সেলিনা জাহান প্রিয়ার গল্প: ‘অ-মানব’-(৪৩ তম পর্ব)

 

অ-মানব-৪৩-তম-পর্ব

———————-  সেলিনা জাহান প্রিয়া

 

সারা গ্রামে মানুষ অবাক হয়ে গেছে । রাতেই অ-মানব চেয়ারম্যান তার বাড়িতে নিয়ে এসেছে । নিরাপত্তার কথা বলে । গ্রামের রাস্তা অ-মানব কে চেয়ার ম্যান বলল ভাই আপনার কথা আমার কানে আগেই এসেছে । পান খেতে খেতে চেয়ারম্যান বলল – একটা জিনিস তো জানেন ছোট ভাই ভাল মানুষ কোন দিন সামজিক কাজে আসে না। চেয়ারম্যান হল এক ধরনের চোর ডাকাত মানুষ । আমি কিন্তু আগে ডাকাতি করতাম । দেশ স্বাধীন হওয়ার পড় পড় কোন কাজ ছিল না। নকশালে নাম লিখাই আর ছোট খাট ডাকাতি করতে থাকি । ভালই চলছিল দিন তার পড় নকশাল নকশাল নিজেরাই নিজেদের মেরে ফেলতে লাগলো । আমি আশি দশকে চলে যাই আরব দেশে ।

একটা ভাল কাজ পাই । ডাকাতি করেছে তবে কোন মানুষ খুন করি নাই । পাক্কা পনের বছর বিদেশ থেকে দেশে চলে আশি । সবাই আমাকে দিখি সম্মান করে । গ্রামের আচার বিচার সব কাজে ডাকে । আর কি গ্রামের মানুষ দার করিয়ে দিল ভোটে । পড় পড় দুই বার চেয়ারম্যান । আমার এলাকার কে চোর কে ডাকাত , কে ভাল কে খারাপ আমি এক নামে চিনি । আমি হলাম চেয়ারম্যান । চেয়ার ম্যানের চোখ আর আকাশে শিকারি পাখির চোখ এক বলা চলে ।কি মিয়া আপনি যে কিছুই বলছেন না। আপনাকে দেখে মনে হয় আপনি খুব বড় ঘরের ছেলে । কি সুন্দর আপনার সাহেবের মত চেহারা । মুখ ভর্তি চাপ দাড়ি । গায়ে রং ফর্সা । ইচ্ছা করলে আমার গ্রামে সারা জীবন থাকতে পারেন । কোন অসুবিধা নাই । তা মিয়া তোমার নাম কি ? দেখতে তো ভালই দেখায় । মুখ ভর্তি চাপ দাড়ি আর গায়ের রং তো বলে তুমি কোন ভদ্রলোকের সন্তান।
তা তোমার নাম কি ?
—— আমার আবার নাম । চেয়ারম্যান সাহেব নাম দিয়ে কি হবে ? এই জগতে কত মানুষ জন্ম নেয় কত মানুষ মরে কে কার নাম রাখে । তবে মানুষ আমাকে পাগল বলেই জানে তবে আমি সবাই কে বলি আমার নাম অ-মানব ।
—– আরে অ-মানব কোন নাম হল নাকি মিয়া ? তুমি কি হিন্দু নাকি ?
—— নামেই কি মানুষ চেনা যায় । কত ধার্মিক নাম রেখে মানুষ অধর্মের কাজ করছে । নামে মানুষের জাতের বিচার হয় না। জাতের বিচার হয় তার স্বভাবে ।
—– আরে মিয়া দারুন কথা বলেছ । আমি চেয়ারম্যান মানুষ । মানুষ চরাতে চরাতে  মানুষের চেহারা দেখলে ভাল মন্দ চিনতে পাড়ি । যাই হউক তা অ-মানব নামটা আমাকে চিন্তায় ফেলে দিল । এমন আজব নাম আগে মানুষের হয় আগে শুনি নাই । তা অ-মানব নামের মানুষ এই মানব সমাজে কেন । আর মানব হলে নামটা হিন্দু হয়ে যেত আমাদের দেশে মানব বাবু বলে একজন মানুষ ছিল । খুব ভাল মানুষ । দেশ ভাগের সময় ভারত চলে যায় । তবে মানব বাবু বলে তাঁকে সবাই সম্মান করে ।
—– চেয়ারম্যান সাহেব মানুষ মানুষ কে তিন ভাবে সম্মান করে ? কেউ ভয়ে সম্মান করে । কেউ স্বার্থের লালসায় সম্মান করে । কেউ মনের শান্তির জন্য সম্মান করে ।
—— অ-মানব স্বার্থের সম্মান জিনিসটা বুঝলাম না। যে কিছু লোক আপনার কাছ থেকে সুবিধা নেয়ার জন্য আপনাকে দেখা মাত্র মনে হবে যেন আপনি তার বাপের চেয়ে বড় । এমন ভাব ধরবে যে আপনি বললে সে তার জীবন দিয়ে দিবে । তার কাজ শেষ দেখবেন তার আর দেখা পাবেন না।
—– চেয়ারম্যান বলল জ্ঞানী কথা । তোমার সাথে কথা বলতে বলতে বাড়ির সামনে চলে আসলাম । তুমি আমার বাংলা ঘরে বস । আমি তোমার থাকার ব্যবস্তা করি । আমার বউ আর মায়ের মাঝে খুব সমস্যা কেউ কারো ছায়া দেখতে পাড়ে না। তাই বাড়ির ভিতরে কোন ঝগড়া শুনলে তুমি কিছু মনে নিও না। অ-মানব বলল – রাতে রাজ্জাক মেম্বার যদি আসে আপনি বলবেন সকালে আসতে । রাতে ঐ লোকটার সাথে আমি কথা বলতে চাই না।
—– আরে অ-মানব তুমি তারে যেই কথা বলেছ তাতে । এখন সে আছে বিপদে । সে তার চাচার জমি সব খাচ্ছে । আর চাচার একমাত্র ছেলে মেম্বারের চাচাত ভাই আছে খুব কষ্টে । যদি তার বাপ ফেরে আসে । তাহলে মেম্বারের কিছুই থাকবে না। মেম্বার বলে সব নাকি চাচার মরে যাবার আগে তাঁকে দান করেছে । একটা লাশ বাড়িতে এনে মাটি দিয়েছে । আর তুমি বলছ পাবনা পাগলা গারতে আছে । যাই হউক দেখা যাবে।
তুমি বসে একটু বিশ্রাম করে নাও ।
ডাক্তার একা বাড়িতে আসতেই তার মেয়ে বলল আব্বু মামা কোথায় ।
—- তোমার মামা চেয়ারম্যান সাবের বাড়িতে গেছে ।
—– কখন আসবে আব্বু ।
—– ডাক্তারের বউ বলল চেয়ারম্যান সাবের বাড়িতে কেন ?
—– সে মেলা কথা গেদু মিয়া আর রাজ্জাক মেম্বার এক সাথে হয়েছে । যাই হউক এখন
তোমার ভাই চেয়ারম্যান সাহেবের বাড়িতে আছে । নিরাপদ আছে । অপেক্ষা কর
তোমার ভাই মনে হয় কোন রহস্য মানব । পুলিশ কে পর্যন্ত ভয় পায় না।
ঘরে চল সব কথা বলছি ?
রাজ্জাক মেম্বার সত্যি সত্যি রাতে চেয়ারম্যান এর কাছে এসেছে । অ-মানবের সাথে দেখা করতে চায়। চেয়ার ম্যান বলল সে রাতে তোমার সাথে দেখা করবে না। আমাকে আগেই বলেছে । শুন মিয়া রাজ্জাক গেদু মিয়ার বউয়ের কথা শুনে তোমার আমাদের গ্রামের মেহমান মানুষের জন্য পুলিশ আনা উচিৎ হয় নাই ।
—– চেয়ারম্যান সাহেব এই মানুষটা গ্রামে আসার পড় কি জানি একটা সমস্যা সবার হচ্ছে । এই যে আজগর আলি নিখোঁজ । আজগর আলির ছোট ছেলে আমাকে বলল তার বাবা কে নাকি সেই গ্রাম ছাড়া করেছে । তিন ভাই এখন জমি নিয়ে দারুন বিপাকে কে কোন জমি নিবে।
—— আরে শুন রাজ্জাক মিয়া । আজগর আলির ছেলেরা তার বাবা কে না খুজে জমি নিয়ে মারা মারি করছে। তারা কত খারাপ ছেলে । আমি চেয়ারম্যান কে ভাল কে মন্দ তাই যদি না জানি তাহলে কি মানুষ আমারে বার বার নির্বাচিত করে । শুন মিয়া রাজ্জাক মেম্বার সময় থাকতে ভাল চিন্তা কর । আমার মনে হয় এই গ্রামের মেহমান হিসাবে যাকে আমার বাড়িতে আনলাম সে হয়ত অনেক বড় কোন অফিসার । কোন বড় কাজে এই গ্রামে আসছে । না হয় সবার ব্যাপারে এত কিছু কি করে জানে ? মিয়া তুমি তো ভুল করে পুলিশ নিয়ে আইছ । পুলিশ কে সে একটু ও ভয় পাই নাই ।
তখনেই বিষয়টা খটকা লাগছে আমার । আরে আমি কি যেন তেন চেয়ার ম্যান ।
রাজ্জাক তুমি বাচতে চাইলে আগেই তোমার সব রাস্তা পরিষ্কার করে ফেল । যেন তোমার কোন ভুল ধরা না পড়ে । যদি তোমার চাচা জীবিত থাকে তারে নিয়ে এসো । বাকি টা আমি সামাল দিব ।
রাজ্জাক মেম্বারের মুখ একে বারে ছোট হয়ে গেছে । এখন যদি চেয়ারম্যান সাহেবের কথা না শুনে তাহলে বড় বিপদ হলে তার পাশে কেউ থাকবে না। আর এই লোকটা মানে হয় কোন গোয়েন্দা হতে পাড়ে । দেখতে সাহেব সাহেব লাগে । আর কথা বলার ধরন খুব জ্ঞানী মানুষের মতো । মনে মনে এই কথা বলে রাজ্জাক মেম্বার চেয়ারম্যান সাহেবের কাছ থেকে রাজাক মেম্বার বিদায় নেয় ।
চেয়ারম্যান এসে দেখে অ-মানব খুব সুন্দর হয়ে ঘুমিয়ে আছে । টেবিলের উপরের খাবার গুলো একটু দেখল চেয়ারম্যান । এত কিছু খাবার কিন্তু সে শুধু ডাল দিয়ে ভাত খেল । চেয়ারম্যানের সাথে সব সময় থাকে কেনু মিয়া । চেয়ারম্যান কেনু মিয়া কে বলল মানুষটার দিকে খেয়াল রাখিস । কোন কিছু লাগলে দিস ।
গেদুমিয়া বাড়ির পাশে ফুস ফাঁস শব্দ । গেদুমিয়ার বউ বলে কিসের শব্দ । কাজের মেয়ে এসে দৌড়ে এসে বলল ভাবী সাব আমি এই বাড়িতে থাকব না । আপনাদের রান্না ঘরে অনেক বড় একটা সাপ দেখছি । মাগো আমি এই বাড়িতে আর না। গেদু মিয়ার বউ মনে মনে অনেক ভয় পায় কিন্তু মুখে বলে কোথায় সাপ চল তো দেখি ? গেদু মিয়ার বউ রান্না ঘরে গিয়ে দেখে কিছুই নাই । গেদুমিয়া মিয়া কে বলে তোমার বাড়ির লোক জন এক একটা ভ্যের ডিম । আমি হলাম ডাকাত গফুরের মেয়ে । আমি কি সাপ ব্যাঙ ভয় পাই । এমন সময় রাজ্জাক মেম্বার এসে বলল গেদু ভাই বাড়িতে আছ । গেদুমিয়ার বউ বলল আরে মেম্বার ভাই আসেন । অনেক দিন বাচবেন । আসেন আসেন । গেদু মিয়া বলল কি কোন খবর আছে ? গেদুমিয়ার বউ বলল রাতে কি বৃষ্টি হবে মনে হয় । মেম্বার বলল হবে মানে বৃষ্টি একটু একটু শুরু হয়েছে । টিনের চালে বৃষ্টি পড়ছে । রাজ্জাক মেম্বার বলল গেদু ভাই খুব খারাপ একটা খবর আছে ।
গ্রামে যে মানুষটা নিয়ে আপনার আমার সমস্যা সে কিন্তু আজ চেয়ারম্যানের বাড়িতে ।
—– গেদু মিয়া বলল আরে সেটা তো জানি ।। খারাপ খবর কি ?
—– আরে ভাই এই লোক নাকি গোয়েন্দা চেয়ারম্যান সাহেবের নিকট গোপন খবর আছে । আমাকে বলেছে চেয়ারম্যান শক্ত কোন কাজে এই গ্রামে এসেছে । তাই সে তার নাম কাউকে বলছে না। আর বাজারে দেখেন নাই পুলিশ কে সে একটু ভয় পাই নাই । গেদু মিয়ার বউ বলল আমার ও মনে হয় কারন যখন সে সাপ ধরছিল মনে হয় আর্মিদের মতো মাটি কাটছে । কোন ডর ভয় নাই । সাপ গুলো সে মারলো না । বিশেষ
কায়দায় সাপ ধরল । আমি বাবার মুখে শুনেছি । এক মাত্র আর্মির লোকেরা নাকি সব ধরনের ট্রেনিং দেয়া থাকে ।
গেদু মিয়া বলল তাহলে পুলিশ এনে ভুল করেছি । আমার এক বার মনে হয়েছিল । কিন্তু বলতে সাহস পাই নাই । এখন উপায় কি বল মেম্বার । না জানি কার কপালে কি আছে।
গেদুর বউ বলল আমার বাবা আগে ডাকাতি করত । আল্লায় জানে কারে ধরতে আসছে । এখন কি করা যায় সেই কথা বলল রাজ্জাক মেম্বার ।
—– আরে আমি তো পুরা ধরা খাইছি । কারন আমার চাচা যে জীবিত এই বেটা জানে খুব চালাকি করে বেটা বলে তার সাথে নাকি পাগলা গারদে ছিল । তখনেই মনে হইছে সে অনেক কিছু জানে । যদি পুলিশ নিয়ে চাচারে পাগলা গারদ থেকে চাচাকে নিয়ে আসে তাহলে দুইটা মামলা । একটা হল তোমারে নিয়ে যে ঢাকা মেডিক্যাল থেকে লাশ কিনে চাচা বলে মাটি দিয়েছি । ঐ লাশ কার সেটা পুলিশ জানতে চাইবে । দ্বিতীয় ব্যাপার চাচা যে আমাকে সব লিখে দিয়েছে সেটা মিথ্যা হবে । গেদু মিয়া তোমার শ্বশুর কিন্তু আমাকে লাশ কিনে দেয় । গেদুর বউ ভয়ে এখন কাদতে লাগলো । মেম্বার বলল কেন মিয়া তুমি তার সাথে বাজি লাগতে গেলা । আর তার সাথে কেরামতি করতে গেলা । এই মানুষটা আমাদের এখন কত সমস্যা দেখ ।
এখন আমাদের বাচাতে পাড়ে চেয়ারম্যান । কারন চেয়ারম্যানের সাথে উপরের মহলে ভাল হাত আছে । গেদুমিয়া বলল যাই করি এখন আর উল্টা নাও বাইলে সমস্যা আছে বেটা কে হাত করতে হবে যা বলে ভাল করে শুনতে হবে । না হয় কার কপালে কি আছে আল্লায় জানে ।
মেম্বার বলল বৃষ্টি তো কমার কোন লক্ষণ নাই । গেদুর বউ একটা ছাতা দিল । রাজ্জাক মেম্বার ঘর থেকে বের হয়ে গেদুর উঠানে দিকেই যেতেই রাজ্জাক মেম্বার সাপ বলে মাগো বাবা গো বলে এক চিৎকার দিয়ে দৌড়ে ঘরে । গেদু মিয়া টচ লাইট ধরে দেখে তার উঠানে বৃষ্টির মধ্য দুই সাপ খেলা করছে । গেদু মিয়া লাঠি সাপ সাপ বলে চিৎকার করছে । গেদুর বউ লাঠি নিয়ে এসেছে । আবার টর্চ লাইট মেরে দেখে সাপ বাড়ির জংলের দিকে চলে গেল । রাজ্জাক মেম্বারের জামা কাপড় কাদা লেগে শেষ , । জুতা গুলো পর্যন্ত ছিরে গেছে । রাজ্জাক মেম্বার কে গেদুমিয়ার চাচাত ভাই রাস্তা পর্যন্ত এগিয়ে দিয়ে আসলো ।
গেদু মিয়া বউ বলল আর যাই হউক একদিকে সাপ অন্য দিকে এই রহস্য মানব এখন আমাদের বাচার পথ বের করতে হবে ।
অ-মানব রাত তিনটায় ঘুম থেকে উঠে ঘরের বাতি জালিয়ে দেখে তার পাশে একজন ঘুমিয়ে আছে । অ-মানব তাঁকে ঘুম থেকে ডেকে বলল এত রাতে কে কান্না করে ।
কেনু মিয়া ঘুম থেকে উঠে বলল আরে ভাই আপনে ঘুমান । চেয়ারম্যান সাহেবের মা কান্না করে ।
——— আরে চেয়ারম্যান সাহেবের মা এত রাতে কেন কান্না করে ?
——— মনে হয় আজ ভাবী সাব কিছু বলছে । এখন সারা রাত কান্না করব ।
আর যাকে তাঁকে অভিশাপ দিবে । আপনি ঘুমান সকালে সব ঠিক হয়ে যাবে ।
———- অ-মানব বলল তোমার নাম কি ?
——— আমার নাম কেনু মিয়া । আমি চেয়ারম্যান সাবের সাথে থাকি ।
———- চেয়ারম্যান সাহেবের সাথে থাকলে এই খানে কি ?
———- আরে ভাই দিনে তার কাম কাজে থাকি । রাতে বাসায় থাকি । আপনি নতুন মানুষ তাই আপনাকে যেন দেখে রাখি । কোন কিছু লাগলে যেন দেই তাই থাকা । তা ভাই জানের নাম জানতে পাড়ি ।
——— নাম চেয়ারম্যানের কাছ থেকে জেনে নিও । এখন আমাকে তার মায়ের কাছে নিয়ে যাও ।
——— ভাই এই মহিলা অনেক পাজি । মুখের ভাষা খুব খারাপ । হাতের কাছে যা থাকে তা দিয়েই বারি মারে
——— আরে কিনু মিয়া তুমি কি ভাল মানুষ । চেয়ার ম্যানের সাথে থাক আর প্রতিদিন শত শত মিছা কত বল । পকেটে ভারি কর ।
——– আপনি কি করে জানেন ?
——– এই যে ঘুমের মধ্য বলছ । ফুলজান এখন ভালই কামাই করি । আজোও ৭
হাজার টাকা বিচার থেকে পাইলাম ।
কেনু মিয়া বলল হ পাইছি এটা সত্য । তবে ফুল জানের আমাকে একদম সহ্য করতে পারে না ভাই মেয়েটা খুব সুইট । আমাদের চেয়ারম্যান সাহের ভাগনী । আপনি কিন্তু বিষয় টা চেয়ারম্যান কে বলবেন না।
————- আচ্ছা বলব না। আমাকে চেয়ারম্যান সাহেবের মায়ের কাছে নিয়ে যাও ।
————– জি ভাইজান চলেন ।

চলমান——

অ-মানব-প্রথম পর্ব    অ-মানব-দ্বিতীয় পর্ব    অ-মানব-তৃতীয় পর্ব    অ-মানব-চতুর্থ পর্ব

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!