দড়ালো দাঁত
দড়ালো দাঁত
মোল্লা মো: জমির উদ্দিন
দড়ালো দাঁত শিরোনাম করলাম দাতের প্রশংসার জন্য নয় দাত যিনি দাড়ালো এবং সোজা সুন্দর হতে যত্ন নেন তার জন্য। বাংলাদেশের বয়স ৫৪তে পরলো, গঠন পুনর্গঠন সংস্করণ সমৃদ্বির জন্য একটা লম্ভা সময়, অনেক চড়াই উৎরাই পেরিয়ে আমরা এখন উন্নতির পথে। অনেক এগিয়েছি তবে বদনাম কিন্তু পিছু ছাড়ছেনা। অসংখ্য কারণ খুজলে পাবেন, যেখানে অসভ্যতা করার জন্য অনেক অসাধু লোকজন মাথার উপর বসে আছে বা বসিয়ে দেওয়া হয়েছে, যা ইচ্ছে তাই করছেন, আর মনে করছেন “মুই যে কি হনুরে” তাদের কাছে যুক্তি সংগত কারন কি আছে তা না বুঝলেও টাকাটা বেশ ভালোই বুঝেন তারা, আর সকল জায়গায় অনিয়ম জিয়ে রাখেন এটাই নাকি আমলা তান্ত্রিক জটিলতা। দাতের প্রসঙ্গেই থাকছি বাচ্ছার জন্ম যেমন স্বাভাবিক ঘটনা তার যত্ন নেওয়া একজন মায়ের জন্যও খুব স্বাভাবিক ঘটনা বাচ্ছা সুন্দর ফুটফুটে বেড়ে উঠবে এটা সবারই আকাংখা। বাচ্ছার দাতের পেছনে মায়ের যত্ন খুব জরুরী না হলে সন্তানের দাত পোকায় খায় না হয় দাত এলোমেলো হয়ে যায়, এত কথা বলছি এই জন্য যে মানুষ জানতো “দুদক”একটি নক দন্তহীন সংস্থা, “আজ সেই দুদকের দাঁতগুলো দেখতে খুবই সুন্দর লাগছে, তাকে যারা শাসন করত তাদেরই আজ জেলের ভাত খাওয়াচ্ছে দুদক তার মানে নক দাঁত গজিয়ে জকজকে সুন্দর নিজেকে প্রকাশ করেছে। দেখলাম একজন অবসরপ্রাপ্ত সচিবকে জেলখানায় পুরেছে এটা খুব ভালো খবর আর ঐ সচিব সাহেব ও খুবই ভালো মানুষ দেশ প্রেম আছে পালিয়ে যাননি এই জন্য বলছি ইতিপুর্বে একজন তো চাকরি ছেড়ে অবৈধ টাকা পয়সা গুছিয়ে বিদেশে চলে গেছেন, দেখলাম স্বাস্থ্য বিভাগের একজন পরিচালককেও জেলে পুরেছে এগুলো দেখে দেশের মানুষ অবশ্যই আশাবাদী হতে পারে এবার মনে হচ্ছে দেশ সঠিক পথে এগিয়ে যাবার ইচ্ছে প্রকাশ করেছে। ভাবছেন, দুদকের প্রশংসা করছি? না তা নয় মায়ের প্রসংশা করছি আর এই মা হচ্ছেন সচেতন নাগরিক ব্যারিস্টার ছাইদুল হক সুমন, এরাই মায়ের ভুমিকাটি নিয়েছেন। রাস্ট্র ৩শত কোটি টাকার বাড়ি ফিরে পাচ্ছে একজন ছালাম মুর্শিদি থেকে তবে আমি আইনের ছাত্র হিসেবে বলবো খুঁজে দেখা উচিত আইনে আরও কোন বিধান আছে কি-না আরও কোন পানিসমেন্ট দিলে সরকারি সম্পত্তি অধিকতর সুরক্ষিত থাকতে পারে অথবা না থাকলে যুক্ত করার প্রয়াস নেওয়া উচিত। আসছি সরকারি বিভিন্ন ডিপার্ট্মেন্টের কথায় বিভিন্ন করপোরেশনের দিকে দুদকের নজর কারতে চাই যারা প্রেসনে প্রধান হয়ে বসেন তারা কি কান্ড করেন এগুলো নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি রাখে, তাদের আলিসান অবস্থা সামঞ্জস্যপূর্ণ কি-না খুতিয়ে দেখা উচিত, আসছি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাছিনা যে প্রতিষ্ঠান নিজের হাতে ধরে আন্তর্জাতিক মানে উন্নতি করবার প্রয়াস নিয়ে এতদুর এগিয়ে এনেছেন তার কথা বলবার আগে আসুন ডিফেন্স অফিসারদের ট্রেইনারদের সাথে গুড়ে আসি, একজন ট্রেইনার হতে পারেন হাবিলদার পদবি কোন ব্যাপার নয় মাঠের দক্ষতা মাঠে গুরুত্বপূর্ণ কাজেই তিনি অফিসারদেরও ট্রেনিং দেন ট্রেনিং সেশন শেষে একজন উপযুক্ত অফিসার হিসেবে তৌরি করে অফিসারকে ছালাম বা সেলুট দিয়ে নিজে প্রস্থান করেন এতো গেলো মাঠের শিক্ষা। ঐ অফিসার যখন উচ্চতর শিক্ষা গ্রহণ করতে বিশ্ববিদ্যালয়ে যান এখানে যারা পাঠদান করেন তারা মানে গুনে হাবিলদার সমকখ্য হলে কি চলবে? যদি না চলে তাহলে আসেন প্রধানমন্ত্রীর হাতে টেনে তোলা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ফিরে আসি তিনি বাংলাদেশের নার্সিং পেশাকে একটা মান সম্পন্ন জায়গায় নিজ হাতে তুলে এনেছেন আগে দু একজন বিদেশে গিয়ে উচ্চতর শিক্ষা নিতেন আর এখন তিনি সুযোগ বৃদ্ধি করেছেন ব্যপক ৷ কলেজ করে দেশে উচ্চতর শিক্ষার ব্যবস্থা করেছেন এবং অনেকেই বিদেশে গিয়ে ডক্টরেট ডিগ্রি নিয়েছেন, আমার স্ত্রী ও থাইল্যান্ডে পিএইচডি সুযোগ পেয়েছিলেন, সন্তানদের কথা ভেবে যেতে পারেনি, তিনিও এখন উচ্চতর ডিগ্রি দাতা প্রতিষ্ঠান নিয়োজিত আছেন কিন্তু পদবীতে এরা দ্বিতীয় শ্রেণির কর্মকর্তা এবং অনেক শিক্ষক আছেন যারা বিদেশ থেকে পিএইচডি করে এখানে পাঠদানে নিয়জিত, এত কথা বলছি এজন্যই যে যারা পাঠদান করছেন তারা হাবিলদার থেকে যাচ্ছেন আর যারা নিচ্ছেন তারা প্রথম শ্রেণির কর্মকর্তা হয়ে চাকুরীতে যোগদান করবেন শোনা যাচ্ছে, এমনটা শুনে সচেতন নাগরিক হিসেবে চুপ থাকা ঠিক নয় বলে কলম হাতে নিলাম। যারা এ অনিয়মের কারিগর তাদেরকে সংশোধন করবার সুযোগ থাকলে তা নিশ্চয়ই মাননীয় প্রধানমন্ত্রী করবেন বলে মানুষ আশা করে, তার বরাবর লেখাটা পৌঁছে যাবে আশা করছি কারন নিজ হাতে উন্নতি করা প্রতিষ্ঠানে এমন অনিয়ম চলতে পারে না, তিনি নিশ্চয়ই দেখবেন আশা করছি। কথা হচ্ছে আগে শিক্ষকদের প্রথম শ্রেণীতে উন্নত করুন, তারপর ছাত্রদের প্রথম শ্রেণির কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ দান করলে সুশৃঙ্খল থাকবে, এই ডিপার্টমেন্ট এবং নবীন প্রবীণের মানের ব্যবধানও গুছে যাবে আশা করছি, দেশের সকল প্রতিষ্ঠান নিয়মে চলুক, চালকের ছিটে যারা বসে আছেন তাদের চিন্তা সার্বজনীন মঙ্গলজনক হোক এই কামনায় আজ থামছি।