‘V 4 BNP’ তারেক রহমানের গাড়ির ব্যতিক্রমী নাম্বার প্লেট
অনলাইন ডেস্ক । কাগজটোয়েন্টিফোরবিডিডটকম
বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান প্রায় ৮ বছর ধরে লন্ডনে অবস্থান করছেন। সেখান থেকেই তিনি বিএনপির রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছেন।
গত শনিবার চিকিৎসার জন্য বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে এমিরেটস এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ছাড়েন খালেদা জিয়া। রোববার দুপুরে লন্ডনে পৌঁছার পর বিমানবন্দরের আনুষ্ঠানিকতা শেষে ভিআইপি লাউঞ্জ দিয়ে আসছিলেন বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া। মা খালেদা জিয়াকে অভ্যর্থনা জানাতে আগে থেকেই অপেক্ষমান ছেলে তারেক রহমান এগিয়ে এসে জড়িয়ে ধরেন মা’কে। এসময় এক অভূতপূর্ব দৃশ্যের অবতারনা হয়। দুজনে কোলাকুলি শেষে সেখানে লন্ডন বিএনপির উপস্থিত নেতাকর্মীরা খালেদা জিয়াকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান।
এরপর, হিথ্রো বিমানবন্দর থেকে তারেক রহমানের ব্যক্তিগত লেক্সাস গাড়িতে করে লন্ডনে যাত্রা শুরু করেন খালেদা জিয়া। তারেক রহমান নিজে গাড়ি চালিয়ে খালেদা জিয়াকে বিমানবন্দর থেকে বাসায় নিয়ে যান।
সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত ছবিতে তারেক রহমানের গাড়ির নাম্বার প্লেটে V 4 BNP লেখাটি এদিন নজর কাড়ে অনেকের। বুঝতে বাকি থাকেনা এখানে ‘ভি’ শব্দটি বিজয় সুচক অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে। অর্থাৎ ‘বিএনপি’র জন্য বিজয়’ এমন কিছুই নির্দেশ করছে গাড়ির নাম্বার প্লেটে।
অথচ, সাধারণত গাড়ির নাম্বার প্লেট এমন হবার কথা নয়! তাহলে ট্রাফিক আইন না মেনেই কি এমন করে লিখা? এমন নানা প্রশ্নে আর আলোচনায় সরগরম হয় সামাজিক মাধ্যম।
ঘটনার ‘রহস্য’ আসলে গভীর কিছু নয় উল্লেখ করে এ সম্পর্কিত কৌতুহল নিবারনে বিএনপির একাধিক শীর্ষ নেতা জানালেন, মুলতঃ V 4 BNP এটি একটি প্রাইভেট নম্বর। লন্ডনে এমন নাম্বার প্লেট আসলে ‘দুর্লভ নয়’। খুব কম খরচেই ব্রিটিশ সরকারের ‘চালক ও যান আইনে’ এমন পছন্দনীয় নাম্বার প্লেটের জন্য আবেদন করা যায়। সেখানে আবেদনের পর কতৃপক্ষ যাচাই-বাছাইয়ের মাধ্যমে প্রত্যাশিত নাম্বার প্লেটের অনুমোদন দিয়ে থাকেন।
সুত্র আরও জানায়, সিম্বলিক অর্থে এমন ব্যতিক্রমী প্লেটটি তারেক রহমান মুলত দলের নেতাকর্মীদের উজ্জীবিত করাতেই কিনেছেন। আর এই নাম্বার প্লেটটির মুল্য ৯৩৭ ইউরো বলেও জানান সুত্রটি ।
এই লিংকে গিয়েও রেজিস্ট্রেশান করা যায় এমন পছন্দসই নাম্বার প্লেট ওয়েবলিংক এখানে
জানা গেছে,খালেদা জিয়ার এবারের লন্ডন সফরকে ঘিরে কঠোর গোপনীয়তা অবলম্বন করছেন তারেক রহমান নিজেই। তিনি চাইছেন না, এ সফরের সবকিছু ‘পাবলিক’ হোক।
এ কারণে লন্ডনে তার একান্ত কয়েকজন ঘনিষ্টজন ছাড়া অনেক প্রভাবশালী বিএনপি নেতাও এ সফরের অনেক বিষয়ে অবগত নন। অনেক দায়িত্বশীল নেতারাও খবর পাচ্ছেন ঘটনা ঘটার পর। তারাও সংবাদ মাধ্যমে মুখ খুলতে চাইছেন না দলীয় শীর্ষ নেতার বিরাগভাজন হওয়ার ভয়ে।
সূত্রমতে,লন্ডনে তারেক রহমানের কিংসস্টোনের বাড়িতে এখন সম্পূর্ণ পারিবারিক আবহে সময় কাটছে খালেদা জিয়ার।
খালেদা জিয়ার একজন সফরসঙ্গী প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘গতবারের সফরে ম্যাডামের এক চোখে অপারেশন হয়েছিল। এবার অন্য চোখের অপারেশন করবেন চিকিৎসকরা। তবে এখনও অপারেশনের তারিখ পাওয়া যায়নি। মঙ্গলবার (১৯ জুলাই) বিকাল পর্যন্ত ম্যাডাম কাউকে সাক্ষাৎও দেননি।’