আওয়ামীলীগের দু’গ্রুপের সংঘর্ষ,আহত ৩০
শরীয়তপুর প্রতিনিধি । কাগজটোয়েন্টিফোরবিডিডটকম
শরীয়তপুরে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে আওয়ামীলীগের দু’গ্রুপের সংঘর্ষে উভয় পক্ষে ৩০ জন আহত হয়েছে বলে দুই গ্রুপ দাবি করছে।
শনিবার ভোরে সদর উপজেলার বিনোদপুর গয়াতলা বাজারে এ সংঘর্ষ হয়। বিকালে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আ. হামিদ সাকিদারের বিরুদ্ধে গয়াতলা বাজারে মিছিল করেছে হুমাউন মেম্বারের সমর্থকরা।
স্থানীয় সূতে জানা যায়, কিছুদিন পূর্বে গয়াতলা বাজারের ব্যবসায়ীরা সরফত ও ভ্যানচালক আবু সাঈদের মধ্যে হাতাহাতি হয়। এ বিষয়ে মীমাংসার জন্য শুক্রবার রাতে মেম্বার হুমাউন মোল্যা চেয়ারম্যান আ. হামিদ সাকিদারের বাড়িতে যায়।
চেয়ারম্যানের আদেশ হুমাউন মোল্যার পক্ষ মেনে নিতে না পারায় শনিবার ভোরে চেয়ারম্যানের সমর্থক লিটন মুন্সীর লোকজন গয়াতলা বাজার ব্রীজের পূর্ব পাশে ইট-পাটকেল নিয়ে অবস্থান বরে। সংবাদ পেয়ে বাকাউল মুন্সীর লোকজন ঘটনাস্থলে পৌঁছলে উভয় পক্ষে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে। এতে লিটন মুন্সীর পক্ষে মোস্তফা সরদার, জাকির মুন্সী, দবির সরদার, বোরহান মোল্যা, শাহীন সরদার, আল আমিন সরদার, কুদ্দুস ঢালী, মজিবর আকন, জাহাঙ্গীর মুন্সী ও বাকাউল মুন্সীর পক্ষে বাকাউল মুন্সী, শাহ আলম মুন্সী, রাসেল মুন্সী, কালু মুন্সী, মফিজুল মুন্সী, আবূল মুন্সী, ইশ্রাফিল সরদার, আলী হোসেন সরদার, রাজ্জাক মুন্সী, হাফিজুল মুন্সী, মিজান মুন্সী, খলিল মৃধা ও বাচ্চু মুন্সী আহত হয়েছে বলে যানা গেছে।
স্থানীয় মেম্বার লিটন মুন্সীর সমর্থক ও বাকাউল মুন্সীর সমর্থকদের মধ্যে ইট-পাটকেল নিক্ষেপের ঘটনায় উভয় পক্ষের প্রায় ৩০ জন আহত হয়েছে বলে দাবী করছেন এলাকাবাসী। সংবাদ পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। সহিংসতা এড়াতে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়ন করা হয়েছে। আহতদের শরীয়তপুর সদর হাসপাতাল সহ বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
লিটন মুন্সী বলেন, আমি ঢাকায় ছিলাম। শুক্রবার রাতে বাড়ি আসি। সকালে দেখি বাকাউল মুন্সী, শাহ আলম মুন্সী তাদের লোকজন নিয়ে বাজারে ঝামেলা করতে যায়। সে ক্ষেত্রে তাদের বাঁধা দেয়া হয়েছে। তখন বাকাউল মুন্সীর লোকজন আমাদের উপর হামলা চালায়। এতে আমার প্রায় ১০ জন লোক আহত হয়েছে। আহতদের শরীয়তপুর হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানেও বাকাউল মুন্সীর লোকজন পুনরায় মারধর করে। তাই আহতদের মাদারীপুর হাসপাতালে ভর্তি করেছি।
বাকাউল মুন্সী বলেন, কয়েকদিন পূর্বে ফলের দোকানদার ও ভ্যান চালকের মধ্যে মারামারি হয়। এ বিষয়ে আওয়ামীলীগ কার্যালয়ে দরবার বসে। সেখানে হুমাউন মেম্বারের সাথে হাতা হাতি হয়। শুক্রবার চেয়ারম্যান এসে হুকুম দেয় হুমাউন মোল্যার লোকজনদের মারার জন্য। সেই কারনেই মারামারি হয়েছে। আমরা ৬ জন গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি আছি। অন্যান্যদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
পালং মডেল থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) খলিলুর রহমান বলেন, দুপক্ষে সংঘর্ষের সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে যাই। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে রয়েছে। সহিংসতা এড়াতে পুলিশ মোতায়ন করা হয়েছে। কোন পক্ষই অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।