আহত র্যাব সদস্যদের ফেরত দিল বিএসএফ
অনলাইন ডেক্স । কাগজটোয়েন্টিফোরবিডিডটকম
বৃহস্পতিবার সকাল ৯টার দিকে মাদক কারবারিদের ধাওয়া দিয়ে কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়া সীমান্ত অতিক্রম করে ধরা পড়া তিন র্যাব সদস্য ও তাদের দুই সোর্সকে স্থানীয়রা মারধর করে বিএস এর কাছে হস্তান্তর করে। দুদেশের পতাকা বৈঠক শেষে বিকাল ৫টার দিকে বিএসএফ তাদের বিজিবির কাছে ফিরিয়ে দেয়।
এই পাঁচজন হলেন র্যাবের কনস্টেবল আবদুল মতিন, কনস্টেবল রিগেন বড়ুয়া, সৈনিক ওয়াহেদুল ইসলাম এবং র্যাবের দুই নারী সোর্স লিজা ও তার খালা।
স্থানীয়রা সাংবাদিকদের বলেন, তিন র্যাব সদস্যকে নিয়ে মাদক উদ্ধার করতে সীমান্তের ২০৫৯ নম্বর পিলার সংলগ্ন একটি বাড়িতে যান তাদের দুই সোর্স। এ সময় ভুলবশত তারা সীমান্ত অতিক্রম করেন।
র্যাব-১১ সিপিসি-২ এর ভারপ্রাপ্ত কমান্ডার মুহিতুল ইসলাম বলেন, তাদের একটি দল সকাল ৯টার দিকে কুমিল্লা থেকে আশাবাড়ি এলাকায় মাদক উদ্ধার অভিযানে যায়। এ সময় মাদক চোরাকারবারীদের ধাওয়ার এক পর্যায়ে র্যাবের কয়েকজন সদস্য অসাবধানতাবশত ভারতীয় সীমান্তের অভ্যন্তরে ঢুকে পড়েন।
এরপর ভারতীয় নাগরিকরা র্যাবের তিন সদস্য এবং তাদের সঙ্গে থাকা দুই নারী সোর্স লিজা ও লিজার খালাকে আটক ও বেধড়ক মারধর করে তাদের ব্যবহৃত একটি পিস্তল, সাতটি বুলেট ও অন্যান্য সামগ্রীসহ ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বিএসএফের কাছে হস্তান্তর করে।
কমান্ডার মুহিতুল বলেন, এদিকে খবর পেয়ে কুমিল্লা থেকে র্যাব ও বিজিবির পদস্থ কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে গিয়ে আটকদের ফিরিয়ে আনার প্রক্রিয়া শুরু করেন। বিকাল ৪টায় বিজিবি-বিএসএফ পতাকা বৈঠক শুরু হয়। বৈঠক শেষে বিকাল ৫টায় তাদের ফেরত দেওয়া হয়।
বৈঠকে ভারতের ৭৪-বিএসএফের পরিদর্শক আর জে মিঠু ও বাংলাদেশের সংকুচাইল বিওপির কোম্পানি কমান্ডার সুবেদার নুরুল ইসলামসহ দুই দেশের সীমান্তরক্ষা বাহিনীর কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এ বিষয়ে সীমান্তের বিজিবির সংকুচাইল বিওপির কোম্পানি কমান্ডার সুবেদার নুরুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, সীমান্তের ২০৫৯ নম্বর পিলারের কাছে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের রহিমপুর-আশাবাড়ি সীমান্ত এলাকা দিয়ে র্যাব সদস্যরা ‘ভুলবশত’ ভারতে প্রবেশ করলে ভারতীয়রা তাদেরকে আটক করে বিএসএফের কাছে হস্তান্তর করে।
তাদেরকে ফেরত আনতে দিনভর বিএসএফ এর সাথে পত্রবিনিময় করার পর বিকাল ৪টায় বিজিবি-বিএসএফ পতাকা বৈঠক শুরু হয়। বিকাল ৫টার দিকে বিএসএফ ওই পাঁচজনকে বিজিবির কাছে হস্তান্তর করে।