ইমরান খান ‘উস্কানি দিচ্ছেন’- ভারতের তীব্র প্রতিক্রিয়া
অনলাইন ডেক্স । কাগজটোয়েন্টিফোরবিডিডটকম
জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে তার ভাষণে ইমরান খান কাশ্মীর প্রসঙ্গে ভারত এবং নরেন্দ্র মোদীকে নিয়ে যে বক্তব্য দিয়েছেন তাতে চরম ক্ষুব্ধ ভারত।
ইমরান খান বলেন, জাতিসংঘের মনে রাখা উচিৎ ১৯৩৯ সালে ইউরোপ হিটলারের অপরাধকে গুরুত্ব দেয়নি বলেই দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হয়েছিল।
এ শুধু এ কথাতেই থামেননি পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী।
নরেন্দ্র মোদীর নাম করে বলেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রী আরএসএস নামে যে কট্টর হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের আজীবন সদস্য, সেই সংগঠনের ‘আদর্শ হচ্ছে হিটলার এবং মুসোলিনি’ এবং ঐ আরএসএস-ই মহাত্মা গান্ধীকে হত্যা করেছিল।
ইমরানের খানের এ ধরণের মন্তব্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া দিয়েছে ভারত।
উত্তর দেওয়ার অধিকারের সুযোগ নিয়ে মি. খানের ভাষণের পরপরই জাতিসংঘে ভারতের এক কূটনীতিক বিদিশা মৈত্র বলেন, “ইমরান খানের বক্তব্য উস্কানিমূলক এবং পুরোপুরি মিথ্যা।”
প্রায় ৫০ মিনিটের দীর্ঘ ভাষণে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর মূল লক্ষ্য ছিল কাশ্মীরের ইস্যুতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের দৃষ্টি আকর্ষণ।
তিনি বার বারই বলতে চেয়েছেন, ভারত শাসিত কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বিলোপ করে গত প্রায় দু মাস ধরে ৮০ লাখ কাশ্মীরিকে যেভাবে ‘পশুর মত’ অবরুদ্ধ করে রাখা হয়েছে তা যে কোনো সময় বিপজ্জনক পরিণতি বয়ে আনতে পারে।
ইমরান খান সাবধান করেন, আশঙ্কা রয়েছে কাশ্মীরী তরুণ যুবকরা যে কোনো সময় সহিংস বিক্ষোভ শুরু করতে পারে যার জন্য ভারত হয়তো পাকিস্তানকে দায়ী করবে।
তিনি বলেন, তেমন কিছু হলে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে যুদ্ধ শুরুর আশঙ্কা নাকচ করা যায়না যে যুদ্ধ পারমানবিক সংঘর্ষের ঝুঁকি তৈরি করতে পারে।
‘যদি ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে কোনো যুদ্ধ হয়, তাহলে ছোটো দেশে হিসাবে পারমানবিক অস্ত্র ব্যবহার ছাড়া পাকিস্তানের কোনো বিকল্প থাকবে না।”
এই প্রসঙ্গে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী বলেন, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় কাশ্মীর নিয়ে চুপ করে রয়েছে কারণ ‘ভারত একটি বড় বাজার’।
ইমরান খান অভিযোগ করেন, ক্ষমতায় আসার পর থেকে তিনি ভারতের সাথে শান্তি প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করেছেন, কিন্তু কোনো ইতিবাচক সাড়া তিনি পাননি, বরঞ্চ মি. মোদী পাকিস্তানকে তার নির্বাচনী প্রচারণার মুখ্য ইস্যু তৈরি করেন। সূত-বিবিসি।