আন্তঃমহাদেশীয় কনফারেন্স কলে উষাতন তালুকদারকে হত্যার হুমকীর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ
অনলাইন ডেস্ক । কাগজটোয়েন্টিফোরবিডিডটকম
বহির্বিশ্বের বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের এক আন্তঃমহাদেশীয় কনফারেন্স কল অনুষ্ঠিত হয় শনিবার ৯ই জুন ২০১৮। এটি আয়োজন করেন তরুণ চৌধুরী। এতে বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের সর্বশেষ পরিস্থিতি নিয়ে বিশদ আলোচনা হয়। লন্ডন থেকে বাংলাদেশের মানবাধিকার কর্মী ঢাকা ভার্সিটির শিক্ষক নুরুল হক কামাল, এতে যোগ দেন। তিনি বলেন, সংখ্যালঘুর অবস্থা প্রতিদিন খারাপ থেকে খারাপ হচ্ছে। অত্যাচার হচ্ছে, সরকারি লোকজন, আত্মীয়স্বজন এতে জড়িত। এ অবস্থা চলতে দেয়া উচিত না; সরকারের উচিত সংখ্যালঘুদের সমস্যা সমাধানে যত্নবান হওয়া। তিনি অল্প কিছু সময় এতে অংশ নেন এবং সংখ্যালঘুদের সমস্যার প্রতি সহমর্মিতা প্রকাশ করেন।
এতে দশটি দেশের এক ডজনের বেশি নেতৃবৃন্দ যোগ দেন। সম্মেলন থেকে সেক্যুলার ফোরাম, ইউকে আয়োজিত মঙ্গলবার ১২ই জুন লন্ডনে অনুষ্ঠেয় সেমিনারের সফলতা কামনা করা হয়। একই সাথে রবিবার ১০ই জুন ২০১৮ টরোন্টোয় অনুষ্ঠেয় মাইনরিটি এল্যায়েন্সের কর্মসূচীর প্রতি সমর্থন দেয়া হয়। অরুন দত্ত টরন্টো থেকে জানান, প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা রোববার টরন্টোতে থাকবেন, তারা একটি স্মরকলিপি দেবেন। স্মারকলিপি দিতে ব্যর্থ হলে তার হোটেলের সামনে অবস্থান নেবেন। কনফারেন্স কলে পার্বত্য সাংসদ উষাতন তালুদারের কাছে বিপুল পরিমান টাকা দাবি, অন্যথায় তাকে হত্যার হুমকীর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানো হয়। এতে বলা হয়, শুধু সাংসদ নন, সংখ্যালঘু’র কাছ থেকে চাঁদা দাবি অধুনা তীব্র আঁকার ধারণ করেছে এবং ঈদকে সামনে রেখে ব্যবসায়ীদের কাছে থেকে চাঁদা আদায় চলছে।
এশিয়া, ইউরোপ, আমেরিকা, আফ্রিকা থেকে এতে অংশ নেন, তরুণ চৌধুরী, প্রেসিডেন্ট, ইউরোপীয় ঐক্য পরিষদ, সুইডেন; অরুন বড়ুয়া, সভাপতি, বাংলাদেশ মাইনরিটি কাউন্সিল, জেনেভা; উদয়ন বড়ুয়া, সভাপতি, ইউরোপীয় ঐক্য পরিষদ, ফ্রান্স; স্বদেশ বড়ুয়া, সভাপতি, ফ্রান্স ঐক্য পরিষদ, প্যারিস; পুষ্পিতা গুপ্ত, প্রেসিডেন্ট, সেক্যুলার ফোরাম, ইউকে; দিলীপ কর্মকার, মন্ট্রিল, কানাডা ঐক্য পরিষদ; ডঃ মোহিত রায়, সভাপতি, ক্যাম্পেইন এগেনস্ট এট্রোসিটিজ ওন মাইনরিটিজ ইন বাংলাদেশ; অরুন দত্ত, সভাপতি, বাংলাদেশ মাইনরিটি এলাইয়েন্স, টরন্টো; শেখর রায়, কলকাতা; অজন্তা দেব রায়, লন্ডন; সমীর কৃষ্ণ ধর, ঐক্য পরিষদ, আয়ারল্যান্ড; ভবানী কাশ্যপ, তাঞ্জানিয়া; তনয় সরকার, কানাডা এবং শিতাংশু গুহ, নিউইয়র্ক, প্রমুখ।
কনফারেন্স কলে নেতৃবৃন্দ নির্বাচনী বছরে সংখ্যালঘু নির্যাতনের প্রতিবাদে সবাইকে সোচ্চার হবার আহবান জানান। তার বলেন, এখনো প্রতিদিন সংখ্যালঘুদের ওপর অত্যাচার চলছে, সরকারি দলের লোকজন এতে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত। অথচ কেউ কিছু বলছেন না, কারণ শেখ হাসিনা চুপ। শেখ হাসিনা মুখ খুললে নেতারাও মুখ খুলবেন। সম্মেলনে বলা হয়, দেশে সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে ‘জিরো টলারেন্স’; মাদকের বিরুদ্ধে ‘জিরো টলারেন্স’; কিন্তু সংখ্যালঘু নির্যাতনের পক্ষে ‘১০০ ভাগ টলারেন্স’? তারা উল্লেখ করেন, দেশে হাজার হাজার মন্দির ও মুর্ক্তি ভাঙ্গা হচ্ছে, কিন্তু ৪৭ বছরে একজনের বিচার হয়নি। একই কথা সংখ্যালঘু নির্যাতনের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। সংখ্যালঘু নির্যাতনে এক ধরণের ‘ইন্ডিমিনিটি’ বহাল অথচ ৫৭ ধারার ব্যাপক অপপ্রয়োগ হচ্ছে সংখ্যালঘুর ওপর। নেতৃবৃন্দ সরকারকে সংখ্যালঘুর প্রতি তাদের সদিচ্ছা প্রমানের আহবান জানান।
বার্তা প্রেরক
তরুণ চৌধুরী, সুইডেন। ৯ই জুন ২০১৮।