সিরাজগঞ্জের কাজিপুরে অবৈধ মুড়ি তৈরীর কারখানা ও অবৈধ মেশিন বিক্রয় কেন্দ্রে র্যাবের অভিযান, ভ্রাম্যমান আদালতে ০৪ লক্ষ টাকা জরিমানা।
অনলাইন ডেক্স । কাগজটোয়েন্টিফোরবিডিডটকম
বৃহস্পতিবার (১১ ফেব্রুয়ারী ২০২১ ইং তারিখ) দুপুর ০১.৩০ হতে ০৫.১৫ ঘটিকা পর্যন্ত গোপন সাংবাদের ভিত্তিতে র্যাব-১২ এর উপ-অধিনায়ক মেজর মোঃ মশিউর রহমান এবং স্পেশাল কোম্পানীর ভারপ্রাপ্ত কোম্পানী কমান্ডার,সহকারী পুলিশ সুপার মুহাম্মদ মহিউদ্দিন মিরাজ এর নেতৃত্বে র্যাব-১২ এর সদর কোম্পানীর একটি চৌকষ আভিযানিক দল সিরাজগঞ্জ জেলার কাজিপুর থানাধীন এলাকায় মেসার্স মাহবুব ট্রেডার্স নামে সরকার অনুমোদনহীন মুড়ির মেশিন তৈরীর অবৈধ কারখানা ও বিক্রয় কেন্দ্রতে অভিযান পরিচালনা করেন এবং মোঃ হাফিজুর রহমান ও মোঃ আব্দুল মোতাল্লিব নামে দুইজনকে আটক করা হয়। উল্লেখ্য যে,অভিযুক্ত হাফিজুর পেশায় একজন মেকার।তিনি দেশীয় প্রযুক্তি ব্যবহার করে মুড়ি তৈরির যন্ত্র তৈরি করে তার নিজস্ব ইউটিউব চ্যানেল ঐঝ ঞঠ এর মাধ্যমে বিজ্ঞাপন দিয়ে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বিক্রি করে আসছিলো। মূলত এই যন্ত্রের জন্য তিনি কোন সরকারি অনুমোদন নেননি। মুড়ি তৈরির এই মেশিনে মূলত অধিক পরিমান বিষাক্ত হাইড্রোজ,ইউরিয়া সার ও লবন মিক্সি করে চাল দিলে মুড়ি তৈরি হয় যা জনস্বাস্থ্যের জন্য অত্যধিক ক্ষতিকর। বিক্রির সময় বলা হয় প্রতি ঘন্টায় ১০০ কেজে চালের মুড়ি হবে কিন্তু বাস্তবে ২০ কেজি চালেরও মূড়ি হয় না। যে প্রক্রিয়াতে তার মেশিন দিয়ে মুড়ি তৈরি করা হয় তাতে মেশিন ক্রেতারা ব্যবসায়িক ভাবে লসে পরে যায়। ফলে মেশিন ক্রেতারা ফেরত দিতে আসলে মেশিন রেখে দিয়ে ক্রেতাদের টাকা না দিয়ে ঘুরাতে থাকে। প্রতিটি মেশিনের জন্য ক্রেতাকে গুনতে হতো ১.৫ থেকে ৩ লক্ষ টাকা পর্যন্ত। দিনের পরদিন এভাবেই মানুষকে প্রতারিত করে আসছিলো। এ সময় এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ মঈন উদ্দিন(ক-অঞ্চল, সিরাজগঞ্জ) এর ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে এবং র্যাব এর সহযোগিতায় তাদেরকে বিভিন্ন দন্ডে দন্ডিত করা হয়।
দন্ডে দন্ডিত ব্যক্তিরা হলেনঃ ১। মোঃ হাফিজুর রহমান(২৮), পিতা-মোঃ আব্দুল মোতাল্লিব, জরিমানা- ০২ লক্ষ টাকা ও ১৫ দিনের বিনাশ্রম কারাদন্ড, ২।মোঃ আব্দুল মোতাল্লিব(৫৮), পিতা-বদিউজ্জামান ভূইয়া, জরিমানা- ০২ লক্ষ টাকা, উভয় সাং- হরিণা পিপুল বাড়িয়া বাজার, বাগবাটী, জেলা-সিরাজগঞ্জ।
উল্লেখিত যে দন্ডিত দুই ব্যক্তিকে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষন আইন ২০০৯ এর ৪২ ও ৪৪ ধারায় উভয়কে ০২ লক্ষ টাকা করে সর্বমোট ৪,০০,০০০/-(চার লক্ষ টাকা) জরিমানা করা হয়।
অবৈধ কারখানা/ভেজাল খাদ্য এর বিরুদ্ধে র্যাব-১২ এর অভিযান অব্যহত থাকবে।