সেলিনা জাহান প্রিয়ার ধারাবাহিক গল্প: ‘অ-মানব’-( ৩৬ তম পর্ব)
অ-মানব-৩৬-তম-পর্ব
——————— সেলিনা জাহান প্রিয়া
রাজ সাহেব আপনি সত্যি কারের একজন রাজা হয়ে উঠেছেন আমার মনে আমি অ-মানব থাকতে চাই। মানুষ হতে চাই না। মানুষ হলে আমার মধ্যে লোভ জন্ম নিবে। রাজ সাহেব আপনি সত্যি একজন রাজা। একটা যুদ্ধ জয় করেছেন।
—– অ-মানব একটা রহস্য জানতে ইচ্ছা করে আমি জানি তুমি তা জান কোন না
কোন ভাবে।
—– রেবেকা বেগম বলল, অ-মানব আর কি রহস্য জানবে তুমি যা জানার তো জেনেছ। আর কি জানার বাকি আছে।
—– আমজাদ সাহেব বলল রাজ তুমি যা জেনেছ তা সত্য। মিতা আমার ভাইয়ের মেয়ে
কিন্তু মিতার মা মিনা আমাদের বাড়ির কাজের মেয়ে। আর আরমান তাকে খুন করেছে।
—– অ-মানব বলল কি যে বলেন স্যার। আমি ভাবতাম আপনি সত্য বলেন।
—– তোমার কি মনে হয় আমি মিথ্যা বলেছি।
—— হ্যাঁ স্যার আপনি মিথ্যা বলছেন বা সত্য জানেন না।
—— তুমি কি তাহলে সত্য জানো।
—— স্যার আমাকে আপনি কোন মিথ্যা বিশ্বাস করাতে পারবেন না।
——- রেবেকা বেগম বলল অ-মানব তুমিই তাহলে আমার ছেলের মাথা খেয়েছ।
অ-মানব বলল যাকে সৃষ্টি করেছে সত্য বুঝার জন্য তাকে আপনি কি করে মুখ ফিরিয়ে রাখবেন। এই আপনি ব্যাংক থেকে এক ব্যাগ টাকা নিয়ে গ্রামে যান। তা আপনি ধানের মধ্যে রাখেন। মিনা সেই টাকা দেখে ফেলে। মিনা আপনাকে বলে আপনি তো আমার চেয়ে খারাপ। আমি বাড়ির মনিবের ছেলে কে বিয়ে করেছি আর আপনি মানুষের লাখ লাখ টাকা নিয়ে চলে আসছেন। সেই রাতেই আপনি গফুর ডাকাত কে টাকা দিয়ে মিতার মা কে খুন করান।
—– তুমি কি করে জান।
—– গফুর ডাকাত একবার জেলে গিয়ে এই গল্পটা একজনকে বলেছিল। আর আপনি তাকে অনেক টাকা খরচ করে বের করান। আপনি একজন খুনি। আপনার জন্য আমার মায়া হয় আপনার পেট থেকে রাজের মত ছেলে কি করে জন্ম হয়। আমজাদ সাহেব একদম চুপ হয়ে গেল। অ-মানব বলল সেই টাকার জমি থেকেই তো এখন রাজার মত চলছেন। কিন্তু আপনার ৭০% শেষ। কারন আপনার দুই মেয়ের জামাই তা ব্যাংক এ দিয়ে টাকা নিয়ে নিছে। এবং তারা দেশ ছেড়েছে। আজ এক দিন। বলা চলে চোরের উপরে বাটপারি করে গেল আর কি?
—–অ-মানব আমি তোমাকে পুলিশে দেব।
—— ঢাকা শহরের সব থানায় আমাকে চিনে। পুলিশ ডাকলে ভাল হয়। গফুর আর আপনার জেলের জীবন টা দেখে যেতে পারতাম। গাড়ি চালক আলি দাঁড়িয়ে শুনে যে তার বাবা মিতার মা মিনা কে খুন করেছে। ঘরে এসে গাড়ির চাবিটা দিয়ে বলে আম্মাজান আর দেখা হবে না। আমি বাড়িতে গেলাম।
—-অ-মানব তার সুয়েটার টা গায়ে দিয়ে বলে আম্মাজান আপনি আত্মহত্যা করতে
পারবেন না। এই চিন্তা করেন না। আপনি রাজ কে মিতার সাথে বিয়ে দেন। আর আপনার মেয়ের জামাই দের কে আপনি ক্ষমা করে দেন। হয়ত আপানার ভালবাসা যদি থাকে একদিন ফিরত আসবে। মেয়েদের মানুষের মত মানুষ করেন।
আমজাদ সাহেব কে সত্য টা আপনি বলে দিয়েন যে আপনি ভুল করেছেন। মিতা অ-মানব কে জড়িয়ে ধরে বলে তুমি কোথায় যাবে অ-মানব। দেখা হবে তোমার সাথে কোন না কোন দিন আমি তো এসেছিলাম আকাশের কান্না দেখে। আজ রাতে একটা গান গেও তুমি। সত্য বলছি তুমি আজ সুখের গান গাইবে। আর তুমি তোমার চাচী কে মাপ করে দিও। তারা যেই ভুল করেছে তুমি সেই ভুল কর না। তোমার বাবা কিন্তু জানে যে তার ভাবীর কাজ তারপর ও তোমার বাবা লায়লা পারু আর রাজের কথা চিন্তা করে সে তোমার চাচীকে মাপ করে দিয়েছে, তুমিও তোমার বাবার মত হও। সবাই চুপ হয়ে থাকে কেউ কোন কথা বলে না। আমজাদ সাহেব বলে অ-মানব তুমি কে আমাকে তোমার পরিচয় টা দিয়ে যাও। এত ভাল মানুষ কেন তুমি। আমি আসলেই একটা অন্ধ মানুষ হয়ে গেছি। আমি এই পাপ থেকে মুক্তি চাই।
অ-মানব বলল স্যার গ্রামে যান, আপনার বাবার জমি গুলো আপনাকে ডাকে। হয়ত একদিন চলে আসব। আমি স্যার অ-মানব। এটাই আমার পরিচয়। আর কোন পরিচয় নাই।
রেবেকা বেগম অ-মানব কে বলল তুমি তো সবার কাছে আমাকে পাপী বানিয়ে দিলে।
অ-মানব একটু হেসে বলল – দেখেন মানুষ মাত্র পাপ করে এটা মানুষের জন্য উম্মুক্ত কিন্ত সবাই পুন্য করতে পারে না। কারন পুন্য করতে হলে পুন্যতা শিখতে হয়।
রাজ বলে অ-মানব তুমি আমার সাথে যাবে না। অ-মানব তার পকেট থেকে একটা
পিতলের পয়সা বের করে দেয়। পয়সা টা দিয়ে বলে এটা আরমান সাহেব কে দিয়েন।
অ-মানব তার সুয়েটার টা গায়ে দিয়ে বের হয়ে যায়। জাফর অ-মানব কে বলে কোথায় যাবে। অ-মানব বলে যেতে চাই বহু দূরে কিন্তু এই পৃথিবীর বাহিরে যাবার মত রাস্তা আমার নাই। জাফর গাড়ি ভাল করে চালিও। মনে রেখ যখন গাড়ি চালাবে তখন শুধু তুমি এক জন মানুষ। যে শুধু চোখে দেখে কানে শুনে।
অ-মানব ঘর আবার রাস্তায় হাটতে থাকে তার মত করে। গাড়ি চালক আলি তার বাড়িতে আসে। গফুর ডাকাত বলে কি রে আলি কথা নাই বার্তা নাই হটাত করে বাড়িতে।
—— বাবা আরমান সাহেব জেল থেকে বের হয়েছে। আমজাদ সাহেবের ছেলে রাজ আরমান সাহেবের মেয়ে মিতা কে বিয়ে করবে শুনলাম। কিন্তু বাবা কাল সকালে একটু আমাদের মসজিদের ইমাম কে আসতে বলবেন।
খুব সকাল মসজিদ থেকে আজান ভেসে আসে। গফুর ডাকাতের বাড়ি তে তখন কান্নার মাতুম। গাড়ি চালক আলি তার নিজ ঘরে ফাসি নিয়েছে। পুলিশ আসে লাশ নামায়। পকেটে থেকে একটা চিঠি বের করে পুলিশ। তাতে লিখে বাবা আমি জানি মিতার মাকে কে খুন করেছে। সেই লজ্জায় আজ নিজের জীবন দিয়ে দিলাম যে একজন ডাকাত পুত্র হারার কষ্ট পাক।
আরমান সাহেব আর মিতা কে নিয়ে রাজ গ্রামে আসছে। গ্রামের মানুষ দেখতে আসছে
আরমান সাব কে। আজ গ্রামের মানুষ জেনে গেছে আরমান সাব খুনি না। গফুর ডাকাত রাস্তায় রাস্তায় কাঁদে আর বলে কেউ আমার বিচার কর। আমি খুনি কিন্তু সবাই বলে গফুর পাগল হয়েছে পাগলের বিচার কে করবে। ভীমরুল খাঁ আরমান সাহেব কে পা ছুঁয়ে বলে রাজ স্যার আপনি এত মহত জানা ছিল না। আমি সব কিছু ঐ অ-মানব কে এক রাতে বলে দেই। আমাকে ধ্যান শিখাবে বলে সে আমার কাছ থেকে সব কথা বের করে ফেলে। তখন থেকে ভয়ে ছিলাম। আল্লাহ্ যা করে ভালই করে।
রেবেকা বেগম এখন একটা ঘরে একা একা থাকে। ঘুম আসে না। দুই মেয়ে তার সাথে
কথা বলে না।
রাজ তার পকেট থেকে সেই পিতলের পয়সা টা তার চাচার হাতে দেয়। আরমান সাহেব পিতলের পয়সা টা হাতে নিয়ে হেসে দেয়।
—- মিতা বলে বাবা তুমি হাসছ যে।
—-আরমান সাহেব বলে মা এই পয়সা টা খুব সকালে কাউকে দিয়ে ময়মনসিংহ পাঠাতে হবে জেলার সাহেবের কাছে। রাজ এই পয়সা তুমি কোথায় পেলে?
—- চাচা এই পয়সা টা আমাকে আমাদের বাসায় কাজ করত একটা মানুষ। নাম অ-মানব সে দিয়েছে।
—- হ্যাঁ চিনতে পারছি। তাহলে সে ঠিক বলেছিল। আমি একদিন আপনার মেয়ে কে আপনার কাছে পাঠাব। আর জেল থেকে সম্মান নিয়ে বের হবেন। জেলে ছিল ৭ দিন। একটা বিষয় নিয়ে জেলার সাহেবর সাথে সে বাজি ধরে। আর বলে এই পয়সা যে দিন ঘুরে আপনার কাছে আসবে সেই দিন বুঝবেন আপনি ভুল। আর আমাকে বলে গেছে এই পয়সাটা একদিন আপনার কাছে আসবে। তখন ভাবেন এটা জেলার কে পাঠাতে হবে। কি বাজি আমি জানি না। সে তা পাঁচ বছর আগের কথা। রাজ বলল বাহ চমৎকার ব্যাপার তো। তাহলে তো পয়সা টা নিয়ে আমার যেতে হয়।
—- মিতা বলে অ-মানব আসলেই একটা রহস্য। তবে রাজ তুমি যাও। রাজ খুব সকালে ময়মনসিংহ আসে। জেলার সাহেবের বাসায় যায়। জেলার সাহেব কেবল অফিসে যাবার জন্য রেডি হচ্ছে।
—- আপনি কি মনে করে।
—– রাজ পকেট থেকে পয়সা টা বের করে দেয়।
—– জেলার হাতে পয়সা টা নিয়ে চুপ করে চেয়ারে বসে যায়। একটা ছেলে ডাক দিয়ে বলে চা নাস্তা নিয়ে আসতে। রাজ বলে কিছু লাগবে না। আমি কি প্যসার রহস্য জানতে পারি।
—– আপনার নাম কি?
—– রাজ আমার নাম।
—— আরমান সাহেব কি হয়।
—— আমার চাচা।
—— ভাল! তাহলে সে তার মেয়ে আর জায়গা সব ফেরত পেয়েছে।
——হ্যাঁ।
—— আচ্ছা চা শেষ করেন।
——- পয়সার রহস্য কি জানা যাবে।
—— রাজ সাহেব। সবকিছু জানা ভাল না। আমি শুধু অবাক হচ্ছি। মানুষ কত বোকা। এই আমি যা ভাবতে চাই না। যা পাঁচ বছর আগে ভুলে গেছি আজ আবার আমার সামনে। সেই অ-মানব। আপনাকে তা বলতে পারব না। তবে পয়সা যখন ফেরত এসেছে তাহলে তার কথা ও ফেরত আসবে। আজ আপনার বিদায়। মিঃ রাজ।
রাজ কে বিদায় দিয়ে জেলার তার স্ত্রী কে বলল মুক্তা তোমার জন্য একটা সংবাদ আছে
এই নাও সেই পিতলের পয়সা। জেলারের স্ত্রী মুক্তা বলল- মজা করছ সকাল সকাল।
————–আরে না। এই বয়সে কি মজা করা যায়।
————– তাহলে কোন পয়সার কথা বলছ।
————— কাছে আসো।
জেলারের স্ত্রী পয়সা টা হাতে নিয়ে বলে কি অবাক করা বিষয়। এটা কি ভাবে?
———- সেই পাগল। এটা পাঠাইছে।
মুক্তা বলল এখন তুমি বল এই সেই পয়সা। যেটা অ-মানব আমাকে বলেছে এই পয়সা টা যদি আপনার কাছে ঐ কয়েদীর হাত হয়ে ফেরত আসে তাহলে আপনি একদিন মা হবেন। এখন আমার বয়স ৪৩। তোমার বয়স ৫২। তাহলে কি করে তুমি বাবা হবে আর আমি মা হব।
—— জেলার বলল দেখ মুক্তা ঐ দিন আমি ঐ অ-মানব কে বললাম বেটা ভণ্ড এই শীতের মধ্য কেউ খালি গায়ে থাকে। সেই অ-আনব বলল থাকে যারা সুখী মানুষ। আমাকে তুমি করে বলল। আমি একটা চর মারি তখন সে বলে আমার একটা ভুলের জন্য যদি আপনি আমাকে একটা চর মারেন তাহলে আপনার যে ভুল হয় তার জন্য সৃষ্টি কর্তা আপনাকে কতটা চর দিবে একবার হিসাব করুন।
——-কিন্তু আমার বাচ্চা কোথায়?
——- এই পয়সা আসলেই নাকি আমি মা হব। কিন্তু কিভাবে।
——- মুক্তা আমি জানি না।
——– দেখ ঐ মানুষটাকে আমি দেখেছি। কারো সাথে কোন কথা বলে না। সাতদিন এই জেলে যাকে যে কথা বলেছে প্রত্যেকটা কথা সত্য।
—— তাহলে বলতে চাও। আমি আর একটা বিয়ে করেছি।
——- না তা বলব কেন। আমাদের বিয়ের এখন ২৩ বছর। আমি তো তেইশ বছরে এমন কোন প্রামান পাই নাই।
—— তাহলে কি তোমার কোথাও বিয়ে হয়েছিল। যে তোমার সেই ঘরে কোন বাচ্চা আছে।
——- দেখ বাজে কথা বল না। আমার বিয়ে তোমার সাথে তোমার ইচ্ছায় হয়েছে।
——- তাহলে একটা পাগলের কথায় কি আমাদের বিশ্বাস করতে হবে।
——- দেখ বিশ্বাস অবিশ্বাস না। পাগল বলেছে যে তোমরা অভিশপ্ত পিতা আর আমি অভিশপ্ত মাতা। যদি পয়সাটা ফেরত আসে তবে আমাদের মুক্তি আছে।
—– কিন্তু সেই মুক্তি কিভাবে। বিয়ের প্রথম সন্তান আমি পরীক্ষার জন্য নষ্ট করি তুমি আমাকে বলেছে এই অল্প বয়সে মা হয়ে লাভ নাই, এর জন্য তুমি দায়ী তার পর আমাদের এর বাচ্চা হয় না। কম তো চেষ্টা করা হল না।
—— আচ্ছা পাগলের কথা মনে করে কষ্ট পেয়ে কি লাভ?
তুমি মনে কর কষ্ট পাব না। ও বলেছে তোমাদের সন্তান আছে আলো বাতাসের এক অন্ধকারে। তুমি তারে খুজে বের কর।
——- মুক্তা আসলে ঐ পাগল আমাদের বোকা বানিয়েছে। ভুলে যাও সেই পাগলের কথা।
স্যার আসতে পারি। একটা চিঠি নিয়ে একজন একজন মানুষ এসেছে।
—– আবার কে আসলো। এক ভেজাল শেষ না হতেই আর এক ভেজাল। নিয়ে আসো। কে আসছে?
—— স্যার সালাম। আমাকে চিনবেন না। আমি নেত্রকোনা জেলা কমলা কান্দা থেকে এসেছি।
—– তবে এই চিঠিটা খুবই গোপনীয়। আপানার হাত ছাড়া কাউকে দেয়া নিষেধ। আমি কমলা কান্দা সিমান্তে র কাছে একটা গ্রামে মকতবে পড়াই। যে চিঠি টা দিয়েছে সে বলেছে জেলার সাহেব ছাড়া যেন কাউকে না দেই। চিঠি টা পড়ার পর যেন আবার আমার কাছে দিয়ে দেন। আমাকে এটা আবার পুড়ে ফেলতে হবে।
—— মুক্তা বলল হয়ত কোন মায়ের চিঠি। তার ছেলে নির্দোষ তাকে যেন ছেড়ে দেয়া হয়। বোকা মায়েরা বুঝে না। জেলার একজন পাহারাদার মাত্র। আমি যাই দেখি দুপুরের রান্না কি করতে হয়। তুমি অফিসে যাও।
জেলার চিঠিটা হাতে নিয়ে চিঠির বাহক কে নিয়ে তার অফিসে আসে। মনে মনে চিঠির বাহক কে বার বার চেয়ে দেখে। বোকা একটা মানুষ তা দেখে বুঝা যায়। জেলার চিঠি টা খুলে। চিঠিতে লেখা, আমি পারুল, মনে আছে কি জানি না।
এক সময় আপানদের বাড়িতে কাজ করতাম। যখন আপনারা সিলেট এ থাকতেন। আপনি রাজশাহী পড়তেন। আমি সেই পারুল। অনেক খুজা খুঁজি করে শেষ পর্যন্ত আপনাকে এই ২৫ বছর পড়ে পেলাম। চিঠি টা লিখতে খুব ভয় লাগছে। তবু আসা করে লিখছি। আমার একমাত্র মেয়ে আপনার জেলে। গত মাসে দেখতে এসে হটাৎ আপনাকে দেখি। তখন সাহস করে সামনে যাই নাই। কিন্তু আজ মন কে আর বুঝতে পারছি না। তাই মাস্টার সাব কে দিয়ে এই পত্রটা লেখিয়েছি। মাস্টার সাব খুব ভাল মানুষ। সত্যবাদী। এই গোপন কথা সে কাউকে বলে আপনার সম্মান নষ্ট করবে না। আমার মেয়ে হলেও সে আপনার মেয়ে। কারন আপনার উরসে সে জন্ম হয়েছে। মেয়েটা আপনার মত খুব রাগি। আমি আর কাউকে কোন দিন বলি নাই। আমি আপনার মাকে কোরআন ছুঁয়ে কথা দিয়েছিলাম জিবনে কোন দিন কাউকে এই কথা বলব না। আমাদের গ্রামের বাবুল ম্যাম্বার একটা মিথ্যা মামলা দিয়ে আমার মেয়েকে জেলে দিয়েছে। আপনার কাছে তার পিতার অধিকার চাই না। শুধু মেয়েটা আমার বুকে পাঠান। মেয়েটার কুলের বাচ্চা টা মা মা করে শুধু কান্না করছে। জামাই মেয়েটাকে ছেড়ে দিয়েছে।
জেলার চিঠি পড়ে কাদতে থাকে আর বলে হে আল্লাহ্ তুমি মহান ———
চলামান …………….
অ-মানব-প্রথম পর্ব অ-মানব-দ্বিতীয় পর্ব অ-মানব-তৃতীয় পর্ব অ-মানব-চতুর্থ পর্ব