেই অনুযায়ী কর্ম করে থাকে।
৮. যেমন কর্ম, তেমন ফল:আপনার কর্ম ঈশ্বর দ্বারা যথোপযুক্ত বিচার করা হবে। মৃত্যুর পর আপনার কর্মের জন্য আপনাকে দন্ড বা পুরস্কার পেতে হবে। বিচার কেবলমাত্র মৃত্যুরপরই সম্পন্ন হবে এবং এটিই মৃত ব্যক্তির শেষ পরিণতি নির্ধারণ করবে।
৯. আপনদের মূল্য দিন:অন্য কারোর কাছ থেকে সম্মান পেতে হলে, আপনাকে আগে তাদেরকে সম্মান দিতে হবে। আপনি নিজে যাকে সম্মান করেন না তার কাছ থেকে আপনি সম্মান পাওয়ার আশা করতে পারেন না।
১০. জীবন আপনাকে যা দেবে তাই স্বীকার করুন:জীবনের সম্পদ বা অসুবিধা কিছুই আপনি নিজে বেঁছে নিতে পারেন না। জীবন আপনাকে যা দেবে সেটাই আপনার মেনে নেওয়া প্রয়োজন। এই বিষয়গুলি আপনার পূর্বকৃত-কর্মফলের সাথে ঘনিষ্ঠভাবে সম্পর্কিত।
১১. অগ্রগতি ও উন্নয়ন জীবনের নিয়ম: একই জায়গায় স্থবির হয়ে থাকা মনুষ্যজাতির উদ্দেশ্য নয়। কর্ম দ্বারা তাদেরকে অগ্রসর ও বিকশিত হতে হবে। মানুষের কর্মের ওপর ভিত্তি করে ঈশ্বর তাদের পথ নির্ধারণ করবেন।
১২. জগত ক্ষয়িষ্ণু:জগত ও সৃষ্টি প্রকৃৃতিগত ভাবে ক্ষয়িষ্ণু, তার ফলে এক না একদিন উভয়েরই অন্ত আসবে। পূর্ব নির্ধারিত দিন বা সময়ে পরিসমাপ্তির সাথে মিলিত হওয়া থেকে আপনি তাদের আটকাতে পারবেন না।
১৩. আপনার কর্ম ও ক্রিয়া কৃষ্ণকে উৎসর্গ করুন:যেহেতু, ভগবান কৃষ্ণ জগত ও সৃষ্টির পালক, আপনাকে শুধু আপনার কর্ম ও ক্রিয়া তাঁকে উৎসর্গ করতে হবে। আপনার জীবনের সাফল্য ও ব্যর্থতার সিদ্ধান্ত তাঁকেই নিতে দিন।
১৪. ভগবান শ্রীকৃষ্ণই সর্বোত্তম শক্তি: গত-সংসার ভগবান শ্রীকৃষ্ণেরই সৃষ্টি এবং সবই তার ইচ্ছাশক্তিতে ঘটছে। একজন মানুষ হিসাবে, এর বাইরে কিছু নিয়ে চিন্তা করার অধিকার আপনার নেই।
১৫. ধন-সম্পদ ও কামনার দাস হবেন না: ধন-সম্পদ ও কামনার দাস বা হাতের পুতুল হয়ে পড়লে, তা আপনার প্রকৃতি ও চরিত্রে একটা নিশ্চিত অধঃপতন নিয়ে আসতে পারে। প্রকৃতপক্ষে এর ফল, চরম ব্যর্থতা হতে পারে।
ভগবান শ্রীকৃষ্ণের এই ধরাধামে আগমন প্রসঙ্গে ভগবদগীতায় (৪/৭-৮) নিজেই বলেছেন-
“যদা যদা হি ধর্মস্য গ্লানির্ভবতি,
অভ্যুত্থানম ধর্মস্য তদাত্মানাং সৃজাস্যহম।
পরিত্রাণায় সাধুনাং বিনাশায়চ দুস্কৃতাম,
ধর্ম সংস্থাপনার্থায় সম্ভবামি যুগে যুগে”।।
“যখন ধর্মের গ্লানি এবং অধর্মের প্রার্দুভাব হয়, তখন আমি নিজেকে প্রকট করি। সাধুদের পরিত্রাণ, দুস্কৃতকারীদের বিনাশ এবং ধর্ম সংস্থাপনের জন্য যুগে যুগে আমি আবির্ভূত হই”।
জন্মাষ্টমীর অমোঘ বার্তাটি হল, দুষ্টের দমন, শিষ্টের পালন তথা সমাজে শান্তি প্রতিষ্ঠা। শ্রীকৃষ্ণের জীবন দর্শন ও প্রেমের বাণী বিশ্ব সমাজকে সৌভ্রাতৃত্ব ও সম্প্রীতির বন্ধনে আবদ্ধ করতে কার্যকর ভূমিকা রাখে। তাইতো জন্মাষ্টমী অর্থাৎ শ্রীকৃষ্ণের জন্মদিন শান্তিময় বিশ্ব প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে প্রতিবছর নিয়ে আসে জাতি ধর্ম, বর্ণ, নির্বিশেষে এক আনন্দময় শুভ বার্তা।