উত্তরায় চলন্ত বাসে গণধর্ষণের চেষ্টা
অনলাইন ডেক্স । কাগজটোয়েন্টিফোরবিডিডটকম
রাজধানীর উত্তরায় চলন্ত বাসে এক তরুণীকে গণধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে। নিজেকে বাঁচাতে ওই তরুণী বাসের জানালা দিয়ে লফিয়ে পড়ে গুরুতর আঘাত পান।
টাকার অভাবে চিকিৎসা করাতে না পেয়ে হাসপাতাল থেকে বাসায় এনে রাখা হয়েছে তাকে। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক। এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার আসমানী পরিবহনের বাসের চালক রাসেল ভুইয়া, হেলপার মো. মিরাজ ও অজ্ঞাতনামা ২-৩ জনকে আসামি করে উত্তরা পশ্চিম থানায় মামলা করা হয়। বাসচালক রাসেল ভুইয়াকে গ্রেফতার করে রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ।
মামলার বাদী ও ভিকটিমের চাচা এজাহারে উল্লেখ করেন, ২৮ ডিসেম্বর তার ভাতিজি রাজধানীর কুড়িল বিশ্বরোড থেকে সন্ধ্যা ৬টার দিকে আবদুল্লাহপুরের উদ্দেশে আসমানী পরিবহনের একটি বাসে উঠে ঘুমিয়ে পড়েন। সন্ধ্যা সোয়া ৭টার দিকে এক ব্যক্তির হাতের স্পর্শে তার তন্দ্রাচ্ছন্নভাব কেটে গেলে দেখতে পান বাসের ড্রাইভার, হেলপার, কন্ডাক্টরসহ আরও ২-৩ জন তাকে ঘিরে রেখেছে। এক পর্যায়ে তারা তার মোবাইল ফোন ও গলার স্বর্ণের চেইন ছিনিয়ে নেয় এবং ধর্ষণের চেষ্টা করে।
এজাহারে আরও উল্লেখ করা হয়, এ সময় ওই তরুণী মোবাইল ফোন ও স্বর্ণের চেইন রেখে তাকে ছেড়ে দিতে এবং ইজ্জত রক্ষায় কাকুতি-মিনুতি করতে থাকে। ধস্তাধস্তির এক পর্যায়ে ওই তরুণী বাসের জানালা দিয়ে লাফ দিয়ে ঢাকা-আশুলিয়া মহাসড়কের সুইচ গেট এলাকায় পাইকারি কাঁচাবাজারসংলগ্ন পাকা সড়কে পড়েন। এতে মাথায় আঘাতসহ শরীরের বিভিন্ন জায়গায় গুরুতর জখম হয়। কাঁচাবাজারের লোকজন তাকে উদ্ধার করে উত্তরা আধুনিক মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে স্বজনদের খবর দেন। পরে ডাক্তারের পরামর্শে মুমূর্ষু অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
মামলা বাদী জানান, তার পরিবার খুবই গরিব। অর্থ সংকটের কারণে চিকিৎসা শেষ না করেই ভাতিজিকে বাসায় নিয়ে যান। বর্তমানে তারা খুবই মানবেতর জীবন-যাপন করছেন। আসামি পক্ষ বিভিন্নভাবে তাদের ভয় দেখাচ্ছে।
ওই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও উত্তরা পশ্চিম থানার এসআই মাহমুদ হাসান বলেন, বাদীর লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে চালককে বাসসহ গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকি আসামিদেরও গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা হবে। সূত্র-যুগান্তর।