শাহিন মামুন এর দুটি কবিতা
ভাতের স্বাধীনতা
-শাহিন মামুন
আমি ক্ষুধার্ত, আমি ভুখা।
আমি ভাতের স্বাধীনতা চাই
আমাকে একমুঠো ভাতের স্বাধীনতা দাও।
ডাস্টবিনের এঁটো খাবারে আমার
ক্ষুধা নিবারিত হয় প্রতিদিন- প্রতিরাত
কিন্তুু ভাতের স্বাধীনতা অর্জিত হয়নি আজও।
তাই আমাকে একমুঠো ভাতের স্বাধীনতা দাও।
আমি ভাতের স্বাধীনতা চাই।
ভাতের স্বাধীনতা পেলেই আমি গর্জে উঠবো আবার
রাজপথে অধিকার আদায়ের মিছিলে
ভাতের স্বাধীনতা পেলেই হাতে তুলে নিবো আবার
স্টেনগান ভীনদেশী হায়েনা আর সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে
৭১’এর বীর সেনা মুক্তিযোদ্ধাদের মতন করে।
ভাতের স্বাধীনতা পেলেই মুছে দিয়ে যাবো
বাংলাদেশের বুক থেকে দূর্ভীক্ষের ইতিহাস।
ভাতের স্বাধীনতা পেলেই ভেঙ্গে দিয়ে যাব ডাস্টবিনগুলো
যেখানে কুঁড়াতে হবেনা আর আমার মত লাখো ভুখারীর
ধনীর ফেলে দেওয়া এঁটো খাবার ভুখা পেটের জন্য।
পঞ্চাশে তুমি বাংলাদেশ
-শাহিন মামুন
পঞ্চাশ বছরে পদার্পন তুমি বাংলাদেশ।
আর কতটা বছর পাড়ি দিলে
প্রিয় জন্মভূমি তুমি বাংলাদেশ
দাসত্ত্ব থেকে মুক্তি নিয়ে স্বাধীন হবে?
আর কতটা পথ পাড়ি দিলে
নিজেকে পরিচয় দিতে পারবো
পথিক নয়,স্বাধীন দেশের একজন স্বাধীন নাগরিক রুপে?
পঞ্চাশ বছরে পদার্পন তুমি বাংলাদেশ।
আর কতটা বছর পাড়ি দিলে
প্রিয় জন্মভূমি তুমি বাংলাদেশের
লাল-সবুজের একটি পতাকা খামচে ধরার সাহস পাবেনা
ভীনদেশী শকুন-হায়েনার দল
আর কতটা পথ পাড়ি দিলে তোমার বুকে ঝুলবেনা
ফেলানীর লাশ ভীনদেশী শকুন-হায়েনার বুলেটের আঘাতে?
পঞ্চাশ বছরে পদার্পন তুমি বাংলাদেশ।
আর কতটা বছর পাড়ি দিলে
প্রিয় জন্মভূমি তুমি বাংলাদেশের
বির্তক থাকবেনা স্বাধীনতার ঘোষক মুজিব-জিয়া কে নিয়ে
আর কতটা পথ পাড়ি দিলে নিশ্চিত হবে জাতীয়তাবাদের
আমরা আঠারো কোটি সন্তান তোমার বাঙ্গালি নাকি বাংলাদেশী?
প্রশ্ন রেখে গেলাম আমি এক অধম সন্তান তোমার
তুমি জন্মভূমি বাংলাদেশের কাছে।