প্রকৃত জ্ঞানের সন্ধান
প্রকৃত জ্ঞানের সন্ধান
-আওলাদ হোসেন
(ক) হাতের আঙ্গুল আরশি দিয়ে দেখতে হয় না।
(খ) আগে আল্লাহ পরে আপনারা… শেরেকি।
(গ) পৃথিবীর সঙ্গে অন্যান্য গৃহের সম্পর্ক-আল-কুরআনের।
(ঘ) কুল হুয়ার রাহমানু আমান্নাবিহি ওয়া ইলাইহে তাওয়াক্কালনা।
সময় পেরিয়ে গেল, তিন ভাগের দুই ভাগ অনেক আগেই শেষ। ছোট ভাইটি অসময়ে চলে গেল। অজ্ঞাত রোগে বাকরুদ্ধ থেকে সহায় সম্পত্তি আদেশ নির্দেশ কিছুই বলতে পারল না। টাউট বাটপাড়দের অভাব নেই দুই পক্ষই সমান এ যেন আরেক রাষ্ট্র। প্রতিটি পরিবারই একজন ভোগকারী অপরজন অদৃষ্ট বাদী। এটাকে চুম্বকারির চুম্বকত্ব অথবা চার্জ দেয়ার মত, অনুরূপ কাজের যোগানদার। অনুপস্থিতিতে চাহিদা মেটায়। লেখক আরশাদ আজিজ ভাবতেই পারে নাই ২৩-১০-১৯ খ্রি. তার জীবনের সমাপ্তি কাল। শুনে ছিলাম প্রচুর টাকা অনুবাদ সাহিত্যের মাধ্যমে কামাই করেছিল রাগী অভিমান শুভাকাঙ্খিদের নিকট হাত পাতেননি, সদাশয় সরকারের দ্বারস্থ হননি, রফিক আজাদকে ওস্তাদ মানতেন। মৃত্যুকালে ও ২/৪টি পান্ডুলিপি ফিরিয়ে দিয়েছে অথচ টাকার হয়তো প্রয়োজন ছিল। অসাধারণ পান্ডিত্য কোনরূপ স্বীকৃতিছাড়াই পৃথিবীর পথ ছেড়ে দিয়ে ভীন গ্রহে চলে গেল। মুক্তিযোদ্ধা ছাড়াও প্রকট স্বাধীন চেতা মুক্তির সংগ্রাম কাকে বলে অনেককেই শিখিয়ে দিয়ে গেছেন এক প্রমাণ করে ছেড়েছেন দেশকে রণাঙ্গণ করা যায়। বন্ধু মহলে তার প্রমান মিলে।
বাংলা একাডেমীতে চাকুরী থেকে স্বেচ্ছা অবসর নিয়ে টাঙ্গাইল-এ পৈত্রিক ভিটায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করে। ভেবেছিলাম যে দেশে সবই সম্ভবকে পক্ষের আর কে বিপক্ষের, কে প্রকৃত সিরাজউদ্দৌলা আরকে মীরজাফর, কে দেশ প্রেমিক আর কে ভেক সেখানে পবিত্রতা বলতে কিছু আছে কিনা, চাটুকারদের ভীরে প্রকৃত সাধু সংকট বিরাজিত কিছু লিখে তার আত্মাকে অপমানিত করতে চাইনি। তবু ভাই এর প্রতি দরদ উথলে উঠে, এ জগতে হায় সেই বেশী চায় আছে যার ভুরি ভুরি। যে দেশে জ্ঞানীর কদর নেই সে দেশে জ্ঞানী। জন্মগ্রহণ করতে পারে না।
সাপ্তাহিক রোববারে এক নজরুল প্রেমী কিছু কথা লিখেছিলেন কিন্তু যদি তিনি জানতেন তার দেশপ্রেম কত উচ্চ মাপের ছিল, তিনি হয়তো লজ্জা পেতেন যে একজন দেশ প্রেমী রাজনীতিতে না জড়িয়েও কত প্রখর বুদ্ধিমত্তা দিয়ে দেশের রাজনীতিবিদদের দেশ পরিচালনায় কতখানি মুর্খতা ও অর্বাচীনতা বিরাজ করছে। বিশেষ কোন কারণে কবি মাহমুদ কামালকে পুরস্কার নিতে অনুপস্থিত থাকে। আমার মনে হয় অনুবাদ সাহিত্যে তাকে মরনোত্তর জাতীয় পুরস্কার দেয়া যায়। তবে এদেশে কে কাকে মাল্যদান করবে, নিজে পেলে বাপের নাম।
জ্ঞান চর্চায় আমার বিপরীত ছিল সে। আমি হঠাৎই দেখতে পেলাম আল-কুরআনের অনেক আয়াত বাংলা সাহিত্যে প্রবেশ ঘটিয়ে আল্লাহর পরিচয় বাঙালির ঘরে ঘরে পৌছে দেয়া যায়। আমি দিয়েছি, এই প্রকাশিথ শেষ। তবুও লিখি। সাপ্তাহিক ইনতিজারের সম্পাদক, দপ্তর সম্পাদক প্রকাশনায় জড়িতরা এবং কবি হিসেবে শাহনেওয়াজ পারভীন শান্তি আমাকে সব সময় উৎসাহ যুগিয়ে থাকেন। এ বই কেউ পয়সা দিয়ে কিনে না। এবং আরবি প্রচারের ক্ষেত্রে পয়সা কোন মুখ্য বিষয় নয়। কাগজ ২৪-বিডি.কম আমার লেখা নিয়মিত প্রকাশ করে থাকেন। কম্পউটারে আমার পুত্র সর্বোতভাবে সাহায্য করেছে।
এবার কিছু কোরআনের আয়াত উল্লেখ করছি:-
ক্স কেমন করে তোমরা আল্লাহর ব্যাপারে কুফরী অবলম্বন করছ? অথচ তোমরা ছিলে নিষ্প্রাণ। অতঃপর তিনিই তোমাদেরকে প্রাণ দান করেছেন, আবার মৃত্যু দান করবেন। পুনরায় তোমাদেরকে জীবনদান করবেন। অতঃপর তারই প্রতি প্রত্যাবর্তন করবে। (২:২৮)
ক্স তিনি নভোমন্ডল ও ভূমন্ডলের উদ্ভাবক। যখন তিনি কোন কার্য সম্পাদনের সিন্ধান্ত নেন, তখন সেটিকে একথাই বলেন, ‘হয়ে যাও’ তৎক্ষণাৎ তা হয়ে যায়। (২:১১৭)
ক্স এবং অবশ্যই আমি তোমাদিগকে পরীক্ষা করব কিছুটা ভয়, ক্ষুধা, মাল ও জানের ক্ষতি ও ফল-ফসল বিনষ্টের মাধ্যমে। তবে সুসংবাদ দাও সবরকারীদের। (২:১৬০)
ক্স নিশ্চয়ই আসমান ও যমীনের সৃষ্টিতে, রাত ও দিনের বিবর্তনে এবং নদীতে নৌকাসমূহের চলাচলে মানুষের জন্য কল্যাণ রয়েছে। আর আল্লাহ তা’ আলা আকাশ থেকে যে পানি নাযিল করেছেন, তদ্দ্বারা মৃত যমীনকে সজীব করে তুলেছেন এবং তাতে ছড়িয়ে দিয়েছেন সবরকম জীব-জন্তু। আর আবহাওয়া পরিবর্তনে এবং মেঘমালার যা তাঁরই হুকুমের অধীনে আসমান ও যমীনের মাঝে বিচরণ করে, নিশ্চয়ই সে সমস্ত বিষয়ের মাঝে নিদর্শন রয়েছে বুদ্ধিমান সম্প্রদায়ের জন্যে। (২:১৬৪)
ক্স আর লড়াই কর আল্লাহর ওয়াস্তে তাদের সাথে, যারা লড়াই করে তোমাদের সাথে। অবশ্য কারো প্রতি বাড়াবাড়ি করো না। নিশ্চয়ই আল্লাহ সীমালঙ্ঘনকারীদেরকে পছন্দ করেন না। (২:১৯০)
ক্স আর আল্লাহর হুকুম ছাড়া কেউ মরতে পারে না-সেজন্য একটা সময় নির্ধারিত রয়েছে। বস্তুতঃ যে লোক দুনিয়ায় বিনিময় কামনা করবে, আমি তাকে তা দুনিয়াতেই দান করব। পক্ষান্তরে-যে লোক আখেরাতে বিনিময় কামনা করবে, তা থেকে আমি তাকে তাই দেবো। আর যারা কৃতজ্ঞ তাদেরকে আমি প্রতিদান দেবো (৩:১৪৫)
ক্স হে মুমিণগণ! তোমরা ইহুদী ও খ্রীষ্টানদেরকে বন্ধু হিসাবে গ্রহণ করো না। তারা একে অপরের বন্ধু। তোমাদের মধ্যে যে তাদের সাথে বন্ধুত্ব করবে, সে তাদেরই অন্তর্ভুক্ত। আল্লাহ জালেমদেরকে পথ প্রদর্শন করেন না। (৫:৫১)
ক্স এটা মানুষের একটি সংবাদনামা এবং যাতে এতদ্বারা ভীত হয় এবং যাতে জেনে নেয় যে, উপাস্য তিনিই-একক; এবং যাতে বুদ্ধিমানরা চিন্তা-ভাবনা করে। (১৪:৫২)
ক্স অতঃপর আমি জনপদটিকে উল্টে দিলাম এবং তাদের উপর কঙ্করের প্রস্থর বর্ষণ করলাম।
নিশ্চয় এতে চিন্তাশীলদের জন্যে নিদর্শনাবলী রয়েছে।
জনপদটি সোজা পথে অবস্থিত রয়েছে।
নিশ্চয় এতে ঈমানদারদের জন্যে নিদর্শণ আছে। (১৫:৭৪-৭৭)
# অতএব আপনি পালনকর্তার সৌন্দর্য স্মরণ করুন এবং সেজদাকারীদের অন্তর্ভূক্ত হয়ে যান।
এবং পালনকর্তার এবাদত করুন, যে পর্যন্ত আপনার কাছে নিশ্চিত কথা না আসে। (১৫:৯৮-৯৯)
# এবং তিনি পথ নির্ণয়ক বহু চিহ্ন সৃষ্টি করেছেন, এবং তারকা দ্বারা ও মানুষ পথের নির্দেশ পায়।
যিনি সৃষ্টি করে, তিনি কি সে লোকের সমতুল্য যে সৃষ্টি করতে পারে না? তোমরা কি চিন্তা করবে না? (১৬:১৬-১৭)
# আমি প্রত্যেক উম্মতের মধ্যেই রাসূল প্রেরণ করেছি এই মর্মে যে, তোমরা আল্লাহর এবাদত কর এবং তাগুত থেকে নিরাপদ থাক। অতঃপর তাদের মধ্যে কিছু সংখ্যককে আল্লাহ হেদায়েত করেছেন এবং কিছু সংখ্যকের জন্যে বিপথগামিতা অবধারিত হয়ে গেল। সুতরাং তোমরা পৃথিবীতে ভ্রমণ কর এবং দেখ মিথ্যারোপকারীদের কিরূপ পরিণতি হয়েছে।
আপনি তাদেরকে সুপথে আনতে আগ্রহী হলেও আল্লাহ যাকে বিপথগামী করেন তিনি তাকে পথ দেখান না এবং তাদের কোন সাহায্যকারী ও নেই। (১৬:৩৬-৩৭)
# এরপর সর্বপ্রকার ফল থেকে ভক্ষণ কর এবং আপন পালনকর্তার উম্মুক্ত পথ সমূহে চলমান হও। তার পেট থেকে বিভিন্ন রঙে পানীয় নির্গত হয়। তাতে মানুষের জন্যে রয়েছে রোগের প্রতিকার। নিশ্চয় এতে চিন্তাশীল সম্প্রদায়ের জন্যে নিদর্শন রয়েছে। (১৬:৬৯)
# আল্লাহ তোমাদেরকে তোমাদের মায়ের গর্ভ থেকে বের করেছেন। তোমরা কিছুই জানতে না। তিনি তোমাদেরকে কর্ণ, চক্ষু ও অন্তর দিয়েছেন, যাতে তোমরা অনুগ্রহ স্বীকার কর।
-তারা কি উড়ন্ত পাখীকে দেখে না? এগুলো আকাশের অন্তরীক্ষে আজ্ঞাধীন রয়েছে। আল্লাহ ছাড়া কেউ এগুলোকে আগলে রাখে না। নিশ্চয় এতে বিশ্বাসীদের জন্যে নিদর্শনবলী রয়েছে।
-আল্লাহ করে দিয়েছেন তোমাদের গৃহকে অবস্থানের জায়গা এবং চতুস্পদ জন্তুর চামড়া দ্বারা করেছেন তোমার জন্যে তাঁবুর ব্যবস্থা। তোমরা এগুলোকে সফরকালে ও অবস্থান কালে পাও। ভেড়ার পশম, উটের বাবরি চুল ও ছাগলের লোম দ্বারা কত আসবাবপত্র ও ব্যবহারের সামগ্রী তৈরী করেছেন এক নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত।
-আল্লাহ তোমাদের জন্যে সৃজিত বস্তু দ্বারা ছায়া করে দিয়েছেন এবং পাহাড় সমূহে তোমাদের জন্যে আতœ গোপনের জায়গা করেছেন এবং তোমাদের জন্যে পোশাক তৈরী করে দিয়েছেন, যা তোমাদেরকে গ্রীষ্ম এবং বিপদের সময় রক্ষা করে। এমনিভাবে তিনি তোমাদের প্রতি স্বীয় অনুগ্রহের পূর্ণতা দান করেন, যাতে তোমরা আতœসমর্পণ কর। (১৬:৭৭, ৭৮, ৭৯, ৮০,৮১)
ইতিপূর্বে অনেক আয়াত উদ্বৃতি দিয়েীছ সেহেতু এখানে নতুন আয়াত দেয়া হলো। এই জ্ঞান মানুষ কর্তৃক রচিত কোন গ্রন্থ না। স্রষ্টার সৃষ্টি কত ব্যাপক, বিলিয়ন বিলিয়ন লাইট ইয়ার পর্যন্ত বিস্তৃত যা পৃথিবীর মানুষ চিন্তাও করতে পারবে না। আল্লাহর কোন ধারনা সম্ভব না। এই জ্ঞান পিপড়া তুল্য যা মানুষ সম্বন্ধে বুঝানো সম্ভব না। অন্যরূপ মানুষকে আল্লাহ সম্বন্ধে কোন জ্ঞান দেয়া সম্ভব না। দুইটির জ্ঞান পরস্পর সমান অবয়বে সীমাবদ্ধ।