আটোয়ারীতে অভিনব কায়দায় ঘটছে ডাকাতি: অচেতন করে লুট করা হচ্ছে সর্বস্ব
নাজমুস সাকিব মুন, পঞ্চগড় প্রতিনিধি । কাগজটোয়েন্টিফোরবিডিডটকম
পঞ্চগড়ের আটোয়ারীতে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির চরম অবনতি ঘটেছে। দুই মাসের ব্যবধানে উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে অভিনব কায়দায় খাবারের সাথে চেতনানাশক দ্রব্য মিশিয়ে অচেতন করে প্রায় ৫ পরিবারের স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকাসহ প্রায় কোটি টাকার সম্পদ লুট হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
সর্বশেষ গত মঙ্গলবার (২ জুলাই) উপজেলার ইউনিয়ন নিত পাড়া গ্রাম জনৈক খলিলুর রহমানের বাড়িতে পরিবারের সদস্যদের রাতের খাবারের সাথে চেতনানাশক দ্রব্য মিশিয়ে অচেতন করে প্রায় তিন লক্ষাধিক টাকার স্বর্ণালঙ্কারসহ নগদ প্রায় ২০ হাজার টাকা লুট করে নিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। ওই পরিবারের কর্তা খলিলুর রহমানসহ ৪ সদস্যই এখন পর্যন্ত অচেতন অবস্থায় বর্তমানে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
উল্লেখ, মির্জা গোলাম হাফিজ ডিগ্রী কলেজের অবসরপ্রাপ্ত চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারী জনৈক মোঃ খলিলুর রহমানের বাড়িতে কে বা কারা পরিবারের রাতের খাবারের সাথে চেতনানাশক ওষুধ নেশায়। এতে গৃহকর্তাসহ তার স্ত্রী খাইরুন নাহার সালমা, সোহেল রানা, আশা আক্তার মঙ্গলবার সকলেই একসাথে রাতের খাবার খেয়ে তাৎক্ষণিক অচেতন হয়ে পড়ে। এরপর সুযোগ সন্ধানী দুর্বৃত্তরা ঘরে প্রবেশ করে স্বর্ণালঙ্কারসহ নগদ টাকা নিয়ে চম্পট দেয়।
এদিকে গত দু মাসের ব্যবধানে উপজেলার বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান এর ছোট ভাই খলিলুর রহমানের বাড়িতে পরপর দুবার, রানীগঞ্জ গ্রামের জনৈক সাইফুলের বাড়িতে, সরদার পাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক হাসিবুর রহমানের বাড়িতে ও কলেজ মোড় এলাকার আবু বক্কর সিদ্দিকীর বাড়িতে একই কায়দায় পরিবারের সদস্যদের অচেতন করে টাকা পয়সাও স্বর্ণালঙ্কার লুট করা হয়।
ওই চক্রটি উপজেলায় আর্থিকভাবে স্বচ্ছল পরিবারকেদের টার্গেটকরে গত দু মাসে প্রায় ৬ টি লুটের ঘটনা ঘটায়। প্রতিটি লুটের ঘটনায় একই কায়দা অনুসরণ করা হয়েছে।
এব্যাপার আটায়ারী থানার অফিসার ইনচার্জ মাঃ আব্দুর রাজ্জাক জানান,সঙ্ঘবদ্ধ দুষ্কৃতিকারী এ চক্রের সাথে জড়িত সন্দেহে মামলা দায়ের সহ প্রায় তিন জনকে ইতোমধ্যে আটক করে আদালতে প্রেরণ করে রিমান্ডে নেয়া হয়েছে। তিনি জানান অতি শীঘ্রই চক্রটির মূল হোতাসহ সকলকে আটক করা সম্ভব হবে।
অভিনব কৌশলে খাবারের সাথে চেতনানাশক দ্রব্য মিশিয়ে ধারাবাহিক চুরির ঘটনায় উপজেলাবাসীর চরম আতঙ্কে দিন কাটছে। একই সঙ্গে এ চক্রের মূল হোতা সহ সকল সদস্যকে খুঁজে বের করে দ্রুত আইনের আওতায় নিয়ে আসার দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।