তানিয়া তাসমিনা এর কবিতা-সাধারন মেয়ে
সাধারন মেয়ে
-তানিয়া তাসমিনা
সে অতি সাধারন এক মেয়ে
কারো কারোও কাছে আনস্মার্ট ও বটে,
আর তাদেরইবা দোষ কি বলো,
যে কিনা ঠিকঠাক মতো মেকআপ নামক বস্তুটাকে আয়ত্ব করতে পারেনি,
খটখট হাই হিলের শব্দ তুলে হাঁটতে শিখেনি,
তাকে তো আধুনিকা বলা যায় না৷
চুপি চুপি বলে রাখি..
কিছুটা কি বলছি বেশ খানিকটা নির্বোধও বটে,
কেমন করে বিশ্বাসের ডালি সাজিয়ে বসে থাকে,
অবহেলাকে যে কিনতে চায় ভালোবাসা দিয়ে,
সে আর যাই হোক না কেন বুদ্ধিমান হয়ে উঠতে পারেনি৷
যে কিনা আপন মনে রবীন্দ্র সংগীত গুনগুনায়,
কবিতার মাঝে বুদ হয়ে থাকে,
এখনো মাঝরাতে আপন মনে
আকাশের তারার সাথে কথা কয়,
তাকে ত বড্ড সেকেলে মনে হতেই পারে,
দাদি দিদাদের মতো লাগতেই পারে৷
কত উপহাস কত অবঙ্গা কত অবহেলা বয়ে বেড়ায় প্রতি মূহুর্তে,
তোমরা হয়তো ভুলেই যাও
সেও একজন মানুষ,
নিজ শরীরে একটা হ্নদপিন্ড ধারন করে,
যেখানে অনুভুতিগুলো লুকিয়ে থাকে বড্ড অবহেলায়৷
সে একজন সাধারন মেয়ে,
তার নিজস্বতা বলতে কিছু থাকতে নেই,
সেই কবে সবার উপহারের লিষ্ট থেকে তার নামটা বাদ পরেছে বুঝতেও পারেনি,
তার ও কখনোও কখনোও সময় চাই নিজের জন্য তাও ভুলে গেছে৷
সে একজন অতি সাধারন মেয়ে,
নিঃসঙ্গ রাতে অশ্রুজলে ঝাপসা হয়ে আসে কবিতার লাইন,
যেমন বিলীন হয়ে যায় অনুভুতিগুলো বাস্তব নির্মমতায়৷
সে এক অতি সাধারন মেয়ে,
প্রতি মূহুর্তে মেঘের সাথে ভাসতে চাওয়া মেয়েটার আর মেঘবালিকা হওয়া হয় না,
জানালার গ্রীল ধরে তাকিয়ে থাকে দূর আকাশে,
নিজেকে ভালোবাসার সময় হয় না তার,
অথবা বলা যায় নিজেকে যে ভালোবাসা যায়
সেটা হয়তো সে জানতেই পারেনি কখনো৷
সে এক সাধারন মেয়ে,
আটপৌঢ় জীবনে অভ্যস্ততা তাকে কৈশোর পেরিয়ে যৌবন,
যৌবন পেরিয়ে মধ্যবয়সেও জীবনের রং চিনতে শেখায়নি৷
সে এক সাধারন মেয়ে..
অতি সাধারন..
মেঘলা আকাশে হঠাৎ উকি দেয়া এক বিন্দু আলোক রেখা…