অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হলে দুই মাস আগেই পর্যবেক্ষক পাঠাবে ইইউ
অনলাইন ডেস্ক । কাগজটোয়েন্টিফোরবিডিডটকম
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সব দলের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত হলে নির্বাচনের দুই মাস আগেই পর্যবেক্ষক পাঠাবে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)।
বিএনপির নীতিনির্ধারনী পর্যায়ের নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে সংস্থাটির পক্ষ থেকে একথা জানানো হয়।
বৃহস্পতিবার বিকালে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক কার্যালয়ে এই বৈঠক হয়।
বিএনপির পক্ষে মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, ব্যারিস্টার জমিরউদ্দিন সরকার, লে. জেনারেল (অব.) মাহবুবুর রহমান, ড. মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, চেয়ারপারসনের উপদষ্টো রিয়াজ রহমান, বিশেষ সম্পাদক ও আন্তর্জাতিক উইংয়ের সদস্য সচিব ড. আসাদুজ্জামান রিপন, সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদসহ আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা প্রমুখ।
ইইউর পক্ষে ঢাকা নিযুক্ত সংস্থার রাষ্ট্রদূত পিয়ারে মায়াদুনসহ সঙ্গে ইইউর আরও কয়েকজন কর্মকর্তা অংশ এই বৈঠকে অংশ নেন।
বৈঠক সূত্র জানায়, এ বৈঠকে আলোচনায় সবচেয়ে গুরুত্ব পেয়েছে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, আগামী নির্বাচনে দলটি অবশ্যই অংশ নিতে চায়। তবে সেটা হতে হবে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে। যে নির্বাচনে সব দল অংশ নিবে, ভোটাররা নির্বিঘ্নে ভোট কেন্দ্রে গিয়ে তার নিজের ভোট দিতে পারবে এবং সবার সমান সুযোগ থাকবে। অর্থাৎ, নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড থাকতে হবে। বর্তমান সরকারের অধীনে কোনো সুষ্ঠু নির্বাচন হতে পারে না। এই আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে নির্বাচন হলে তা আবারও ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির মত নির্বাচনই হবে।
নির্বাচন কমিশন ও চলমান ইসির সংলাপ নিয়েও বৈঠকে আলোচনা হয়েছে। এই সংলাপের কতটুকু কার্যকর ইসি করতে পারবে তার ওপর বিএনপি নজর রাখছে।
ইইউর পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের সব দলের অংশগ্রহণে নির্বাচন হলে যদি হয়, তাহলে তারা পর্যবেক্ষক পাঠাতে চায়। দুই মাস আগেই তারা পক্ষ পাঠাতে চায়।
বৈঠক প্রসঙ্গে ড. আসাদুজ্জামান রিপন বলেন, এটি ছিল ঢাকায় নিযুক্ত ইইউ রাষ্ট্রদূতের বিদায়ী স্বাক্ষাৎ। এখানে দেশের চলমান রাজনৈতিক ও মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আগামী নির্বাচন ও নির্বাচন কমিশনের সংলাপ নিয়েও কথা হয়েছে। ইইউ সব সময়ই বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক পরিবেশ দেখতে চায়, সেটাই তারা বলেছে।