রুদ্র ম আল-আমিন এর উপন্যাস- একজন মুক্তিযোদ্ধা(পর্ব-০৩)
রুদ্র ম আল-আমিন এর উপন্যাস
(পর্ব-০৩)
” একজন মুক্তিযোদ্ধা “
বদর আলী নামটা সাধারন হলেও স্কুল সহ গ্রামের সকলের মুখে একটাই নাম বদর আলী।
বদর আলী কে চেনে না এই গোরা সমাজে এরকম মানুষ আর নাই। সকাল থেকেই স্কুলে বদর আলীকে নিয়েই বলাবলি হচছিলো। ক্লাসে এখন মধ্য বিরতি চলছে,
সকল ছাত্ররা মাঠে খেলা করছে কেউ বা গল্প এমন সময় হাপাতে হাপাতে ছুটে এলেন নারায়ন ঠাকুর হেড মাষ্টার মশাই অফিস রুম থেকে বেরিয়ে বারান্দা পৌছেতেই মুখোমুখি হলেন দুইজনে,, নমস্কার পর্বটা সারলেন, নমস্কার টা কে আগে দিলেন বোঝা গেল না।
কোনরকম চেয়ারে বসেই ঠাকুর সাব হেড মাষ্টার কে বললেন
ঃ তাইজজার ছেলেটা নাকি স্কুলে নাই,
কি জানি নাম ওর,,,
কথাটা শেষ হওয়ার আগেই হুরমুর করে ডুকে পরলেন অন্যান্য শি ক্ষক গণ।
ঃনারায়ন বাবু, বিষয়টা আমি আজি শুনলাম।
সকালে ছাত্ররা বলাবলি করছিল!
ঃ তো আপনি কি সিদ্ধান্ত নিলেন?
অফিস কক্ষে কারো মুখে কোন কথা নেই
এবার সবার মাথাি নিচু করে। অনেকক্ষণ পর,,
ঃআপনি যে টা ভাল মনে করেন।
ঃ আমি তাইজজা কে ভয় পাই। তাইজজা আসলে বলব যে হেড মাষ্টার সব জানেন, আর আপনার যদি কিছু করার খাকে তবে করেন।
আমি চলে যাচ্ছি ,,, নমস্কার।
নারায়ন ঠাকুর দেরি না করে চেয়ার ছেড়ে ঊঠলেন, এবঃ হাটা শুরু করলেন।
বেয়ারা ততক্ষণে ঘনটায় বারী দিলেন। ছাত্ররা ক্লাসের দিকে চলে যাচছে। মিনিট দুয়েকের মধ্যেই মাঠ ফাকা হয়ে গেল।
হেড মাষ্টার কি করবেন ভেবে ঠিক করতে পারছেন না। অবশেষে সিদ্ধান্ত নিলেন যে ছুটির পর শিক্ষক দের নিয়ে একটা আলোচনা করে দেখা যাক কি হয়।
আর সে মোতাবেকই বলে দিলেন যে ছুটির পর অফিস কক্ষে বদর কে নিয়ে আলোচনা করা হবে। আপনারা সবাই থাকবেন।
কথামত ছুটির পর বদর কে নিয়ে আলোচনা হলো। কিনতু কোন সিদ্দান্ত ঠিক হলো না। অবশেষে যে যার মত চলে গেলেন।
(চলবে)