অসহায় রোহিঙ্গাঃ মিয়ানমারের আরও গণহত্যা
অসহায় রোহিঙ্গাঃ মিয়ানমারের আরও গণহত্যা
রণেশ মৈত্র
সভাপতিমন্ডলীর সদস্য, ঐক্য ন্যাপ
নাফ নদী আবারও রক্তাক্ত। জল লালে লাল। আক্রমণকারী মিয়ানমারের সেনাবাহিনী যারা অহেতুক একটি অথ্যাচারিত জনগোষ্ঠীকে নির্মমভাবে হাজারে হাজারে প্রতি বছর ক্লান্তিহীনভাবে হত্যা করে চলেছে। ঐ সেনাবাহিনী কত যে নিষ্ঠুর নির্মম তা প্রতিদিনই আমরা টেলিভিশন চ্যানেলগুলিতে দেখছি। বাড়ীঘর পুড়ছে, গ্রামকে গ্রাম, শহরের পর শহর জ্বলছে-আর হাজার হাজার অত্যাচারিত নর-নারী শিশু-যা কিছু সম্বল পিঠে-পেটে-কাঁধে সেগুলি পোঁটলা করে বেঁধে ছুটছে আশ্রয়হীন অবস্থায় অজানা গন্তব্যে।
কেন এমন হলো? মিয়ানমারের সরকারী বক্তব্য প্রতিবারই একই রকম। তাঁরা বলেদেন রোহিঙ্গারা ৮টা/১০টা পুলিশ ফাঁড়ি বা সীমান্ত চৌকি জ্বালিয়ে দিয়েছে-তাই তারা আক্রমণ করছে সেই সব দায়ী সন্ত্রাসীদেরকে।
এবারে গলা আরও একধাপ চড়িয়ে তাঁরা বলছেন, রোহিঙ্গা যোদ্ধাদের ৩৭০ জনকে তারা হত্যা করেছে। যোদ্ধা? কিসের যোদ্ধা? জবাবে জানা যায় তারা না কি আরাকান প্রদেশকে একটি পৃথক রাষ্ট্রে পরিণত করার জন্য “মুক্তিযুদ্ধ” শুরু করেছে। অবশ্য এই তথাকথিত মুক্তিযুদ্ধের সত্যতা যাচাই করা যাচ্ছে না কারণ সে দেশের সাংবাদিকদের বিন্দুমাত্র স্বাধীনতা নেই-নেই সংবাদপত্রের বা সাংবাদিকতার স্বাধীনতাও। আবার বিদেশী সাংবাদিকদেরকে মিয়ানমারে যেতে দেওয়া হচ্ছে না-যাঁরা যেতে চাইছেন তাঁদেরকে ভিসা দিচ্ছে না মিয়ানমার সরকার। তাই রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী একদিকে রয়েছেন অবরুদ্ধ যাপন করছেন অবরুদ্ধ জীবন হচ্ছেন নির্মম অত্যাচারের শিকার যা বিশ্ববাসীর কাছেও সঠিকভাবে এবং দ্রুততর সময়ের মধ্যে পৌঁছানো সম্ভব হচ্ছে না।
প্রাপ্ত পরিসংখ্যান অনুযায়ী বর্তমানে মিয়ানমারের রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর সদস্য সংখ্যা সর্বোচ্চ ১১ লাখ। এবারের সামরিক অভিযানে প্রতীয়মান হচ্ছে এদেরকে “বাঙালি সন্ত্রাসী” আন্যা দিয়ে কোন রোহিঙ্গাকেই মিয়ানমারে থাকতে না দেওয়ার পথই বেছে নিয়েছে সুচির নেতৃত্বাধীন মিয়ানমার সরকার। যদিও কার্য্যত: ঐ দেশে সুচীর হাতে সরকারের নিয়ন্ত্রণ কতটা তা নিয়ে সংশয় থাকার যথেষ্ট কারণ বিদ্যমান। মিয়ানমার দীর্ঘকাল যাবত সামরিক বাহিনী পরিচালিত সরকার দ্বারা পরিচালিত হয়ে আসছিল। অংশাম শুচির নেতৃত্বে সেদেশে দীর্ঘকাল গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা ও সে লক্ষ্যে সার্বজনীন ভোটাধিকারের দাবীতে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবীতে গণতান্ত্রিক আন্দোলনও পরিচালিত হয়ে আসছিল। পরিণতিতে অংসান শুচিকে বহু বছর সে দেশের কারাগারে বিনা বিচারে আটক থাকতে হয়েছে। অবশেষে বছর দুয়েক আগে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলে অংসান শুচির দল সে দেশে বিপুল ভোটে জয়লাভ করলেও সে দেশের সামরিক বাহিনী প্রণীত সংবিধানো সার্বিক কর্তৃত্ব বেসামরিক রাজনৈতিক নেতৃত্বের হাতে থাকার বিধান নেই। ক্ষমতার চাবিকাঠি অনেকটাই আজও সামরিক বাহিনীর হাতেই বয়ে গেছে।
এ কথারা দ্বারা আমি অংসান শুচিকে পূরোদস্তর ক্ষমতাহীন বা রোহিঙ্গাদের দেওয়ায় সচেষ্ট এমন কোন দাবী আদৌ করছি না। কারণ দু:খজনক হলেও তাঁর কার্য্যকলাপ এ প্রশ্ন রোহিঙ্গাদের অধিকাররের বিপক্ষেই পরিচালিত হয়ে আসছে।
প্রায় ‘দু’ সপ্তাহ যাবত মিয়ানমারে শুরু হয়েছে সামরিক বাহিনী নিয়ন্ত্রণাধীন রোহিঙ্গা-বিরোধী নারকীয় অভিযান। এই অভিযানে এ যাবত কতজন রোহিঙ্গার মৃত্যু ঘটেছে তা সঠিকভাবে জানা না গেলেও তা যে প্রায় পাঁচ হাজারের কাছে পৌঁছে গেছে তাতে এখন আর কারও সন্দেহ নেই। সুচি এই সামরিক অভিযানের পক্ষে কথা বলার পরই অভিযান আরও জোরালো হতে থাকে।
সীমান্তের ওপারে জিরো পয়েন্টের অনেকগুলি এলাকায় চল্লিশ থেকে পঞ্চাশ হাজার রোহিঙ্গা নর নারী শিশু বাংলাদেশে ঢুকতে চাইলেও বাংলাদেশের সীমান্ত রক্ষীদের বাধায় তা পেরে উঠছে না বলে খবর পাওয়া যাচ্ছে। অপরদিকে এই পরিস্থিতির সুযোগে শত শত দালান হাজার হাজার টাকার বিনিময়ে নানা পথে রোহিঙ্গাদেরকে বাংলাদেশে নিয়ে আসছে। ইতোমধ্যে প্রায় ৮০ হাজার রোহিঙ্গা ঐভাবে এসে পৌঁছাতে সক্ষম হয়েছে বলে জানা যায়। এ যাবত মাত্র ১২ দিনে দেড় লক্ষেরও বেশী রোহিঙ্গা নানাপথে বাংরাদেশে ঢুকেছে।
মিয়ানমারের পুলিশ, লুস্টিং, সেনা ও বিজিপি সম্মিলিতভাবে সে দেশের রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর উপর অমানুষিক বর্বর অভিযান অব্যাহত চালিয়ে যাচ্ছে। । অত্যাচারিত ঐ জনগোষ্ঠীর মিছিল দিশেহারা হয়ে দিগি¦দিকে ছুটছে নিরন্তর। পথিমধ্যে খাদ্য, পানীয় ও নিরাপত্তাহীন এ জীবনের ভারে পথিমধ্যেই ঘটছে অনেকের মৃত্যু।
রোহিঙ্গাদের উপর হামলা এবারেই প্রথম নয়। প্রতি বছরই অন্তত: দু’বার করে নানা অছিলায় একই ধরণের তা-ব ঘটিায় অসংখ্য রোহিঙ্গা হত্যা, বাড়ীঘর পুড়িয়ে দেওয়া, নারী ধর্ষণ এবং বাধ্যতামূলকভাবে তাদের দেশত্যাগ ঘটানো হচ্ছে। এ যাবত কমপক্ষে বাংলাদেশের চট্টগ্রাম ও পার্বত্য এলাকাজুড়ে ৭/৮ লক্ষ রোহিঙ্গা আশ্রয় নিয়েছে।
বাংলাদেশে আসা ও আশ্রয় নেওয়ার ক্ষেত্রে তাদের বেশ কিছুটা সুবিধাও আছে। তাদের চোহারা, আকার, আকৃতি বাঙালীর অনুরূপ এবং সকলেই তারা বাংলাভাষাও বলে। এটার ফলে মিয়ানমারের সরকারের পক্ষেও তাদেরকে “বাঙালী সন্ত্রাসী” বলে চিহ্নিত করা সহজ হচ্ছে-যদিও বাস্তবে তার তেমন একটা চিহ্ন নেই।
যা হোক, বাংলাদেশ এমনিতেই ক্ষুদ্র আয়তন এবং বিপুল জনগোষ্ঠী সম্পন্ন দেশ হওয়ায় বাড়তি এই বিশাল জনগোষ্ঠীকে স্থান দেওয়া অত্যন্ত দুরুহ হয়ে পড়েছে। তাই একদিকে বাংলাদেশে তাদের আসা বন্ধ করা এবং অপরদিকে যারা অতীত থেকে এদেশে এসে আছে তাদেরকে মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো বাংলাদেশের পূর্ব-সীমান্ত এলাকার বাসিন্দাদের স্বার্থে এবং বাংলাদেশের আর্থিক ও সামাজিক জীবনের ভারসাম্য রক্ষার স্বার্থে অত্যন্ত জরুরী হয়ে পড়েছে। কিন্তু এ কাটিতে সাফল্য আনতে পারে শুধুমাত্র পুলিশী ব্যবস্থার মাধ্যমে নয় বরং কার্য্যকর কূটনৈতিক তৎপরতার মাধ্যমেই শুধুমাত্র তা সম্ভব হতে পারে। কিন্তু বাংলাদেশ সরকারের শত চেষ্টা সত্বেও এ ব্যাপারে আন্তর্জাতিক সহযোগিতার ও মিয়ানমার সরকারের উপর আন্তর্জাতিক চাপ প্রয়োগ তেমন একটা চোখে পড়ছে না। ফলে মিয়ানমার সরকারের পক্ষে রোহিঙ্গা নির্য্যাতন চালিয়ে যাওয়া অনেকটাই অবাধ হয়ে পড়েছে।
জাতি সংঘের মহাসচিব এই পরিস্থিতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে রোহিঙ্গা বিতাড়ন ও নির্য্যাতন অবিলম্বে বন্ধ করার আহ্বান জানালেও সেদিকে মিয়ানমার সরকারের ভ্রুক্ষেপ নেই। ২৩ আগষ্ট তারিখে জাতিসংঘের সাবেক মহাসচিব কফি আনান মিয়ানমারের নেতা সুপারিশ সমূহ পেশ করার মাত্র ৪টা ঘন্টার মধ্যেই সে দেশের বাহিনীগুলি এই বর্বর অত্যাচার শুরু করে। তিনি লিখেছিলেন, “সরকার ও সমাজের সর্ব অংশের সহায়তায় এবং সরকারের নেতৃত্বে যদি দ্রুত সমশ্চিত পদক্ষেপ না নেওয়া হয়, তাহলে আমরা সহিংসতা ও র্যডিক্যালাইজেশনের আর একটি চক্রের উত্থানের ঝুঁকির মুখে পড়ব। তিনি আরও হুঁশিয়ার করে দিয়ে বলেছিলেন, রাখাইন রাজ্য যে দারিদ্র্যের শিকার সে কারণে ঐ আশংকা আর বাড়বে।
মিয়ানমারের সরকারী ভাষ্যে বলা হয়েছে, ২৫ আগষ্ট ভোরে আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেল-আর্মি নামের বিদ্রোহীরা একযোগে অন্তত: ২৫ টি নিরাপত্তার চৌকিতে হামলা চালিয়েছে। রোহিঙ্গাদের তরফ থেকে এ যাবত কোন ভাষ্য প্রচার করা হয় নি। সেখানকার গণমাধ্যমেও প্রকৃত খবর প্রকাশের সুযোগ নেই। শুধু মাত্র সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলি পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের কাছ থেকে প্রাপ্ত তথ্যই তুলে ধরা হচ্ছে। তাতে দেখা যায় বর্বরতা ও নৃশংশতায় শুধু যে সে দেশের সরকারী বাহিনীগুলোই জড়িত তা নয়-বেসামরিক বহু মিয়ানমার অধিবাসীও একই কাজে অংশ নিয়ে রোহিঙ্গাদের বিপদ আরও বাড়িয়ে তুলছে।
মিয়ানমারের রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর উপর সে দেশের নিরাপত্তা বাহিনীর বাড়াবাড়ি রকমের শক্তি প্রয়োগ পরিচালিত অভিযানটি সাম্প্রতিক কালে বিশ্বজুড়ে সর্বাধিক সমালোচিত। একটি হামলায় তিনজন নিরাপত্তা রক্ষীর প্রাণহানির জবাবে সে সময়ে দেশটির সেনাবাহিনী যে অভিযান চালায় তার পরিণতিতে দেশান্তরি হয়ে শুধুমাত্র বাংলাদেশেই তখন পালিয়ে আসতে বাধ্য হন ৮৭ হাজার রোহিঙ্গা। এই পরিসংখ্যান আন্তর্জাতিক একটি সংস্থার। বাস্তবে সংখ্যাটি আর অনেক বেশী এক লক্ষের অনেক উপরে।
রোহিঙ্গারা সকলেই প্রায় মুসলিম। এ কারণে প্রত্যাশিত ছিলো যে অন্তত: পক্ষে মুসলিম বিশ্ব তথা সৌদি আরব ও তার নেতৃত্বাধীন মধ্য প্রাচ্যের দেশগুলি এই মারত্মক সমস্যার সমাধানে ও দেশত্যাগ রোহিঙ্গাদের স্থায়ী অস্থায়ী পুনর্বাসনে ও আর্থিক ও অপরাপর নানাবিধ সহযোগিতায় আসবেন। কিন্তু সে আশা দুরাসাই মাত্র। তবে রোহিঙ্গাদের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করে ও মিয়ানমার সরকারের বর্বরতা প্রতিবাদ জানিয়ে ইরান ও তুরস্ক। তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান টেলিফোনে বাংলাদেশের প্রধান মন্ত্রীকে এ ব্যাপারে রোহিঙ্গাদের সমর্থনে গৃহীত পদক্ষেপের প্রশসংসাও করেছেন। বহু হিন্দু রোহিঙ্গাও আছেন। তাঁরাও একইভাবে নির্য্যাতীত ও দেশান্তরী।
অপরদিকে , মানবাধিকারের ধ্বজাধারী আমেরিকা পূরোপূরি নীরবতা অবলম্বন করে চলেছে। ভারতেও সরব নয়। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এই পরিস্থিতির মধ্যে মিয়ানমার সফরে যাচ্ছেন। সেখানে তিনি কি ভূমিকা গ্রহণ করেন, বিশ্ববাসীর নজর সেদিকে নিবন্ধ থাকবে।
রোহিঙ্গারা আরাকানের অদিবাসী তথা জন্মসূত্রে মিয়ানমারের নাগরিক হওয়া সত্বেও বহু বছর যাবত তাদের নাগরিকেত্ব অস্বীকৃত। ভোটার তালিকাতেও তাদের নাম তোলা হয় না। ফলে তাঁরা ভোটও দিতে পারেন না। এই সমস্যার সমাধান যতদিন না হবে ততদিন বস্তুত: তাদের বিরুদ্ধে পরিচালিত অমানুষিক নির্য্যাতন ও বর্বরতা কার্য্যকরভাবে বন্ধ করা অত্যন্ত দুরুহ। এ ব্যাপারে আমেরিকা, রাশিয়া, চীন, ভারত, বাংলাদেশ একযোগে জাতিসংঘে চাপ প্রয়োগ করলে হয়তো বা কিছুটা ফল ফলতেও পারে।
অপরদিকে বছরের পর বছর ব্যাপকভাবে এমন ভয়াবহ নির্য্যাতন পরিচালিত হওয়ায় নির্য্যাতীত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর মধ্যে কিছু অংশ যে জঙ্গ-বিদ্রোহী তৎপরতায়ও লিপ্ত হতে পারে সেদিকেও যথেষ্ট নজর সম্মিলিতভাবে নেওয়া প্রয়োজন।
তবে রোহিঙ্গা নিপীড়ন বন্ধ না করে, তাদের নাগরিকত্ব ও ভোটাধিকার স্বীকৃতি না দিয়ে একতরফা ভাবে যদি জঙ্গী সন্ত্রাসবাদ বিরোধী অভিযানে তাদেরকেই টার্গেট করা হয় তাতে হিতে বিপরীত হওয়ার আশংকাই বেশী। এতে আন্তর্জাতিক জঙ্গীগোষ্ঠীকে রোহিঙ্গাদের জঙ্গীদের প্রতিই ঠেলে দেওয়ার মত আত্মঘাতি পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে। তেমন কোন পরিস্থিতির সৃষ্টি হলে তার প্রতিক্রিয়ায় এশিয়ার বিশেষত: দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার রাজনীতিতে নতুন করে জটিলতার সৃষ্টি হতে পারে।
পাকিস্তান ইতিমধ্যেই সক্রিয় তাদের কুখ্যাত গোয়েন্দা সংস্থা আই.এস.আই এর মাধ্যমে। পাকিস্তানের হাই কমিশনার প্রাশ:ই পার্বত্য চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, বান্দরবন এলাকা সফরে যেতে থাকেন। উল্লেখ্য, ঐ এলাকাগুলিতেই রোহিঙ্গাদের বিশাল অংশের অজস্র ক্যাম্প রয়েছে যা কোনটা সরকারীভাবে কোনটা বেসরকারীভাবে প্রতিষ্ঠিত।
অপরপক্ষে রেহিঙ্গাদের একটি অংশ ঐ এলাকায় এসে ইতোমধ্যেই বাংলাদেশের নাগরিকত্ব নিয়ে ভোটার হয়েছেন, পাসপোর্ট নিয়ে নানা দেশে যাতায়াত এবং ইয়াবা, গোপন অস্ত্রের চোরাচালন সহ নানা ব্যবসায়ে জড়িত হয়ে বিপুল পরিমাণ ধনসম্পদেরও মালিক হয়েছেন। এ জাতীয় নানা কারণে রোহিঙ্গাদের সাথে ঐ এলাকার বাঙালিদের মধ্যে দ্বন্দ্বও বিস্তর।
নতুন করে প্রায় এক লাখ রোহিঙ্গা ইতোমধ্যেই এসে গেছে বাংলাদেশে এবং তাদের আসা নানা পথে নানা ভাবে আজও অব্যাহত। নদ-নদীতে নৌকাডুবির ফলে ৬০/৭০ টি রোহিঙ্গা নর-নারী শিশুর লাশও উদ্ধার হয়েছে।
সব কিছু মিলিয়ে কঠিন এক মানবিক ও আইন-শৃংখলা পরিস্থিতির সাথে বাংলাদেশের রাজনৈতিক স্থিতিশীলতাও বিঘিœত হওয়ার আশংকার সৃষ্টি হয়েছে কারণ আই.এস.আই. সেই লক্ষ্যে সদা সক্রিয়।
পরিস্থিতির গুরুত্ব সংশ্লিষ্ট সবার উপলব্ধি দ্রুত আসা ও উপযুক্ত পদক্ষেপ গ্রহণ অপরিহার্য।
কাগজ টুয়েন্টিফোর বিডি ডটকম এ প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
- প্রকাশিত মতামত লেখকের একান্তই নিজস্ব। কাগজ২৪-এর সম্পাদকীয় নীতি/মতের সঙ্গে লেখকের মতামতের অমিল থাকতেই পারে। তাই এখানে প্রকাশিত লেখার জন্য কাগজ২৪ কর্তৃপক্ষ লেখকের কলামের বিষয়বস্তু বা এর যথার্থতা নিয়ে আইনগত বা অন্য কোনও ধরনের কোনও দায় নেবে না।